মধ্যমগ্রাম, 29 এপ্রিল : প্রচণ্ড গরমের মধ্যে শরীর সুস্থ রাখতে জল কিনে খাচ্ছেন ? কিন্তু যে জল খাচ্ছেন, ভেবে দেখেছেন সেটা কি আদৌও স্বাস্থ্যসম্মত ? কারণ এই গরমে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই রমরমিয়ে চলছে পানীয় জলের ব্যবসা ৷ শুক্রবার উত্তর 24 পরগনার মধ্যমগ্রামে একটি পানীয় জল প্যাকেজিং কারখানায় হানা দেয় বারাসত জেলা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এবং ফুড সেফটি অফিসাররা (eb raids at Madhyamgram water packaging company )। স্বাস্থ্যবিধির কোনও তোয়াক্কা না করেই এই জলের কারখানা চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ ইবি সূত্রে খবর, কারখানা থেকে প্রচুর রাসায়নিক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । জলের নমুনা পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য ।
মধ্যমগ্রামের দেশবন্ধু রোডে এই জলের কারবার ফেঁদে বসেছিলেন সুপ্রভাত পাল নামে এক ব্যক্তি । দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বেআইনিভাবে এই কারবার চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ । এনিয়ে অভিযোগও আসছিল জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের কাছে । অবশেষে শুক্রবার সকালে ফুড সেফটির অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে ওই ওয়াটার প্যাকেজিং কারখানায় হানা দেন এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের আধিকারিকরা । সেখানে প্রবেশ করেই চক্ষু চড়কগাছ তাঁদের । দেখেন, কারখানার ভিতরে রীতিমতো সাব মার্সিবল মেশিন বসিয়ে মাটির নীচ থেকে জল তোলা হচ্ছে । জেলা এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের ধারণা, সেই জল জারে ভরে বিক্রি করা হত মধ্যমগ্রাম সহ বিভিন্ন জায়গায় । এমনকি, পৌরসভার টাইম কলের জলও ভরে বিক্রি করা হত সেখান থেকে । তার জন্য কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না । দেরি না করে কারখানাটি সিল করে দেওয়া হয় । তবে, এই অভিযানের আগেই কারখানার মালিক গা ঢাকা দেয় ৷ তার খোঁজে তল্লাশি চলছে ।
আরও পড়ুন : Illegal Construction in Kolkata : কলকাতায় বেআইনি নির্মাণ বন্ধ করতে হাইকোর্টে মামলা বিজেপি নেতার
ইবি সূত্রে জানা গিয়েছে, কারখানা থেকে প্রায় 80টি জলের জার, 2 হাজার জলের ছিপি এবং নামিদামী কোম্পানির লেবেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে । স্থানীয় পৌরসভার নজর এড়িয়ে কীভাবে দিনের পর দিন এই জলের কারবার চলছিল ? এই প্রশ্ন উঠছে ৷ পৌরসভার নজরদারির অভাবকে দায়ি করা হচ্ছে ৷ যদিও অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় বলেই সাফাই দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।