ETV Bharat / state

সরকারি প্রকল্পে ঘর মেলেনি, মিলেছে প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা ! - প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিল ভাটপাড়ার দুই পরিবার । প্রকল্পের কাজ শুরু না হলেও ঘর পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা হাজির ওই দুই পরিবারের ঠিকানায় ।

প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা
author img

By

Published : Sep 13, 2019, 7:50 PM IST

Updated : Sep 13, 2019, 7:58 PM IST

ভাটপাড়া, 13 সেপ্টেম্বর : সরকারি প্রকল্পের বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় দেড় বছর আগে । কিন্তু, প্রকল্পের একটা ইটও গাঁথা হয়নি । অ্যাকাউন্টে আসেনি টাকা । এদিকে, বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছেছে ঘর পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা । গোটা ঘটনায় হতবাক জগদ্দলের দুই পরিবার ।

2018 সালের প্রথম দিকে জগদ্দলের স্থিরপাড়া রোডের দুটি পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস(আরবান) যোজনার জন্য আবেদন করে । রীতিমতো ধারদেনা করে ব্যাঙ্কে 25 হাজার 600 টাকা জমা দিয়েছিলেন । স্বপ্ন দেখেছিলেন এবার বোধহয় ভাঙা টালি আর টিনের চালের ঘরে থাকার দিন শেষ হবে । কিন্তু, সেগুড়ে বালি । কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর । পাকা বাড়ি তৈরি দূর-অস্ত একটা ইটও গাঁথা হয়নি । অ্যাকাউন্টে আসেনি টাকা । এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটা চিঠি এসে হাজির । চিঠি খুলেই হতবাক ভাটপাড়ার দুই পরিবার । সেখানে বাড়ি পাওয়ার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়েছে ।

আবেদনকারী এক পরিবারের সদস্য রীতা দাস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার আবেদনের সময় পৌরসভা থেকে বলা হয়, ICICI ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে । আমার স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করা হয় । এদিকে চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি শুভেচ্ছাবার্তা আসে । সেখানে লেখা আছে, ঘর পাওয়ার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে । আমি তো ঘরই পাইনি শুভেচ্ছা নেব কীভাবে ?"

দেখুন ভিডিয়ো
এপ্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, "এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত । তাহলেই আসল ঘটনা জানা যাবে ।"

ভাটপাড়া পৌরসভার পূর্ত দপ্তরের পৌর পারিষদ তথা BJP কাউন্সিলর সোহম চৌধুরি বলেন, "এবিষয়ে আমরা কিছুই জানি না । যদি তাঁরা সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাবেন ।"

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ব্যারাকপুরে মহকুমাশাসকের দপ্তরে গেলেও তাঁর দেখা পায়নি ওই দুটি পরিবার ।

ভাটপাড়া, 13 সেপ্টেম্বর : সরকারি প্রকল্পের বাড়ির জন্য আবেদন করেছিলেন প্রায় দেড় বছর আগে । কিন্তু, প্রকল্পের একটা ইটও গাঁথা হয়নি । অ্যাকাউন্টে আসেনি টাকা । এদিকে, বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছেছে ঘর পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা । গোটা ঘটনায় হতবাক জগদ্দলের দুই পরিবার ।

2018 সালের প্রথম দিকে জগদ্দলের স্থিরপাড়া রোডের দুটি পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস(আরবান) যোজনার জন্য আবেদন করে । রীতিমতো ধারদেনা করে ব্যাঙ্কে 25 হাজার 600 টাকা জমা দিয়েছিলেন । স্বপ্ন দেখেছিলেন এবার বোধহয় ভাঙা টালি আর টিনের চালের ঘরে থাকার দিন শেষ হবে । কিন্তু, সেগুড়ে বালি । কেটে গেছে প্রায় দেড় বছর । পাকা বাড়ি তৈরি দূর-অস্ত একটা ইটও গাঁথা হয়নি । অ্যাকাউন্টে আসেনি টাকা । এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটা চিঠি এসে হাজির । চিঠি খুলেই হতবাক ভাটপাড়ার দুই পরিবার । সেখানে বাড়ি পাওয়ার জন্য খোদ প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তা পাঠানো হয়েছে ।

আবেদনকারী এক পরিবারের সদস্য রীতা দাস বলেন, "প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার আবেদনের সময় পৌরসভা থেকে বলা হয়, ICICI ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে । আমার স্টেট ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট থাকা সত্ত্বেও নতুন অ্যাকাউন্ট খুলতে বাধ্য করা হয় । এদিকে চলতি মাসে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে একটি শুভেচ্ছাবার্তা আসে । সেখানে লেখা আছে, ঘর পাওয়ার জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে । আমি তো ঘরই পাইনি শুভেচ্ছা নেব কীভাবে ?"

দেখুন ভিডিয়ো
এপ্রসঙ্গে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক বলেন, "এর পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত । তাহলেই আসল ঘটনা জানা যাবে ।"

ভাটপাড়া পৌরসভার পূর্ত দপ্তরের পৌর পারিষদ তথা BJP কাউন্সিলর সোহম চৌধুরি বলেন, "এবিষয়ে আমরা কিছুই জানি না । যদি তাঁরা সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাবেন ।"

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ব্যারাকপুরে মহকুমাশাসকের দপ্তরে গেলেও তাঁর দেখা পায়নি ওই দুটি পরিবার ।

Intro:প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(আরবান) প্রকল্পের কোন ঘর না পাওয়া সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে নতুন ঘর পাওয়ার শুভেচ্ছা বার্তা চিঠি এলো বাড়িতে... Body:প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘরের জন্য আবেদন করার পর দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় পর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে শুভেচ্ছা বার্তা দিয়ে চিঠি পাঠানো হল জগদ্দলের 42/27 স্থিরপাড়া রোড এর দুটি পরিবারের কাছে।অথচ আবেদনকারী বিপ্লব দাস ও সন্তোষ দাস এর কাছে কোনো রকম ঘরের জন্য টাকা এ্যাকাউন্টে তো আসেইনি এবং তাদের ঘরও তৈরি হয়নি। তাহলে কিভাবে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই শুভেচ্ছা বার্তা চিঠি এলো তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

2018 সালের প্রথমদিকে এই দুই পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা(আরবান) প্রকল্পের মাধ্যমে পাকা বাড়ির জন্য ভাটপাড়া পৌরসভায় আবেদন জানায়।সেই আবেদন মঞ্জুর হওয়ার পর তারা তিন লক্ষ আশি হাজার টাকার পাকা ছাদের ঘর পাওয়ার জন্য নিয়ম অনুযায়ী একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে 25 হাজার 600 টাকা জমাও করেন। কিন্তু দীর্ঘ এক বছর কেটে গেলেও তাদের ঘর তৈরি হওয়া তো দূরের কথা একটাও ইঁট গাঁথা হয়নি এবং কোন টাকাও তাদের এ্যাকাউন্টে আসেনি। কিন্তু সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে এই প্রকল্পের পাকা বাড়ি পাওয়ার জন্য একটি শুভেচ্ছাবার্তা চিঠি তাদের বাড়িতে আসায় তারা হতবাক। কারণ তারা কোন রকম ঘর পায়নি, তাহলে কি করে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাওয়ার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠানো হলো।

বর্তমানে এই দুই পরিবারই ভাঙ্গা টালি আর টিনের চাল দেওয়া ঘরে বসবাস করছেন। বর্ষাকালে টিন আর আর টালির চাল দিয়ে জল পড়ে ঘর ভেসে যাওয়ার মতো পরিস্থিতি। তারা দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ। কোনরকমে ধারদেনা করে 25 হাজার 600 টাকা তারা রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকে জমা দিয়েছিলেন ভাঙা বাড়ি থেকে পাকা বাড়িতে থাকার স্বপ্ন নিয়ে। কিন্তু সেই স্বপ্নে জল ঢালা গেল প্রধানমন্ত্রী দপ্তর থেকে এই শুভেচ্ছাবার্তা পাওয়ার পর।

এদিকে উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা নৈহাটি বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানান এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হওয়া উচিত তাহলে আসল ঘটনা জানা যাবে। অন্যদিকে ভাটপাড়া পৌরসভার পূর্ত দপ্তরের পৌর পরিষদ সোহম চৌধুরী জানান তারা এ বিষয়ে কিছু জানেন না। কিন্তু যদি তারা সঠিকভাবে আবেদন করে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই তারা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ঘর পাবেন।

তাহলে কোথায় কি এমন ঘটনা ঘটলো যে এই দুই পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পাকা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হল। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে আদৌ কি তারা পাকা ঘর পাবেন?

তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে....Conclusion:তাহলে কোথায় কি এমন ঘটনা ঘটলো যে এই দুই পরিবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের পাকা ঘর পাওয়া থেকে বঞ্চিত হল। এই ঘটনার সঠিক তদন্ত হয়ে আদৌ কি তারা পাকা ঘর পাবেন?

তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে....
Last Updated : Sep 13, 2019, 7:58 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.