বারাসত, 20 ডিসেম্বর : নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন,2019 ও জাতীয় নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন মুর্শিদাবাদ জেলা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীর ৷ সেই সঙ্গে পুনরায় তৃণমূলের যোগদানের ইচ্ছে প্রকাশ করেন তিনি ৷
তিনি বলেন," NRC ও CAA-র প্রতিবাদ জানাতেই আমি BJP দল ছেড়েছি । স্বাধীনতার 73 বছর পর আবার নতুন করে দেশের 130 কোটি মানুষকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দিতে হচ্ছে৷ এটা খুব দুর্ভাগ্যের ও অসম্মানের । কেন্দ্রের BJP সরকার এই আইন মেনে দেশের নাগরিককে অসম্মান করেছে ৷" তিনি আরও বলেন,"সংসদের দুই কক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠ সাংসদের সম্মতিতে নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, 2019 পাশ হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এই আইনের মধ্যে দিয়ে দেশের জনগণের প্রতি অসম্মান করা হয়েছে । স্বাধীনতার 73 বছর পর নতুন করে নাগরিকত্ব প্রমাণ চাওয়ার কোনও মানে হয় না ।"
সেই সঙ্গে BJP-কে উদ্দেশ্যে করে বলেন, "CAA-র নামে আসলে কেন্দ্রের শাসক দল মানুষে মানুষে ভেদাভেদ,মানুষের মধ্যে লড়াই বাধানোর চেষ্টা করছে । গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে এনিয়ে মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে । বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, ছাত্র-যুব, রাজনৈতিক নেতৃত্ব, এমন কী বিশিষ্টজনেরা এর বিরুদ্ধে পথে নেমে সোচ্চার হয়েছেন । তাই বলব, দেশের ১৩০ কোটি মানুষকে অসম্মানিত করে CAA-র নামে যে জাতিভেদ, লড়াই ও অস্থিরতা তৈরি হয়েছে তা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ৷" এর পাশাপাশি CAA ও NRC নিয়ে মমতার অবস্থানকে সমর্থন করে তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী প্রথম থেকেই এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন । এখনও তিনি পথে নেমে আন্দোলন করছেন । তাই আমাদের সকলের উচিত মুখ্যমন্ত্রীর আন্দোলনের পাশে থাকা । আমরা যারা রাজনীতি করি তাঁরা সাধারণ মানুষের কল্যাণের কথা ভেবেই রাজনীতি করি । সম্মান,আত্মমর্যাদা রক্ষা করা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনই বিভিন্ন মানুষের মধ্যে সমন্বয় সাধন করাটাও দায়িত্ব রাজনৈতিক নেতাদের । অথচ কেন্দ্রের বর্তমান শাসকদল তা ভুলে গিয়ে মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷"
পুনরায় তৃণমূলে যোগদান করা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "আমার ইচ্ছাতেই তো সবকিছু হবে না । তৃণমূল নেত্রী ও মুর্শিদাবাদ জেলার অবজ়ারভার শুভেন্দু অধিকারীর ইচ্ছাকেই মান্যতা দিতে হবে । তবে তাঁরা চাইলে আমি নিশ্চয়ই তৃণমূলে যোগদান করব ৷"