ETV Bharat / state

পুনরায় তৃণমূলে ফিরতে আবেদন করতে চান হুমায়ুন কবীর

CAA ও NRC নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনেই আস্থা সদ্য BJP ছেড়ে বেরিয়ে আসা হুমায়ুন কবীরের ৷ ফের তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আবেদন করতে চান হুমায়ুন৷ আজ বারাসত আদালতে পুরানো একটি মামলার হাজিরা দিতে এসে একথা বলেন তিনি ৷

Humayun Kabir wants to join again TMC
হুমায়ুন কবীর
author img

By

Published : Dec 20, 2019, 11:46 PM IST

বারাসত, 20 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন,2019 ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর ৷ সেই সঙ্গে পুনরায় তৃণমূলের যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি ৷

তিনি বলেন," NRC ও CAA-র প্রতিবাদ জানাতেই আমি BJP দল ছেড়েছি । স্বাধীনতার 73 বছর পর আবার নতুন করে দেশের 130 কোটি মানুষকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে৷ এটা খুব দুর্ভাগ্যের ও অসম্মানের । কেন্দ্রের BJP সরকার এই আইন মেনে দেশের নাগরিককে অসম্মান করেছে ৷" তিনি আরও বলেন,"সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সম্মতিতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 পাশ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই আইনের মধ্যে দিয়ে দেশের জনগণের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে । স্বাধীনতার 73 বছর পর নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ চাওয়ার কোনও মানে হয় না ।"

দেখুন ভিডিয়ো

সেই সঙ্গে BJP-কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, "CAA-র নামে আসলে কেন্দ্রের শাসক দল মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,মানুষের মধ্যে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করছে । গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, ছাত্র-যুব, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমন কী বিশিষ্টজনেরা এর বিরুদ্ধে পথে নেমে সোচ্চার হয়েছেন । তাই বলব, দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে অসম্মানিত করে CAA-র নামে যে জাতিভেদ, লড়াই ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ৷" এর পাশাপাশি CAA ও NRC নিয়ে মমতার অবস্থানকে সমর্থন করে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন । এখনও তিনি পথে নেমে আন্দোলন করছেন । তাই আমাদের সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনের পাশে থাকা । আমরা যারা রাজনীতি করি তাঁরা সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই রাজনীতি করি । সম্মান,আত্মমর্যাদা রক্ষা করা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনই বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাটাও দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের । অথচ কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল তা ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷"

পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমার ইচ্ছাতেই তো সবকিছু হবে না । তৃণমূল নেত্রী ও মুর্শিদাবাদ জেলার অবজ়ারভার শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছাকেই মান্যতা দিতে হবে । তবে তাঁরা চাইলে আমি নিশ্চয়ই তৃণমূলে যোগদান করব ৷"

বারাসত, 20 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন,2019 ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর ৷ সেই সঙ্গে পুনরায় তৃণমূলের যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি ৷

তিনি বলেন," NRC ও CAA-র প্রতিবাদ জানাতেই আমি BJP দল ছেড়েছি । স্বাধীনতার 73 বছর পর আবার নতুন করে দেশের 130 কোটি মানুষকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে৷ এটা খুব দুর্ভাগ্যের ও অসম্মানের । কেন্দ্রের BJP সরকার এই আইন মেনে দেশের নাগরিককে অসম্মান করেছে ৷" তিনি আরও বলেন,"সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সম্মতিতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 পাশ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই আইনের মধ্যে দিয়ে দেশের জনগণের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে । স্বাধীনতার 73 বছর পর নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ চাওয়ার কোনও মানে হয় না ।"

দেখুন ভিডিয়ো

সেই সঙ্গে BJP-কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, "CAA-র নামে আসলে কেন্দ্রের শাসক দল মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,মানুষের মধ্যে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করছে । গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, ছাত্র-যুব, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমন কী বিশিষ্টজনেরা এর বিরুদ্ধে পথে নেমে সোচ্চার হয়েছেন । তাই বলব, দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে অসম্মানিত করে CAA-র নামে যে জাতিভেদ, লড়াই ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ৷" এর পাশাপাশি CAA ও NRC নিয়ে মমতার অবস্থানকে সমর্থন করে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন । এখনও তিনি পথে নেমে আন্দোলন করছেন । তাই আমাদের সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনের পাশে থাকা । আমরা যারা রাজনীতি করি তাঁরা সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই রাজনীতি করি । সম্মান,আত্মমর্যাদা রক্ষা করা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনই বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাটাও দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের । অথচ কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল তা ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷"

পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমার ইচ্ছাতেই তো সবকিছু হবে না । তৃণমূল নেত্রী ও মুর্শিদাবাদ জেলার অবজ়ারভার শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছাকেই মান্যতা দিতে হবে । তবে তাঁরা চাইলে আমি নিশ্চয়ই তৃণমূলে যোগদান করব ৷"

Intro:NRC ও CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনেই আস্থা সদ্য বিজেপি ত্যাগী হুমায়ুন কবিরের। এই ইস্যুতে ফের তিনি যোগ দিতে চলেছেন তৃণমূলে। পুরনো একটি রাজনৈতিক মামলায় আজ দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন হুমায়ুন কবির। সেখানেই "ইটিভি ভারতের" মুখোমুখি হয়ে NRC ও CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে তৃণমূলের যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। Body:রাজু বিশ্বাস,বারাসতঃ-NRC ও CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনেই আস্থা সদ্য বিজেপি ত্যাগী হুমায়ুন কবিরের।সেই সঙ্গে,ফের তৃণমূলে যোগদানের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তিনি।পুরনো একটি রাজনৈতিক মামলায় আজ দুপুরে বারাসত বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন হুমায়ুন কবির।NRC ও CAA-র প্রতিবাদে সম্প্রতি বিজেপি দল ছেড়েছেন তিনি। আদালত থেকে বেরোনোর পর তাকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে " ইটিভি ভারতকে" হুমায়ুন কবির বলেন" হ্যাঁ,একথা ঠিক যে NRC ও CAA-র প্রতিবাদ জানাতেই আমি বিজেপি দল ছেড়েছি। স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর আবার নতুন করে দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে,এটা খুব দুর্ভাগ্যের ও অসম্মানের।কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এই আইন মেনে দেশের নাগরিককে অসম্মান করেছে"।তার কথায়,"২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে নোটিফিকেশন জারি করেছিল,তার ভিত্তিতে ভোটাররা ভোট দিয়েছিল।তাদের ভোটেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিল"।দেশের নাগরিকদের ভোটার লিস্টে যদি নামই না থাকবে,ভোটার কার্ড কিংবা আধার কার্ড যদি না থাকে,তাহলে তারা ভোট দিয়ে কিভাবে সাংসদ নির্বাচিত করলেন, পাল্টা কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন সদ্য বিজেপি ত্যাগী হুমায়ুন কবির।তাহলে কি আপনি NRC ও CAA নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ও বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ,অসন্তোষ প্রকাশ করেই দল ছেড়েছেন?" ইটিভি ভারতের" এই প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন কবির বলেন," নিশ্চয়। সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সম্মতিতে নাগরিকত্ব(সংশোধনী)বিল ২০১৯ পাস হয়েছে ঠিকই,কিন্তু এই বিলকে আইনে রুপ দিয়ে পক্ষান্তরে দেশের জনগনের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে।স্বাধীনতার ৭৩ বছর পর নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমান চাওয়ার কোনও মানে হয়না"। এনিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তোপ দেগে তিনি বলেন,"CAA-র নামে আসলে কেন্দ্রের শাসক দল মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,মানুষের মধ্যে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করছে।গোটা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ,ছাত্র-যুব, রাজনৈতিক নেতৃত্ব,এমনকি বিশিষ্টজনেরা এর বিরুদ্ধে পথে নেমে সোচ্চার হয়েছেন।তাই বলব, দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে অসম্মানিত করে CAA-র নামে যে জাতিভেদ, লড়াই ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত"।NRC ও CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে হুমায়ুন কবির বলেন," মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন।এখনও তিনি পথে নেমে আন্দোলন করছেন।তাই আমাদের সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনের পাশে থাকা।আমরা যারা রাজনীতি করে তারা সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই রাজনীতি করি।সম্মান,আত্মমর্যাদা রক্ষা করা যেমন আমাদের দায়িত্ব,তেমনই বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাটাও দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের।অথচ কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল তা ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে"।NRC ও CAA নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনকে সমর্থন করছেন।তাহলে কি আপনি ফের তৃণমূলে যোগদান করতে চলেছেন?"ইটিভি ভারতের" এই প্রশ্নের উত্তরে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে হুমায়ুন কবির বলেন," দেখুন আমার ইচ্ছাতেই তো সবকিছু হবে না। তৃণমূল নেত্রী ও মুর্শিদাবাদ জেলার অবজারভার,পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছাকেই মান্যতা দিতে হবে।তবে তারা চাইলে আমি নিশ্চয়ই তৃণমূলে যোগদান করব"।এ বিষয়ে আপনি কি তৃণমূল নেত্রী ও শুভেন্দু অধিকারী কাছে আপিল করবেন?এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন," আমি তৃণমূল দলে ফিরতে নিশ্চয় আপিল করব।সময় মতো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টাও করব"।Conclusion:সবমিলিয়ে NRC ও CAA ইস্যুতে বিজেপি ত্যাগী হুমায়ুন কবিরের ফের তৃণমূলে যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.