ETV Bharat / state

প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম বারাসত

প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের অবরোধ ঘিরে তুলকালাম উত্তর 24 পরগনার বারাসত। অবরোধ তুলতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ৷ বাদ যায়নি চাকরি চাইতে আসা প্রতিবন্ধী এক পদপ্রার্থীও। পুলিশের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও লাঠিচার্জের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের তরফে।

primary teachers applicants agitation at barasat
প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলন ঘিরে তুলকালাম বারাসত
author img

By

Published : Jan 22, 2021, 5:27 PM IST

বারাসত, 22 জানুয়ারি : প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের অবরোধ ঘিরে তুলকালাম উত্তর 24 পরগনার বারাসত। অবরোধ তুলতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ৷ রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে চাকরি পদপ্রার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাদ যায়নি চাকরি চাইতে আসা প্রতিবন্ধী এক পদপ্রার্থীও। তাঁকেও রাস্তায় ফেলে পুলিশ পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও লাঠিচার্জের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের তরফে।

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না৷ এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার পথে নামেন জেলার চাকরি পদপ্রার্থীরা। এদিন দুপুরে বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে যশোর রোড ধরে তাঁরা আসেন ডাকবাংলো মোড়ে। সেখানে আচমকাই রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরি পদপ্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশের পরও কেন নিয়োগ ও প্যানেল নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে, তার-ও কৈফিয়ত চাওয়া হয়।

বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ যশোর রোড। থমকে যায় যানচলাচলও। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ডাকবাংলো মোড়ের দু'দিকে গাড়ির লম্বা লাইন চোখে পড়ে। অবরোধ তুলতে প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় পুলিশের। কিন্তু সেই আলোচনায় সাড়া না দিয়ে অবরোধকারীরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে যতক্ষণ না প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশে সরকার সদিচ্ছা দেখাচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

এরপরই পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে নিয়ে আসা হয় ঘটনাস্থলে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আলোচনায় কোনও কাজ না হওয়ায় শেষে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ব্যাপক লাঠিচার্জের ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধ উঠে যায় সেখান থেকে। রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে চাকরি প্রার্থীদের তাড়া করে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে। পুলিশের তাড়ায় রাস্তায় পড়ে যান বাপি বিশ্বাস নামে এক প্রতিবন্ধী পদপ্রার্থী। সেই অবস্থায় পুলিশ তাঁকে পেটায় বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে খবর। যা নিয়ে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই বিষয়ে প্রতিবন্ধী আন্দোলনকারী বাপি বিশ্বাস বলেন, "আমরা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর 14 দিন কাটতে চলল। তারপরও সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কিংবা প্যানেল প্রকাশে কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না। আমরা দশ বছর ধরে বঞ্চিত। অবরোধ করায় পুলিশ গায়ের জোরে তুলে দিল আমাদের। এমনকী, আমাকে রাস্তায় ফেলেও পেটানো হয়েছে।" অন্য এক আন্দোলনকারী শাহিদ গাজী বলেন, "যেভাবে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে, তার প্রতিকার চাই আমরা। আমাকে লাঠি দিয়ে হাতে মারা হয়েছে। লাঠির আঘাতে জখম হয়েছে হাত।এরকম আরও অনেকেই আহত হয়েছেন লাঠির আঘাতে৷"

আরও পড়ুন : হেলমেট ছাড়াই বাইক সওয়ারি, শিক্ষা দিল পুলিশ

এদিকে নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশ নিয়ে টালবাহানা করায় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক দুর্লভ আড়ি। তিনি বলেন, "চলতি বছরের 8 জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চৌধুরী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল 14 দিনের মধ্যে চাকরি পদপ্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। তার 14 দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সরকারকে। কিন্তু 14 দিন পার হতে চললেও এখনও কোনও প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি সরকারের তরফে। হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না রাজ্য সরকার। 2009-10 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই জেলা থেকে 10 হাজার পরীক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষায় বসেছিল। তাঁর মধ্যে 5260 জন উত্তীর্ণ হয়েছিল সেই পরীক্ষায়। সরকার অন্যান্য পরীক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে সদিচ্ছা দেখালেও কেবলমাত্র তিনটি জেলার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ নিয়ে কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না। আমরা চাই সরকার দ্রুত নিয়োগপত্র দিক আমাদের।"

বারাসত, 22 জানুয়ারি : প্রাথমিকের চাকরি প্রার্থীদের অবরোধ ঘিরে তুলকালাম উত্তর 24 পরগনার বারাসত। অবরোধ তুলতে আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ ব্যাপক লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ৷ রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে চাকরি পদপ্রার্থীদের পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে। বাদ যায়নি চাকরি চাইতে আসা প্রতিবন্ধী এক পদপ্রার্থীও। তাঁকেও রাস্তায় ফেলে পুলিশ পিটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। পুলিশের এই ভূমিকার সমালোচনা করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। যদিও লাঠিচার্জের বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি পুলিশের তরফে।

আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশ করা হচ্ছে না৷ এই অভিযোগ তুলে শুক্রবার পথে নামেন জেলার চাকরি পদপ্রার্থীরা। এদিন দুপুরে বারাসতের কাছারি ময়দান থেকে ব্যানার প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করে যশোর রোড ধরে তাঁরা আসেন ডাকবাংলো মোড়ে। সেখানে আচমকাই রাস্তায় বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন চাকরি পদপ্রার্থীরা। আদালতের নির্দেশের পরও কেন নিয়োগ ও প্যানেল নিয়ে সরকার টালবাহানা করছে, তার-ও কৈফিয়ত চাওয়া হয়।

বিক্ষোভ ও অবরোধের জেরে দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে গুরুত্বপূর্ণ যশোর রোড। থমকে যায় যানচলাচলও। তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। ডাকবাংলো মোড়ের দু'দিকে গাড়ির লম্বা লাইন চোখে পড়ে। অবরোধ তুলতে প্রথমে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা শুরু হয় পুলিশের। কিন্তু সেই আলোচনায় সাড়া না দিয়ে অবরোধকারীরা পরিষ্কার জানিয়ে দেন যে যতক্ষণ না প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশে সরকার সদিচ্ছা দেখাচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।

এরপরই পুলিশের বিশেষ বাহিনীকে নিয়ে আসা হয় ঘটনাস্থলে। আন্দোলনকারীদের দাবি, আলোচনায় কোনও কাজ না হওয়ায় শেষে অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে পুলিশ। ব্যাপক লাঠিচার্জের ফলে কিছুক্ষণের মধ্যে অবরোধ উঠে যায় সেখান থেকে। রীতিমতো লাঠি উঁচিয়ে চাকরি প্রার্থীদের তাড়া করে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিশেষ বাহিনীর বিরুদ্ধে। পুলিশের তাড়ায় রাস্তায় পড়ে যান বাপি বিশ্বাস নামে এক প্রতিবন্ধী পদপ্রার্থী। সেই অবস্থায় পুলিশ তাঁকে পেটায় বলে অভিযোগ। লাঠির আঘাতে বেশ কয়েকজন আন্দোলনকারী আহত হয়েছেন বলে খবর। যা নিয়ে পুলিশ ও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

এই বিষয়ে প্রতিবন্ধী আন্দোলনকারী বাপি বিশ্বাস বলেন, "আমরা অবরোধ করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর 14 দিন কাটতে চলল। তারপরও সরকার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ কিংবা প্যানেল প্রকাশে কোনও সদিচ্ছা দেখাচ্ছে না। আমরা দশ বছর ধরে বঞ্চিত। অবরোধ করায় পুলিশ গায়ের জোরে তুলে দিল আমাদের। এমনকী, আমাকে রাস্তায় ফেলেও পেটানো হয়েছে।" অন্য এক আন্দোলনকারী শাহিদ গাজী বলেন, "যেভাবে পুলিশ নির্বিচারে লাঠি দিয়ে পিটিয়েছে, তার প্রতিকার চাই আমরা। আমাকে লাঠি দিয়ে হাতে মারা হয়েছে। লাঠির আঘাতে জখম হয়েছে হাত।এরকম আরও অনেকেই আহত হয়েছেন লাঠির আঘাতে৷"

আরও পড়ুন : হেলমেট ছাড়াই বাইক সওয়ারি, শিক্ষা দিল পুলিশ

এদিকে নিয়োগ ও প্যানেল প্রকাশ নিয়ে টালবাহানা করায় সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের আহ্বায়ক দুর্লভ আড়ি। তিনি বলেন, "চলতি বছরের 8 জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চৌধুরী সরকারকে নির্দেশ দিয়েছিল 14 দিনের মধ্যে চাকরি পদপ্রার্থীদের প্যানেল প্রকাশ করতে হবে। তার 14 দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে সরকারকে। কিন্তু 14 দিন পার হতে চললেও এখনও কোনও প্যানেল প্রকাশ করা হয়নি সরকারের তরফে। হাইকোর্টের নির্দেশও মানছে না রাজ্য সরকার। 2009-10 সালে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের জন্য এই জেলা থেকে 10 হাজার পরীক্ষার্থী চাকরির পরীক্ষায় বসেছিল। তাঁর মধ্যে 5260 জন উত্তীর্ণ হয়েছিল সেই পরীক্ষায়। সরকার অন্যান্য পরীক্ষার নিয়োগের ক্ষেত্রে সদিচ্ছা দেখালেও কেবলমাত্র তিনটি জেলার পরীক্ষার্থীদের নিয়োগ নিয়ে কোনও হেলদোল দেখাচ্ছে না। আমরা চাই সরকার দ্রুত নিয়োগপত্র দিক আমাদের।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.