ETV Bharat / state

Madhyamik Result 2022 : ডাক্তার-বিজ্ঞানী-শিক্ষক নয়, বিপাশার স্বপ্ন ডব্লিউবিসিএস অফিসার হওয়ার

author img

By

Published : Jun 3, 2022, 9:36 PM IST

অদম্য জেদের কাছে হার মানল আর্থিক প্রতিকূলতা। মাধ্যমিকে 651 নম্বর পেয়ে বারাসতের বিপাশা তাক লাগিয়ে দিল সকলকে‌। ভবিষ্যতে ডব্লিউবিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় মাধ্যমিকের এই কৃতী ছাত্রী (Meritorious student of Madhyamik wants to be wbcs officer) ।

Meritorious student of Madhyamik
ডব্লিউবিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় মাধ্যমিকের এই কৃতী ছাত্রী

বারাসত, 3 জুন : কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে কি না হয় ! ইচ্ছাশক্তির কাছে দারিদ্রতা যে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সেটাই বুঝিয়ে দিল বারাসতের বিপাশা বোস। আর্থিক প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় 651 নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল এই মেধাবী ছাত্রী (Meritorious student of Madhyamik wants to be wbcs officer)। তার এই ফলাফলে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকেরা।

ভবিষ্যতে ডব্লিউ বিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় বিপাশা। সেই সঙ্গে ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও বসার ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে এত ভাল রেজাল্ট হওয়ার পিছনে বাবা-মার কৃতিত্বের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষিকাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে ভোলেনি সে ৷

উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বনমালিপুরে বাড়ি বিপাশার। বাবা বিষ্ণু বোস বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকাকর্মী। মা গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বিষ্ণু বাবু ৷ তাঁর কাজও জোটে না ঠিকমতো। মাসের 15 দিন কাজ থাকলে বাকি 15 দিন কাজ ছাড়াই বসে থাকতে হয় বাড়িতে। সামান্য আয়ে পরিবারের তিনজনের সংসার চলে কোনওরকমে। যেখানে অভাব-অনটন স্পষ্ট, সেখানে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সামলানো দম্পতির কাছে ছিল অলীক স্বপ্নের মতো। পরিবারে আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাশক্তির কাছে কার্যত হার মেনেছে দম্পতির একমাত্র মেয়ে বিপাশার অদম্য জেদ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছে সে।

মাধ্যমিকে 651 নম্বর পেয়ে বারাসতের বিপাশা তাক লাগিয়ে দিল সকলকে‌

আরও পড়ুন : কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় মাধ্যমিকে কলকাতায় প্রথম শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি

বারাসত গার্লস হাইস্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল বিপাশা। শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, সাতটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছে স্কুলের এই কৃতী ছাত্রী। প্রাপ্ত নম্বরও তাক লাগানোর মতো। 651 নম্বর পেয়ে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছেন সবাইকে। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত বিপাশার বাবা-মাও। দুপুরে মেয়ে স্কুল থেকে রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতেই য়েয়েকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আলিঙ্গন করছেন মা।

এই বিষয়ে বিপাশা বলে, "আর্থিক প্রতিকূলতা থাকলেও কখনও সেটা বুঝতে দেননি বাবা-মা। তাঁরা সবসময় চেষ্টা করেছেন পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে। আরও একটু ভাল রেজাল্ট হওয়ার আশা ছিল। সেটা উচ্চমাধ্যমিকে পূরণ করার চেষ্টা করব। আগামিদিন সায়েন্স না আর্টস নিয়ে পড়ব, সেটা স্কুলের দিদিমণিদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব। কারণ ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুটি বিভাগই যুক্ত রয়েছে।"

আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে দ্বিতীয় মালদার কৌশিকীর এত ভাল ফল কী করে হল ? জানল ইটিভি ভারত

সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে সে তুলে ধরেছে, নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে পড়াশোনার সিলেবাস সম্পন্ন করাকেই। অন্যদিকে, মেয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহমত পোষণ করেছেন বিপাশার বাবা বিষ্ণু বোসও।

বারাসত, 3 জুন : কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে কি না হয় ! ইচ্ছাশক্তির কাছে দারিদ্রতা যে কখনও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না, সেটাই বুঝিয়ে দিল বারাসতের বিপাশা বোস। আর্থিক প্রতিকূলতাকে পিছনে ফেলে এবছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় 651 নম্বর পেয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিল এই মেধাবী ছাত্রী (Meritorious student of Madhyamik wants to be wbcs officer)। তার এই ফলাফলে রীতিমতো উচ্ছ্বসিত পরিবারের লোকেরা।

ভবিষ্যতে ডব্লিউ বিসিএস অফিসার হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় বিপাশা। সেই সঙ্গে ইউপিএসসি-র সিভিল সার্ভিস পরীক্ষাতেও বসার ইচ্ছে রয়েছে তার। তবে এত ভাল রেজাল্ট হওয়ার পিছনে বাবা-মার কৃতিত্বের পাশাপাশি স্কুল শিক্ষিকাদের অবদানের কথা উল্লেখ করতে ভোলেনি সে ৷

উত্তর চব্বিশ পরগনার বারাসতের বনমালিপুরে বাড়ি বিপাশার। বাবা বিষ্ণু বোস বিএসএনএলের অস্থায়ী ঠিকাকর্মী। মা গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী বিষ্ণু বাবু ৷ তাঁর কাজও জোটে না ঠিকমতো। মাসের 15 দিন কাজ থাকলে বাকি 15 দিন কাজ ছাড়াই বসে থাকতে হয় বাড়িতে। সামান্য আয়ে পরিবারের তিনজনের সংসার চলে কোনওরকমে। যেখানে অভাব-অনটন স্পষ্ট, সেখানে মেয়ের পড়াশোনার খরচ সামলানো দম্পতির কাছে ছিল অলীক স্বপ্নের মতো। পরিবারে আর্থিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও ইচ্ছাশক্তির কাছে কার্যত হার মেনেছে দম্পতির একমাত্র মেয়ে বিপাশার অদম্য জেদ। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ভাল ফলাফল করে সেটাই যেন বুঝিয়ে দিয়েছে সে।

মাধ্যমিকে 651 নম্বর পেয়ে বারাসতের বিপাশা তাক লাগিয়ে দিল সকলকে‌

আরও পড়ুন : কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়তে চায় মাধ্যমিকে কলকাতায় প্রথম শ্রুতর্ষি ত্রিপাঠি

বারাসত গার্লস হাইস্কুল থেকে এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসেছিল বিপাশা। শুক্রবার মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রকাশিত হতেই দেখা যায়, সাতটি বিষয়ে লেটার মার্কস পেয়েছে স্কুলের এই কৃতী ছাত্রী। প্রাপ্ত নম্বরও তাক লাগানোর মতো। 651 নম্বর পেয়ে রীতিমতো অবাক করে দিয়েছেন সবাইকে। মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত বিপাশার বাবা-মাও। দুপুরে মেয়ে স্কুল থেকে রেজাল্ট নিয়ে বাড়ি ফিরতেই য়েয়েকে মিষ্টিমুখ করিয়ে আলিঙ্গন করছেন মা।

এই বিষয়ে বিপাশা বলে, "আর্থিক প্রতিকূলতা থাকলেও কখনও সেটা বুঝতে দেননি বাবা-মা। তাঁরা সবসময় চেষ্টা করেছেন পড়াশোনায় সহযোগিতা করতে। আরও একটু ভাল রেজাল্ট হওয়ার আশা ছিল। সেটা উচ্চমাধ্যমিকে পূরণ করার চেষ্টা করব। আগামিদিন সায়েন্স না আর্টস নিয়ে পড়ব, সেটা স্কুলের দিদিমণিদের সঙ্গে কথা বলে ঠিক করব। কারণ ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুটি বিভাগই যুক্ত রয়েছে।"

আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে দ্বিতীয় মালদার কৌশিকীর এত ভাল ফল কী করে হল ? জানল ইটিভি ভারত

সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে সে তুলে ধরেছে, নির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে পড়াশোনার সিলেবাস সম্পন্ন করাকেই। অন্যদিকে, মেয়ের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় সহমত পোষণ করেছেন বিপাশার বাবা বিষ্ণু বোসও।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.