বারাসত, 23 জুলাই : কাটমানি ইশুতে রাজ্য তোলপাড় । এরই মধ্যে দু'লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি বারাসতের । ঘটনায় বারাসত আদালত চত্বরে পোস্টারও পড়েছে । আর তাতে লেখা রয়েছে BJP আইনজীবী সেল, বারাসত । পাশাপাশি তছরুপ করা অর্থ ফেরতেরও দাবি তোলা হয়েছে ।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনে প্রায় 250 জন মেম্বার রয়েছে । মেম্বারশিপ বাবদ আইনজীবীদের কাছ থেকে বছরে 560 টাকা করে নেওয়া হয় । এছাড়াও মাসিক চাঁদা, আনুষাঙ্গিক অনুষ্ঠানের টাকা মিলিয়ে এক একজন আইনজীবী সদস্যকে বছরে প্রায় 1260 টাকা করে দিতে হয় । সংগৃহীত সেই টাকার হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ । টাকার অঙ্কটা প্রায় দু'লাখ । বছর শেষে যে অডিট করা হয়, সেই অডিটেও টাকা তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে দাবি ওই সংগঠনের আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । বর্তমানে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের দখলে । ওই কমিটিতে সম্পাদক, সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ মিলিয়ে প্রায় 15 জন রয়েছেন । চলতি বছরের মে মাসে এর নির্বাচন হওয়ারও কথা ছিল । কিন্তু, গরমিল ও তছরুপের জেরে নির্বাচন আটকে রয়েছে বলে দাবি আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যে তৃণমূলের ওই কমিটির কাছে টাকা গরমিলের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন । পাশাপাশি, গরমিল ঠিক করে তছরুপ হওয়া টাকা ফেরতের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা ।
ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, BJP-র আইনজীবী সেলের নেতা দুলাল সরকার বলেন, "বর্তমান কমিটির ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন উঠেছে । তছরুপ মানে, ওই কমিটি প্রায় দু'লাখ টাকার হিসেব দিতে পারছে না । সেইজন্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনও আটকে রয়েছে । এর দায় পুরোপুরি কমিটির সম্পাদক, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকেই নিতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি কাউকে জানাইনি । কিন্তু, প্রত্যেক আইনজীবীর মাধ্যমে বলতে চাই, আপনারা গরমিল ঠিক করার ব্যবস্থা করুন । ইতিমধ্যে মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে । সেখানে প্রত্যেকেই গরমিলের বিষয়টি তুলে ধরেন । আমার মনে হয়, ওনারা ব্যক্তিগত কোনও খাতে টাকাটা ব্যয় করেছেন । যেটা বারের স্বার্থের পরিপন্থী ।"
অন্যদিকে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত বোস গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই । কে বা কারা আদালত চত্বরে পোস্টার দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানি না । তাই, বলতে পারব না ।" আইনজীবীদের একাংশ টাকা তছরুপের অভিযোগ করছে । এই বিষয়ে ওনার কাছে জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন, "যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে । এবিষয়ে এখনও কোনও আলোচনা হয়নি । তাই, গরমিল বা টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই ।"