ETV Bharat / state

তৃণমূলের বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধ টাকা তছরুপের অভিযোগ, পোস্টার আদালত চত্বরে

বারাসতে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে দু'লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ । ঘটনায় পোস্টার আদালত চত্বরে । তাতে লেখা BJP আইনজীবী সেল, বারাসত ।

পোস্টার আদালত চত্বরে
author img

By

Published : Jul 23, 2019, 2:54 PM IST

বারাসত, 23 জুলাই : কাটমানি ইশুতে রাজ্য তোলপাড় । এরই মধ্যে দু'লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি বারাসতের । ঘটনায় বারাসত আদালত চত্বরে পোস্টারও পড়েছে । আর তাতে লেখা রয়েছে BJP আইনজীবী সেল, বারাসত । পাশাপাশি তছরুপ করা অর্থ ফেরতেরও দাবি তোলা হয়েছে ।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনে প্রায় 250 জন মেম্বার রয়েছে । মেম্বারশিপ বাবদ আইনজীবীদের কাছ থেকে বছরে 560 টাকা করে নেওয়া হয় । এছাড়াও মাসিক চাঁদা, আনুষাঙ্গিক অনুষ্ঠানের টাকা মিলিয়ে এক একজন আইনজীবী সদস্যকে বছরে প্রায় 1260 টাকা করে দিতে হয় । সংগৃহীত সেই টাকার হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ । টাকার অঙ্কটা প্রায় দু'লাখ । বছর শেষে যে অডিট করা হয়, সেই অডিটেও টাকা তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে দাবি ওই সংগঠনের আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । বর্তমানে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের দখলে । ওই কমিটিতে সম্পাদক, সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ মিলিয়ে প্রায় 15 জন রয়েছেন । চলতি বছরের মে মাসে এর নির্বাচন হ‌ওয়ারও কথা ছিল । কিন্তু, গরমিল ও তছরুপের জেরে নির্বাচন আটকে রয়েছে বলে দাবি আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যে তৃণমূলের ওই কমিটির কাছে টাকা গরমিলের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন । পাশাপাশি, গরমিল ঠিক করে তছরুপ হ‌ওয়া টাকা ফেরতের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা ।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, BJP-র আইনজীবী সেলের নেতা দুলাল সরকার বলেন, "বর্তমান কমিটির ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন উঠেছে । তছরুপ মানে, ওই কমিটি প্রায় দু'লাখ টাকার হিসেব দিতে পারছে না । সেইজন্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন‌ও আটকে রয়েছে । এর দায় পুরোপুরি কমিটির সম্পাদক, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকেই নিতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি কাউকে জানাইনি । কিন্তু, প্রত্যেক আইনজীবীর মাধ্যমে বলতে চাই, আপনারা গরমিল ঠিক করার ব্যবস্থা করুন । ইতিমধ্যে মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে । সেখানে প্রত্যেকেই গরমিলের বিষয়টি তুলে ধরেন । আমার মনে হয়, ওনারা ব্যক্তিগত কোন‌ও খাতে টাকাটা ব্যয় করেছেন । যেটা বারের স্বার্থের পরিপন্থী ।"

অন্যদিকে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত বোস গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই । কে বা কারা আদালত চত্বরে পোস্টার দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানি না । তাই, বলতে পারব না ।" আইনজীবীদের একাংশ টাকা তছরুপের অভিযোগ করছে । এই বিষয়ে ওনার কাছে জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন, "যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে । এবিষয়ে এখনও কোন‌ও আলোচনা হয়নি । তাই, গরমিল বা টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই ।"

বারাসত, 23 জুলাই : কাটমানি ইশুতে রাজ্য তোলপাড় । এরই মধ্যে দু'লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে । ঘটনাটি বারাসতের । ঘটনায় বারাসত আদালত চত্বরে পোস্টারও পড়েছে । আর তাতে লেখা রয়েছে BJP আইনজীবী সেল, বারাসত । পাশাপাশি তছরুপ করা অর্থ ফেরতেরও দাবি তোলা হয়েছে ।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনে প্রায় 250 জন মেম্বার রয়েছে । মেম্বারশিপ বাবদ আইনজীবীদের কাছ থেকে বছরে 560 টাকা করে নেওয়া হয় । এছাড়াও মাসিক চাঁদা, আনুষাঙ্গিক অনুষ্ঠানের টাকা মিলিয়ে এক একজন আইনজীবী সদস্যকে বছরে প্রায় 1260 টাকা করে দিতে হয় । সংগৃহীত সেই টাকার হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ । টাকার অঙ্কটা প্রায় দু'লাখ । বছর শেষে যে অডিট করা হয়, সেই অডিটেও টাকা তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে দাবি ওই সংগঠনের আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । বর্তমানে ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশন তৃণমূলের দখলে । ওই কমিটিতে সম্পাদক, সভাপতি, কোষাধ্যক্ষ মিলিয়ে প্রায় 15 জন রয়েছেন । চলতি বছরের মে মাসে এর নির্বাচন হ‌ওয়ারও কথা ছিল । কিন্তু, গরমিল ও তছরুপের জেরে নির্বাচন আটকে রয়েছে বলে দাবি আইনজীবী সদস্যদের একাংশের । সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যে তৃণমূলের ওই কমিটির কাছে টাকা গরমিলের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন । পাশাপাশি, গরমিল ঠিক করে তছরুপ হ‌ওয়া টাকা ফেরতের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন তাঁরা ।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, BJP-র আইনজীবী সেলের নেতা দুলাল সরকার বলেন, "বর্তমান কমিটির ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন উঠেছে । তছরুপ মানে, ওই কমিটি প্রায় দু'লাখ টাকার হিসেব দিতে পারছে না । সেইজন্য ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন‌ও আটকে রয়েছে । এর দায় পুরোপুরি কমিটির সম্পাদক, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকেই নিতে হবে ।" তিনি আরও বলেন, "আমরা ব্যক্তিগতভাবে বিষয়টি কাউকে জানাইনি । কিন্তু, প্রত্যেক আইনজীবীর মাধ্যমে বলতে চাই, আপনারা গরমিল ঠিক করার ব্যবস্থা করুন । ইতিমধ্যে মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে । সেখানে প্রত্যেকেই গরমিলের বিষয়টি তুলে ধরেন । আমার মনে হয়, ওনারা ব্যক্তিগত কোন‌ও খাতে টাকাটা ব্যয় করেছেন । যেটা বারের স্বার্থের পরিপন্থী ।"

অন্যদিকে, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাডভোকেটস বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত বোস গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার করেন । তিনি বলেন, "এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই । কে বা কারা আদালত চত্বরে পোস্টার দিয়েছে, সে সম্পর্কে কিছু জানি না । তাই, বলতে পারব না ।" আইনজীবীদের একাংশ টাকা তছরুপের অভিযোগ করছে । এই বিষয়ে ওনার কাছে জানতে চাওয়া হলে উনি বলেন, "যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে । এবিষয়ে এখনও কোন‌ও আলোচনা হয়নি । তাই, গরমিল বা টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই ।"

Intro:কাটমানির পর ২ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে।শোরগোল আইনজীবী মহলে।Body:

রাজু বিশ্বাস,বারাসত:-কাটমানি ইশুতে যখন রাজ‍্য তোলপাড়,তখন ২ লাখ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে বারাসত আদালত চত্বরে পোস্টার‌ও পড়েছে বিভিন্ন জায়গায়।পোস্টারে টাকা তছরুপের অভিযোগের পাশাপাশি সেই অর্থ ও সম্পত্তি ফেরত দেওয়ার দাবিও তোলা হয়েছে। পোস্টারের নীচে লেখা রয়েছে বিজেপি আইনজীবী সেল,বারাসত।বারাসত আদালতের প্রবেশপথ ও বিল্ডিংয়ের দেওয়ালে এরকম অসংখ্য পোস্টার সাঁটানো হয়েছে।যা ঘিরে রীতিমত চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে আদালত চত্বরে। সূত্রের খবর, ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনে প্রায় ২৫০ জন মেম্বার রয়েছে। মেম্বারশিপ বাবদ আইনজীবীদের কাছ থেকে বছরে ৫৬০ টাকা করে নেওয়া হয়। এছাড়া,মাসিক চাঁদা, আনুষঙ্গিক মিলিয়ে এক একজন আইনজীবী সদস‍্যকে বছরে প্রায় ১২৬০ টাকা করে দিতে হয়। সংগৃহীত সেই টাকার হিসেবে গরমিল ধরা পড়েছে বলে অভিযোগ।টাকার অঙ্কটা প্রায় ২ লাখ।বছর শেষে যে অডিট করা হয়, সেই অডিটেও টাকা তছরুপের বিষয়টি ধরা পড়েছে বলে দাবি ওই সংগঠনের আইনজীবী সদস‍্যদের একাংশের। কমিটিতে সম্পাদক,সভাপতি, কোষাধক্ষ্য মিলিয়ে প্রায় ১৫ জন রয়েছে। বর্তমানে ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশন তৃনমূলের দখলে। চলতি বছরের মে মাসে এর নির্বাচন হ‌ওয়ার কথা ছিল। কিন্তু,গরমিল ও তছরুপের জেরে নির্বাচন আটকে রয়েছে। সংগঠনের সদস্যরা ইতিমধ্যে তৃনমূলের ওই কমিটির কাছে টাকা গরমিলের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি,গরমিল ঠিক করে তছরুপ হ‌ওয়া টাকা ফেরতের দাবিতেও সোচ্চার হয়েছেন।কাটমানি ইশুতে এমনিতেই শাসকদলের নেতা, কাউন্সিলের বিরুদ্ধে রাজ‍্যের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু হয়েছে। সেই বিক্ষোভের জেরে বাধ‍্য হয়ে অনেকে টাকাও ফিরিয়ে দিয়েছেন।এবার একেবারে কমিটির টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের দখলে থাকা ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের বিরুদ্ধে। শুধু অভিযোগ ওঠা নয়,তার বিরুদ্ধে রীতিমত পোস্টারে ছয়লাপ করা হয়েছে বারাসত আদালত চত্বরে।যা ঘিরে শোরগোল ফেলেছে আইনজীবী মহলেও। ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের সদস্য, বিজেপির আইনজীবী সেলের নেতা দুলাল সরকার বলেন,"বর্তমান কমিটির ক্ষেত্রে কিছু প্রশ্ন উঠেছে। তছরুপ মানে,ওরা(কমিটি) কিছু অর্থের হিসেব দিতে পারছে না।সেটা ২ লাখের কাছাকাছি। সেইজন্য ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন‌ও আটকে রয়েছে"। তাঁর কথায়,"ওই কমিটি একাউন্ট থেকে বেশ কিছু টাকা সরিয়েছেন।যা থেকেই গরমিল দেখা যাচ্ছে।এটা প্রত‍্যেক আইনজীবী সদস‍্যদের পকেটের টাকা।ওনারা(কমিটি) যতক্ষণ না গরমিল ঠিক করে দিচ্ছেন, ততক্ষণ কমিটির নির্বাচন করা যাচ্ছেনা।এর দায় পুরোপুরি কমিটির।বিশেষ করে বলতে গেলে কমিটির সম্পাদক, সভাপতি ও কোষাধ্যক্ষকেই দায় নিতে হবে"।দুলাল বাবু বলেন,"আমরা ব‍্যাক্তিগতভাবে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। কিন্তু, প্রত‍্যেক আইনজীবীর মাধ্যমে বলতে চায়,আপনারা গরমিল ঠিক করার ব্যবস্থা করুন। ইতিমধ্যে মিটিংয়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সেখানে প্রত‍্যেকেই গরমিলের বিষয়টি তুলে ধরেন।আমার মনে হয়,ওনারা ব‍্যাক্তিগত কোন‌ও খাতে টাকাটা ব‍্যয় করেছেন।যেটা বারের স্বার্থের পরিপন্থী"। যদিও ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুদীপ্ত বোস গরমিলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,"এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই।কে বা কারা আদালত চত্বরে পোস্টার দিয়েছে,সে সম্পর্কে কিছু জানিনা।তাই, বলতে পারবনা"। আইনজীবীদের একাংশ টাকা তছরুপের অভিযোগ করছে!কি বলবেন এবিষয়ে?এর উত্তরে তিনি বলেন,"যে কেউ অভিযোগ করতেই পারে। এবিষয়ে এখনও কোন‌ও আলোচনা হয়নি।তাই, গরমিল বা টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছু জানা নেই"।Conclusion:যদিও টাকা তছরুপের অভিযোগের বিষয়টি জানা নেই বলে দায় সেরেছেন ডিস্ট্রিক্ট এ‍্যাডভোকেটস্ বার এ‍্যাসোসিয়েশন।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.