কামারহাটি, 25 জুলাই: স্বামীকে খুনের অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে । সোমবার কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কর্মীর পঁচাগলা দেহ উদ্ধার হয় ৷ হাওড়ার গোলাবাড়ি থানা এলাকা থেকে বিপ্লব বোসের দেহ উদ্ধার হয় ৷ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী চৈতালী ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ বিপ্লব বোসের পরিবারের ৷ জানা গিয়েছে, প্রায় চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বিপ্লব ৷ গত 21 জুলাই তাঁর মা বেলঘড়িয়া থানায় একটি নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ৷ তার পরেই গতকাল রাতে গোলাবাড়ি এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷
বিপ্লব বোসের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, 10 বছর আগে তাঁর রাজারহাটের বাসিন্দা চৈতালী ভট্টাচার্যের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে হয় ৷ বাড়ির অমতে মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন দু’জনে ৷ তবে, পরবর্তী সময়ে বাড়ির লোকজন তাঁদের সম্পর্ক মেনেও নিয়েছিল ৷ জানা গিয়েছে, বিপ্লব বোস পরিবার নিয়ে কামারহাটি ইএসআই হাসপাতালের কোয়ার্টারে থাকতেন ৷ তাঁদের একটি মেয়েও রয়েছে ৷ কিন্তু, বিয়ের কয়েকমাসের মধ্যেই বিপ্লব এবং চৈতালীর মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় ৷ প্রায় দু’জনের মধ্যে অশান্তি হত বলে অভিযোগ ৷ এমনকি চৈতালী বিপ্লবকে মারধর করতেন বলে অভিযোগ আত্মীয়দের ৷
তাঁরা দাবি করেছেন, সাম্প্রতিককালে চৈতালীর সঙ্গে তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সম্পর্ক ছিল ৷ সেই নিয়ে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে অশান্তি হচ্ছিল ৷ গত 21 জুলাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান বিপ্লব ৷ এর আগেও তিনি বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন ৷ কিন্তু, পরে ফিরেও এসেছিলেন ৷ কিন্তু, এবার স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর অশান্তি অনেক বড় আকার নিয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের কাকিমা বিপ্লবী বোস ৷ তিনি জানিয়েছেন, বিপ্লব বেরিয়ে যাওয়ার পরেই চৈতালী কোয়ার্টার থেকে ব্যাগপত্র নিয়ে চলে যান ৷ জানা গিয়েছে তিনি বাপের বাড়িতে রয়েছেন ৷
আরও পড়ুন: সত্যি হল জ্যোতিষীর ভবিষ্যদ্বাণী ! কাঁকসায় রহস্যমৃত্যু টালিগঞ্জের তরুণের
কিন্তু, সারাদিন ছেলের কোনও খোঁজ না পেয়ে বিপ্লবের মা বেলঘড়িয়া থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন ৷ তদন্তে নেমে পুলিশ বিপ্লবের মোবাইল নম্বরের লোকেশন হাওড়ার গোলাবাড়িতে ট্র্যাক করে ৷ সেই সূত্রে সোমবার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ একটি পঁচাগলা দেহ উদ্ধার করে ৷ দেহটি বিপ্লবের পরিবারের সদস্যরা শনাক্ত করেছেন ৷ পুলিশ দেহটি কামারহাটিতে নিয়ে এসেছে ৷ আপাতত সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ৷ মৃতের আত্মীয়দের অভিযোগ চৈতালী স্বামীকে হত্যা করে দেহ লোপাট করেছেন ৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ৷ তবে, ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি ৷