ঠাকুরনগর, ৬ মার্চ : রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের। গতকাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা ঘোষণা করেন। আজ সকালে মৃতদেহ ঠাকুরনগরে পৌঁছানোর পর গান স্যালুটের প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু, শেষকৃত্য সম্পন্নর সময় নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বড়মার ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। বলেন, "বার্ধক্যজনিত কারণে মা মারা গেছেন। সেটা খুবই দুঃখের। কিন্তু মায়ের শেষকৃত্য নির্ভর করছে মতুয়াদের উপর। সেটাই উচিত। প্রশাসন যদি এসে জোর করে বলে শেষকৃত্য করে যেতে চাই, তাহলে তা দেখবে মতুয়ারা। তবে এর ফল ভালো হবে না।"
ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছেছে বড়মার মরদেহ। চলছে শেষশ্রদ্ধা জানানো। তারই মাঝে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মঞ্জুলকৃষ্ণ বলেন, "যেভাবে বাড়িতে ব্যারিকেড করা হয়েছে মতুয়ারা তাতে অস্বস্তিবোধ করছে। মতুয়ারা আজ মাতৃহারা। বড়মা তাদের মা। তারা এখানে আসতে বাধা পাচ্ছে। প্রশাসন চাইছে তাড়াতাড়ি শেষকৃত্য সম্পন্ন করার। কিন্তু সারা ভারতের মতুয়াদের বড়মা। তাঁর শেষকৃত্য হবে এটা বাড়িরলোকের ঠিক করা উচিত। আমার মা। আমরা বাড়ির লোকেরা ঠিক করব কখন কী করা যায়। তারা একটা গান স্যালুট দিয়ে চলে যেতে পারে। কিন্তু, শেষকৃত্য তাড়াতাড়ি করার চেষ্টা হলে এর ফল ভালো হবে না। তাদের তো মা নয়। তারা গায়ের জোরে এসব করছে। প্রশাসন একটু বেশিই করছে। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন। এটা তো হয় না। তাঁর ছেলে আছে, ছেলের বউ আছে। আর মতুয়ারা ঠাকুরবাড়ির অলংকার। তাঁরা কিন্তু এটা চাইছেন না।"
আপনি বলছেন বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যু হয়েছে কিন্তু আপনার ছেলে শান্তনু ঠাকুর বলছেন মৃত্যুর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে। সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, "হ্যাঁ, দু'দিন আগে কথা বললাম মায়ের সাথে। তারপর কী হল জানি না। মা মারা গেলেন।"