হায়দরাবাদ: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ বা ভোট দেওয়ার জন্য় একটি গুরুত্ব পূর্ণ নথি ভোটার আইডি কার্ড ৷ শুধু তাই নয় সরকারি ও বেসরকারি কাজেও এই নথি পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি একটি অতি প্রয়োজনীয় নথি ৷ এখনও আর ভোটার কার্ডের আবদেনের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে বা সরকারি দফতরে গিয়ে আবেদন করতে হয় না ৷ অনলাইনেও ভোটার আইডি কার্ডের আবেদন করা যায় ৷ অনলাইনে কীভাবে আবেদন করতে হবে সেই সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য উল্লেখ করা হল ৷
ভোটার আইডি কী: ভারত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ৷ ভোট প্রদানের অধিকার রয়েছে সকলের। নির্বাচন কমিশন (EPIC) থেকে ভোটারদের ভোটার আইডি কার্ড দেওয়া হয়। যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয় ও ঠিকানাও রয়েছে । ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে শুরু করে সমস্ত রকম গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবহার করা হয় এই কার্ড ৷ ভোটার কার্ড প্রতিটি নাগরিকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ ও অত্যন্ত প্রয়োজনীয় নথি ৷
কারা ভোটার কার্ড পেতে পারেন
নাগরিকত্ব: ভারতের নাগরিকদের ভোটার কার্ড দেওয়া হয় ৷ এতে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যে ভারতের নাগরিক তার প্রমাণ মেলে ৷
বয়স: সাধারণত, নির্বাচনের তারিখে বা তার আগে আপনার বয়স কমপক্ষে 18 বছর হতে হবে।
বাসস্থান: আপনি যে এলাকায় ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করছেন সেই এলাকার বাসিন্দা হতে হবে।
অনলাইন আবেদন: ভোটার আইডি কার্ডের জন্য অনলাইন আবেদন প্রক্রিয়া আরও সহজ হয়েছে । আবেদন করতে নিচের দেওয়া তথ্য অনুসরণ করুন।
1. কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখুন: ভারত সরকারের নির্বাচন কমিশনের (ECI) অফিসিয়াল ওয়েবসাইট https://eci.gov.in বা যে রাজ্যের বাসিন্দা সেখানের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তার (CEO) ওয়েবসাইটে যেতে হবে ৷
2. নিবন্ধন/লগইন: যদি প্রথমবার ভোটা কার্ড আবেদন করেন তবে আপনাকে সংশ্লিষ্ট পোর্টালে লগ ইন করতে হবে ৷ নির্দেশিকা অনুযায়ী তথ্য নথিভুক্ত করতে হবে ৷ প্রাথমিক বিবরণ যেমন নাম, ইমেল ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিতে হবে।
3. কি আবেদন সম্পর্কিত তথ্য: একটি নতুন ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে বা সেটি আপডেট করতে চাইলে সেটা উল্লেখ করুন ৷ প্রথমবারের ভোটার আইডির জন্য নতুন কার্ডের আবেদন চিহ্নিত করেত হবে ৷
4. আবেদন পূরণ করুন: সমস্ত প্রয়োজনীয় বিবরণ দিয়ে অনলাইন আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে ৷
ব্যক্তিগত তথ্য: পুরো নাম, জন্ম তারিখ, লিঙ্গ ইত্যাদি।
ঠিকানা: যেখানে বসবাস করেন সেই ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে ।
পরিচয়, প্রমাণ: আপনার পরিচয় এবং ঠিকানা সম্পর্কিত নথির বিশদ বিবরণ উল্লেখ করুন ৷ আধার কার্ড, পাসপোর্ট বা ইউটিলিটি বিল ডকুমেন্ট হিসেবে আপলোড করতে পারেন ৷
5. ডকুমেন্ট আপলোড: প্রয়োজনীয় নথির স্ক্যান কপি আপলোড করুন। এর মধ্যে রয়েছে পরিচয়ের প্রমাণ (আধার কার্ড, পাসপোর্ট ইত্যাদি), ঠিকানার প্রমাণ (ইউটিলিটি বিল, ভাড়া চুক্তি ইত্যাদি) সাম্প্রতিক কালের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
6. চেক করুন এবং জমা দিন: উল্লেখ করা ডকুমেন্ট খতিয়ে দেখে তবে সাবমিট করুন। এছাড়াও আপলোড করা নথি যাচাই করা উচিত। সব তথ্য সঠিক হলে আবেদন জমা বাটনে ক্লিক করুন।
7. আবেদনের স্থিতি: জমা দেওয়ার পরে, রেফারেন্স নম্বর (নির্বাচনী তালিকা)-সহ একটি নম্বর আসবে ৷ ওয়েবসাইটে আপনার আবেদন ট্র্যাক করে একটি আইডি নম্বর পেতে পরেন ৷
8. ভোটার আইডি কার্ড পান: আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলে, আপনি আপনার নিবন্ধিত ঠিকানায় আপনার ভোটার আইডি কার্ড পাবেন। ই-ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারেন।
পুজোর আগেই রেশনকার্ডের E-KYC পুনর্নবীকরণ বাধ্য়তামূলক, জেনে নিন শেষ দিন কবে
সমস্যা সমাধান:
ভুল তথ্য: জমা দেওয়ার পরে আপনার আবেদনে কোনও ত্রুটি থাকলে, সেটি সংশোধনের জন্য স্থানীয় নির্বাচন অফিসে বা অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে যোগাযোগ করে সেগুলি সংশোধন করতে পারেন।
নথি প্রত্যাখ্যান: আপলোড করা সমস্ত নথি ভালো করে পরীক্ষা করা উচিত। ওয়েবসাইটে উল্লিখিত সমস্ত নথি সাবধানে পূরণ করতে হবে । প্রয়োজনে আবার আপলোড করুন।
প্রক্রিয়াকরণে বিলম্ব: রাজ্য এবং কমিশন অফিসের পদ্ধতির কারণে, আপনার ভোটার আইডি কার্ড পেতে বিলম্ব হতে পারে। আরও বিলম্বের ক্ষেত্রে, স্থানীয় নির্বাচন অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ফলোআপ করুন।
অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করার সুবিধা হল এটি ঘরে বসেই আপলোড করা যায় ৷ আবেদন কারার সময় কোনও তথ্য় বাকি না থাকলে সহজেই আবেদন করা যায় ৷ ভোটার কার্ড পেতেও কোনও সমস্যা হয় না । আরও তথ্যের জন্য নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান বা আপনার স্থানীয় নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করুন।