কেষ্টপুর, 30 অগস্ট: বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করে কাউন্সিলরের পা ধরতে হল মেয়ে ও মা'কে। এমনকী কাউন্সিলরের সামনে তাদের কান ধরতে হয় বলেও অভিযোগ ৷ যদিও বুধবার সেই প্রসঙ্গ এড়িয়ে গেলেন কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দী ৷
বিধাননগর পৌর নিগমের 17 নম্বর ওয়ার্ডের কেষ্টপুর প্রফুল্ল কানন অঞ্চলে বেআইনি কাজের প্রতিবাদ করেছিলেন বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দা মেয়ে ও মা'য়ের। আর তার জেরেই, মেয়ে ও মা'কে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দীর পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি কান ধরেও ক্ষমা চাইতে হয় বলে অভিযোগ ৷ শুধু তাই নয়, কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠদের হাতে মার খেতে হয় বলেও অভিযোগ করেছেন তারা ৷ কেষ্টপুর প্রফুল্ল কাননের বাসিন্দা ওই মা এবং মেয়ে-সহ গোটা পরিবার তাদের বাড়ির পাশেই গড়ে ওঠা একটি বহুতল নির্মাণের প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, বহুতল নির্মাণের প্রতিবাদ তারা কেন করেছেন, সেই কারণে স্থানীয় কাউন্সিলর আশুতোষ নন্দী তাদের ডেকে পাঠান তাঁর কার্যালয়ে।
সেখানে মেয়েকে একটি ঘরে আটকে রেখে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতিতা মেয়েটির অভিযোগ, তাঁকে একটি ঘরে বন্ধ করে মারধর করা হয়। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ মহিলারা তাঁর উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। ঘটনায় কাউন্সিলরের সামনে কান ধরতে হয় বলেও জানান তিনি ৷ এমনকী কেন তিনি প্রতিবাদ করেছেন, তার জন্য কাউন্সিলরের পা ধরতে বাধ্য করা হয় তাঁকে। তাঁর আরও অভিযোগ, কাউন্সিলর দাবি করেন এলাকায় বেআইনি কাজ হবে ৷ কাউন্সিলরের মদতেই তা সম্পন্ন হবে বলেও নাকি জানানো হয় তাদের।
আরও পড়ুন: নকশালবাড়ির পর এবার বাগডোগরায় যুবতীকে গণধর্ষণের অভিযোগ
মা ও মেয়ের আরও অভিযোগ, ওই ঘটনার পর থেকে তাদের রীতিমতো হুমকি দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে, বলা হচ্ছে তাদের প্রায় 60 বছরের পুরনো বাড়ি বেআইনি। যে বহুতল গড়ে উঠছে সেটা আইনি পথেই হচ্ছে। এই ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন ওই মেয়ে ও মা। কেবল নির্যাতিতা মা-মেয়ে নন, এলাকার অন্য বাসিন্দারাও কাউন্সিলরের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট। এবিষয়ে কাউন্সিলরের প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি রাখি নিয়ে এদিন ঐতিহাসিক বিবরণ দিতে শুরু করেন। সাংবাদিকরা বারবার এই ঘটনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করলে তিনি চেয়ার ছেড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যান ৷