ETV Bharat / state

Panchayat Elections 2023: জেলা পরিষদের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া তৃণমূল, বিরোধীদের অস্ত্র শাসকের দুর্নীতি - উত্তর ২৪ পরগনা জেলাপরিষদ

রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ৷ উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের ক্ষমতা দখলের লড়াই এবার হাড্ডাহাড্ডি ৷ তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া ৷ আর শাসকের দুর্নীতিকে হাতিয়ার করে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী বিরোধীরা ৷

ETV Bharat
ফাইল ছবি
author img

By

Published : Jul 7, 2023, 10:17 PM IST

Updated : Jul 7, 2023, 10:25 PM IST

বারাসত, 7 জুলাই: উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । মূলত উন্নয়নের ওপর ভর করেই বিরোধীদের কুপোকাত করতে চাইছে তারা । তবে, তার মধ্যেও রয়েছে নির্দল কাঁটা । এই জেলার বেশকিছু জায়গায় তৃণমূলের হয়ে টিকিট না পেয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন গোঁজ প্রার্থীরা । যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকের ।

আর তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের ফায়দা নিতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না বিরোধীরা । সেই সঙ্গে জেলাপরিষদের ফাঁক ফোকর তুলে ধরে শাসকদলের দিকে পালটা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । এবছর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উত্তর 24 পরগনা জেলায় আসন বেড়ে হয়েছে 5 হাজার 194টি । এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা 4 হাজার 535 । পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন যথাক্রমে 593 ও 66 । গ্রাম সংসদের মোট আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে 866টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসকদল । পঞ্চায়েত সমিতিতে 104টি এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসনে ভোটেই আগেই খাতা খুলে ফেলেছে তৃণমূল ।

অর্থাৎ, এবারও মোট 973টি আসনে বিনা লড়াইয়ে আগেই জয়লাভ করেছে শাসকদল । বাকি 4 হাজার 221টি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতে কোনও খামতি রাখছেন না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । তাই প্রচারে মূলত শাসকের দুর্নীতি, কাটমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস প্রত‍্যেক দলের প্রার্থীরা । তৃণমূলকে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ তারা । যদিও বিরোধীদের লড়াইয়ের মধ্যে রাখছেন না জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ‍্যক্ষ তথা তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, "বিগত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদ প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছে । রাস্তাঘাট,পানীয় জল,গরিব মানুষকে ঘর দেওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত উন্নয়নের কাজই হয়ে গিয়েছে । তবে, গ্রামীণ এলাকায় এখনও মূল রাস্তার ওপর পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন রয়েছে । সেগুলো আমরা জেলা পরিষদে ফের ক্ষমতায় এসে হাত দেব । এটুকু বলতে পারি, 35 শতাংশ কাজ আমরা শেষ করে ফেলেছি । হয়তো দেখা যাবে 5 শতাংশের মতো কাজ বাকি রয়েছে । মানুষ জানে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের বিকাশ ঘটাতে । তাই, বিরোধীরা লড়াই করলেও হালে পানি পাবে না "।

এবারও জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এবং বিধায়ক । তাঁর কথায়,"বিজেপি ভাবছে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করলেই নিজেদের উত্থান হবে । ওরা এটা চিন্তা করছে না যে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা আটকে দেওয়া মানে বিজেপির প্রান্তিক মানুষেরও ক্ষতি । তাঁরাও প্রকল্পের পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্র যদি রাজ‍্যের বকেয়া টাকা মেটাত, তাহলে আরও উন্নয়নের কাজ করা যেত। তা সত্ত্বেও রাজ‍্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন ৷ "

আরও পড়ুন: বুথের নিরাপত্তায় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ ? জাঁতাকলে কমিশন

যদিও,তৃণমূল বিধায়কের এই দাবিকে আমল দিতে চাননি বিরোধী শিবির । বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ও গ্রাম সংসদের দলীয় প্রার্থী পিকলু শর্মা বলেন, "রাজ্যের অধিকাংশ পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে । যে বিধায়ক বলছেন 95 শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে । তার দলই তো একসময় বলেছিল 99 শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে । এখন বলছে 95 শতাংশ । আমার মনে হয় 100 শতাংশ কাজের দাবি করলেই ভালো হত । যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে সেটা তৃণমূলের নেতা,মন্ত্রী,বিধায়কের । সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি।বরং মানুষের দুর্দশা আরও বেড়েছে । রাস্তাঘাট, পানীয় জলের অবস্থাও তথৈবচ । মানুষ তৃণমূলের আসল চেহারা বুঝে নিয়েছে।বিজেপি ক্ষমতা এলে সাধারণ মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে জোর দেবে । এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আমরাই ক্ষমতায় আসব । তৃণমূলের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ সাহার গলাতেও । তাঁর কথায়, উন্নয়ন হয়েছে শুধুমাত্র কাটমানির । কোথাও রাস্তা হলে সেই রাস্তা কয়েকদিনের মধ্যেই সাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । আবার কোথাও আলোর ব্যবস্থা হলে সেখানে সাতদিন কাটতে না কাটতে সেই আলো খারাপ হয়ে গিয়েছে । এটাই তৃণমূলের আসল উন্নয়ন! যা হয়েছে তার চেয়ে যেন প্রচার বেশি করা হচ্ছে । মানুষ তৃণমূলের আমলে বীতশ্রদ্ধ । ঠিকমতো ভোট দিতে পারলে জেলাপরিষদের ক্ষমতা শাসকদলের হাতছাড়া হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ।

আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার দায়িত্ব থাকবে কার হাতে, শনিবার সকাল থেকে ব্যালটে বন্দি হবে জনতার রায়

প্রসঙ্গত, বারাসত 2 নম্বর ব্লকের দাদপুর,কেমিয়া-খামারপাড়া এবং বারাসত 1 নম্বর ব্লকের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের বহু জায়গায় রাস্তাঘাটের অবস্থা এখনও বেহাল । খানাখন্দে ভরা সেই রাস্তাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমজনতা-কে । কিছু জায়গায় কল রয়েছে ঠিকই । কিন্তু জল নেই । ফলে জলের সমস্যাও এখনও মেটেনি বেশকিছু এলাকাতে । বিশেষত,ভারত-বাংলাদেশ ঘেঁষা সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকাতে জলের কষ্ট দীর্ঘদিনের । এখনও বহু মানুষকে পানীয় জলের জন্য ছুটে যেতে হয় দূর-দূরান্তে । তাছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা বৃষ্টি । তার জেরে জমা জলের নিত্য যন্ত্রণাও রয়েছে । এর থেকে কবে মুক্তি পাবেন তা অজানা গ্রামের বাসিন্দাদের । ভোটের সময় শুধু প্রতিশ্রুতিই মেলে । বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনা বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের ।

বারাসত, 7 জুলাই: উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখতে মরিয়া শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস । মূলত উন্নয়নের ওপর ভর করেই বিরোধীদের কুপোকাত করতে চাইছে তারা । তবে, তার মধ্যেও রয়েছে নির্দল কাঁটা । এই জেলার বেশকিছু জায়গায় তৃণমূলের হয়ে টিকিট না পেয়ে দলের মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধেই লড়াইয়ে নেমে পড়েছেন গোঁজ প্রার্থীরা । যা অস্বস্তি বাড়িয়েছে শাসকের ।

আর তৃণমূলের এই গোষ্ঠী কোন্দলের ফায়দা নিতে চেষ্টার কোনও কসুর করছে না বিরোধীরা । সেই সঙ্গে জেলাপরিষদের ফাঁক ফোকর তুলে ধরে শাসকদলের দিকে পালটা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিচ্ছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । এবছর ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে উত্তর 24 পরগনা জেলায় আসন বেড়ে হয়েছে 5 হাজার 194টি । এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা 4 হাজার 535 । পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসন যথাক্রমে 593 ও 66 । গ্রাম সংসদের মোট আসনের মধ্যে ইতিমধ্যে 866টি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে শাসকদল । পঞ্চায়েত সমিতিতে 104টি এবং জেলা পরিষদের তিনটি আসনে ভোটেই আগেই খাতা খুলে ফেলেছে তৃণমূল ।

অর্থাৎ, এবারও মোট 973টি আসনে বিনা লড়াইয়ে আগেই জয়লাভ করেছে শাসকদল । বাকি 4 হাজার 221টি আসনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দিতে কোনও খামতি রাখছেন না বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । তাই প্রচারে মূলত শাসকের দুর্নীতি, কাটমানি ইস্যুকে হাতিয়ার করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস প্রত‍্যেক দলের প্রার্থীরা । তৃণমূলকে একচুলও জায়গা ছাড়তে নারাজ তারা । যদিও বিরোধীদের লড়াইয়ের মধ্যে রাখছেন না জেলা পরিষদের বিদায়ী পূর্ত ও পরিবহণ কর্মাধ‍্যক্ষ তথা তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী ।

এই বিষয়ে তিনি বলেন, "বিগত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদ প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছে । রাস্তাঘাট,পানীয় জল,গরিব মানুষকে ঘর দেওয়া থেকে শুরু করে প্রায় সমস্ত উন্নয়নের কাজই হয়ে গিয়েছে । তবে, গ্রামীণ এলাকায় এখনও মূল রাস্তার ওপর পর্যাপ্ত আলোর প্রয়োজন রয়েছে । সেগুলো আমরা জেলা পরিষদে ফের ক্ষমতায় এসে হাত দেব । এটুকু বলতে পারি, 35 শতাংশ কাজ আমরা শেষ করে ফেলেছি । হয়তো দেখা যাবে 5 শতাংশের মতো কাজ বাকি রয়েছে । মানুষ জানে একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারে রাজ্যের সামগ্রিক উন্নয়নের বিকাশ ঘটাতে । তাই, বিরোধীরা লড়াই করলেও হালে পানি পাবে না "।

এবারও জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়েছেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা এবং বিধায়ক । তাঁর কথায়,"বিজেপি ভাবছে রাজ্যের উন্নয়ন স্তব্ধ করলেই নিজেদের উত্থান হবে । ওরা এটা চিন্তা করছে না যে কেন্দ্রীয় অনুদানের টাকা আটকে দেওয়া মানে বিজেপির প্রান্তিক মানুষেরও ক্ষতি । তাঁরাও প্রকল্পের পাওনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। কেন্দ্র যদি রাজ‍্যের বকেয়া টাকা মেটাত, তাহলে আরও উন্নয়নের কাজ করা যেত। তা সত্ত্বেও রাজ‍্যের মানবিক মুখ্যমন্ত্রী ধারাবাহিকভাবে উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন ৷ "

আরও পড়ুন: বুথের নিরাপত্তায় বাহিনী না রাজ্য পুলিশ ? জাঁতাকলে কমিশন

যদিও,তৃণমূল বিধায়কের এই দাবিকে আমল দিতে চাননি বিরোধী শিবির । বিজেপির যুব মোর্চার জেলা সভাপতি ও গ্রাম সংসদের দলীয় প্রার্থী পিকলু শর্মা বলেন, "রাজ্যের অধিকাংশ পঞ্চায়েতই তৃণমূলের দখলে । যে বিধায়ক বলছেন 95 শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে । তার দলই তো একসময় বলেছিল 99 শতাংশ কাজ হয়ে গিয়েছে । এখন বলছে 95 শতাংশ । আমার মনে হয় 100 শতাংশ কাজের দাবি করলেই ভালো হত । যেটুকু উন্নয়ন হয়েছে সেটা তৃণমূলের নেতা,মন্ত্রী,বিধায়কের । সাধারণ মানুষের কোনও উন্নয়ন হয়নি।বরং মানুষের দুর্দশা আরও বেড়েছে । রাস্তাঘাট, পানীয় জলের অবস্থাও তথৈবচ । মানুষ তৃণমূলের আসল চেহারা বুঝে নিয়েছে।বিজেপি ক্ষমতা এলে সাধারণ মানুষের সামগ্রিক উন্নয়নে জোর দেবে । এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে আমরাই ক্ষমতায় আসব । তৃণমূলের স্বপ্ন স্বপ্নই রয়ে যাবে ৷"

একই সুর শোনা গিয়েছে সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য দিলীপ সাহার গলাতেও । তাঁর কথায়, উন্নয়ন হয়েছে শুধুমাত্র কাটমানির । কোথাও রাস্তা হলে সেই রাস্তা কয়েকদিনের মধ্যেই সাধারণের চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে । আবার কোথাও আলোর ব্যবস্থা হলে সেখানে সাতদিন কাটতে না কাটতে সেই আলো খারাপ হয়ে গিয়েছে । এটাই তৃণমূলের আসল উন্নয়ন! যা হয়েছে তার চেয়ে যেন প্রচার বেশি করা হচ্ছে । মানুষ তৃণমূলের আমলে বীতশ্রদ্ধ । ঠিকমতো ভোট দিতে পারলে জেলাপরিষদের ক্ষমতা শাসকদলের হাতছাড়া হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা ।

আরও পড়ুন: গ্রাম বাংলার দায়িত্ব থাকবে কার হাতে, শনিবার সকাল থেকে ব্যালটে বন্দি হবে জনতার রায়

প্রসঙ্গত, বারাসত 2 নম্বর ব্লকের দাদপুর,কেমিয়া-খামারপাড়া এবং বারাসত 1 নম্বর ব্লকের ইছাপুর-নীলগঞ্জ পঞ্চায়েতের বহু জায়গায় রাস্তাঘাটের অবস্থা এখনও বেহাল । খানাখন্দে ভরা সেই রাস্তাতেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে আমজনতা-কে । কিছু জায়গায় কল রয়েছে ঠিকই । কিন্তু জল নেই । ফলে জলের সমস্যাও এখনও মেটেনি বেশকিছু এলাকাতে । বিশেষত,ভারত-বাংলাদেশ ঘেঁষা সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকাতে জলের কষ্ট দীর্ঘদিনের । এখনও বহু মানুষকে পানীয় জলের জন্য ছুটে যেতে হয় দূর-দূরান্তে । তাছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয় হোক কিংবা বৃষ্টি । তার জেরে জমা জলের নিত্য যন্ত্রণাও রয়েছে । এর থেকে কবে মুক্তি পাবেন তা অজানা গ্রামের বাসিন্দাদের । ভোটের সময় শুধু প্রতিশ্রুতিই মেলে । বাস্তবে তার কোনও প্রতিফলন ঘটেনা বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের ।

Last Updated : Jul 7, 2023, 10:25 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.