ETV Bharat / state

স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপে চিকিৎসার খরচ ফেরত পেল রোগীর পরিবার - nursing home accept Swasthya Sathi card

স্বাস্থ্যসাথীর আওতাভুক্ত হওয়া সত্ত্বেও নগদে রোগীর চিকিৎসা ৷ সংবাদমাধ্যমে খবর চাউর হতেই মিলল ফল ৷ স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপে চিকিৎসার খরচ ফেরত পেল রোগীর পরিবার ৷ উত্তর 24 পরগনার বারাসতের ঘটনা ৷

patient family get refund, nursing home accept Swasthya Sathi card at Barasat
স্বাস্থ্য দফতরের হস্তক্ষেপে চিকিৎসার খরচ ফেরত পেল রোগীর পরিবার
author img

By

Published : Jun 7, 2021, 4:26 PM IST

বারাসত, 7 জুন : স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পরিষেবা না দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছিল বারাসতের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিতও হয়েছিল ৷ শেষে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে, রোগীর পরিবারকে চিকিৎসা বাবদ নেওয়া 34 হাজার 60 টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হল সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এই ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবারের সদস্যরা ৷

বারাসতের বড় বড়িয়ার বাসিন্দা বছর সত্তরের গণেশ ঘোষাল বেশ কিছুদিন ধরেই মলদ্বারের সমস্যায় ভুগছিলেন ৷ তিনি বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৷ শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকায় গত 28 মে ওই বৃদ্ধকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বারাসত নবপল্লীর কেয়ার এন্ড কিওর নার্সিংহোমে ৷ তাঁকে সেখানে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা ৷ পরিবারের সদস্যরাও সেটাই করেন ৷

স্বাস্থ্য দফতর ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবার ৷

গণেশের পরিবারের অভিযোগ, বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ 10 হাজার টাকা জমা করতে বলে ৷ অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা করার কথা বলা হলেও তাতে আমল দেওয়া হয়নি ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নগদে চিকিৎসা করাতে হয় ওই বৃদ্ধকে ৷ চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় 34 হাজার 60 টাকা ৷

গত 1 জুন সেই টাকা মিটিয়ে নার্সিংহোম থেকে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ শুধু তাই নয় ৷ চিকিৎসার সময় করোনা পরীক্ষার বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পর শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষার জন্যই 1500 টাকা নেওয়া হয়েছে ৷ যা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে বেশি ৷

আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা না দিয়ে কাঠগড়ায় বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল

এরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধের পরিবার‌ের সদস্যরা ৷ তিনিও সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব হন ৷ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পৌরসভার প্রশাসক ৷

সেই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যসাথীর নিয়ন্ত্রণাধীন প্যারামাউন্ট টিপিএ ৷ রাজ্য সরকারের ওই বিভাগের আধিকারিক আরিফুর সর্দার যোগাযোগ করেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে‌ ৷ গোটা ঘটনাটি জানার পর তিনি সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসার খরচ ফেরত দিতে হবে ৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার আদেশও দেওয়া হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ৷ তাতেই টাকা ফেরত পায় গণেশ ঘোষালের পরিবার ৷

বারাসত, 7 জুন : স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে পরিষেবা না দিয়ে নগদ টাকা নিয়ে চিকিৎসা করার অভিযোগ উঠেছিল বারাসতের একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রকাশিতও হয়েছিল ৷ শেষে স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশে, রোগীর পরিবারকে চিকিৎসা বাবদ নেওয়া 34 হাজার 60 টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হল সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ৷ রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের এই ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবারের সদস্যরা ৷

বারাসতের বড় বড়িয়ার বাসিন্দা বছর সত্তরের গণেশ ঘোষাল বেশ কিছুদিন ধরেই মলদ্বারের সমস্যায় ভুগছিলেন ৷ তিনি বেসরকারি সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৷ শারীরিক সমস্যা বাড়তে থাকায় গত 28 মে ওই বৃদ্ধকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় বারাসত নবপল্লীর কেয়ার এন্ড কিওর নার্সিংহোমে ৷ তাঁকে সেখানে ভর্তি করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা ৷ পরিবারের সদস্যরাও সেটাই করেন ৷

স্বাস্থ্য দফতর ও সংবাদমাধ্যমের ভূমিকায় খুশি রোগীর পরিবার ৷

গণেশের পরিবারের অভিযোগ, বৃদ্ধের চিকিৎসা শুরু হওয়ার আগেই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ 10 হাজার টাকা জমা করতে বলে ৷ অভিযোগ, স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা করার কথা বলা হলেও তাতে আমল দেওয়া হয়নি ৷ ফলে একপ্রকার বাধ্য হয়েই নগদে চিকিৎসা করাতে হয় ওই বৃদ্ধকে ৷ চিকিৎসা বাবদ খরচ হয় 34 হাজার 60 টাকা ৷

গত 1 জুন সেই টাকা মিটিয়ে নার্সিংহোম থেকে রোগীকে বাড়িতে নিয়ে যান পরিবারের সদস্যরা ৷ শুধু তাই নয় ৷ চিকিৎসার সময় করোনা পরীক্ষার বাবদ অতিরিক্ত টাকা নেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ৷ বৃদ্ধের পরিবারের দাবি, নার্সিংহোমে ভর্তি হওয়ার পর শুধুমাত্র করোনা পরীক্ষার জন্যই 1500 টাকা নেওয়া হয়েছে ৷ যা সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যের চেয়ে বেশি ৷

আরও পড়ুন : স্বাস্থ্য সাথীর সুবিধা না দিয়ে কাঠগড়ায় বারাসতের বেসরকারি হাসপাতাল

এরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বারাসত পৌরসভার প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধের পরিবার‌ের সদস্যরা ৷ তিনিও সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে সরব হন ৷ কড়া ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দেন পৌরসভার প্রশাসক ৷

সেই খবর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই নড়েচড়ে বসে স্বাস্থ্যসাথীর নিয়ন্ত্রণাধীন প্যারামাউন্ট টিপিএ ৷ রাজ্য সরকারের ওই বিভাগের আধিকারিক আরিফুর সর্দার যোগাযোগ করেন রোগীর পরিবারের সঙ্গে‌ ৷ গোটা ঘটনাটি জানার পর তিনি সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া চিকিৎসার খরচ ফেরত দিতে হবে ৷ সেই সঙ্গে স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা সুনিশ্চিত করার আদেশও দেওয়া হয় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষকে ৷ তাতেই টাকা ফেরত পায় গণেশ ঘোষালের পরিবার ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.