ETV Bharat / state

ইছামতীতে ভাসানের উন্মাদনা ছিল, কিন্তু মিলন হল না দুই বাংলার - vijaya dashami, durga puja 2019

অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত বছরই ঘোষণা করে, ইছামতীতে ভাসন ঘিরে দুই বাংলার মিলন উৎসব করা যাবে না । চলতি বছরও একই নিয়ম জারি রইল । ইছামতীর মাঝ বরাবর BSF ও BGB-র কড়া নজরদারি ছিল ৷ দু'দেশের পতাকা বাঁধা নৌকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিভাজন রেখা ৷ দু'পারে ভাসানের উন্মাদনা থাকলেও দুই বাংলার মিলন হল না এবারও ।

প্রতিমা নিরঞ্জন
author img

By

Published : Oct 8, 2019, 11:16 PM IST

Updated : Oct 8, 2019, 11:23 PM IST

টাকি, 8 অক্টোবর : ইছামতীতে ভাসানের উন্মাদনা ছিল ৷ কিন্তু নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির জেরে মিলন হল না দুই বাংলার ৷ আজ দিনের শেষে এটাই ছিল উত্তর 24 পরগনার টাকিতে নিরঞ্জনের ছবি ৷

আগে দুর্গাপুজোর ভাসান ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা থাকত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও টাকিতে । ভাসান ঘিরে ইছামতীতে দুই বাংলার মিলন উৎসব উদযাপিত হত । কিন্তু গত বছর থেকে প্রশাসনিক নিরাপত্তার কড়াকড়ির জেরে এই মিলন উৎসবের সুরে তাল কেটেছে । অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত বছরই ঘোষণা করে, ইছামতীতে ভাসন ঘিরে দুই বাংলার মিলন উৎসব করা যাবে না । চলতি বছরও একই নিয়ম জারি রইল ।

দেখুন ভিডিয়ো...

মঙ্গলবার দুপুর থেকে ইছামতীর বুকে শুরু হয়েছিল নিরঞ্জন । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট ও টাকির বিভিন্ন বড় পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য একে একে টাকি ফেরিঘাটে আসেন । সেখান থেকে পরপর প্রতিমা নৌকায় তুলে ভাসানের জন্য মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ইছামতীর মাঝ বরাবর BSF ও BGB-র কড়া নজরদারি ছিল ৷ দু'দেশের পতাকা বাঁধা নৌকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিভাজন রেখা ৷ ওপারে বাংলাদেশের খুলনা ৷ সেখানকার প্রতিমাগুলির নিরঞ্জন ইছামতীর ওপারেই হয় । দু'পারে ভাসানের উন্মাদনা থাকলেও দুই বাংলার মিলন হল না এবারও ।

টাকি, 8 অক্টোবর : ইছামতীতে ভাসানের উন্মাদনা ছিল ৷ কিন্তু নিরাপত্তার বজ্র আঁটুনির জেরে মিলন হল না দুই বাংলার ৷ আজ দিনের শেষে এটাই ছিল উত্তর 24 পরগনার টাকিতে নিরঞ্জনের ছবি ৷

আগে দুর্গাপুজোর ভাসান ঘিরে বাড়তি উন্মাদনা থাকত উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট ও টাকিতে । ভাসান ঘিরে ইছামতীতে দুই বাংলার মিলন উৎসব উদযাপিত হত । কিন্তু গত বছর থেকে প্রশাসনিক নিরাপত্তার কড়াকড়ির জেরে এই মিলন উৎসবের সুরে তাল কেটেছে । অনুপ্রবেশ সংক্রান্ত সমস্যার কারণে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গত বছরই ঘোষণা করে, ইছামতীতে ভাসন ঘিরে দুই বাংলার মিলন উৎসব করা যাবে না । চলতি বছরও একই নিয়ম জারি রইল ।

দেখুন ভিডিয়ো...

মঙ্গলবার দুপুর থেকে ইছামতীর বুকে শুরু হয়েছিল নিরঞ্জন । বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বসিরহাট ও টাকির বিভিন্ন বড় পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য একে একে টাকি ফেরিঘাটে আসেন । সেখান থেকে পরপর প্রতিমা নৌকায় তুলে ভাসানের জন্য মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ ইছামতীর মাঝ বরাবর BSF ও BGB-র কড়া নজরদারি ছিল ৷ দু'দেশের পতাকা বাঁধা নৌকা দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বিভাজন রেখা ৷ ওপারে বাংলাদেশের খুলনা ৷ সেখানকার প্রতিমাগুলির নিরঞ্জন ইছামতীর ওপারেই হয় । দু'পারে ভাসানের উন্মাদনা থাকলেও দুই বাংলার মিলন হল না এবারও ।

Intro:প্রথা মেনে টাকি রাজবাড়ির বিসর্জন প্রস্তুতি শুরু! ইছামতীর উদ্দেশে রওনা দিলেন উমা।




বসিরহাটঃ প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন রীতি নীতি মেনে আজও সাবেকিয়ানায় যেমন পুজো হয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার ছোট্ট শহর টাকির জমিদার বাড়িতে। তেমনই এখানে উমার বিদায় দেওয়াও হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। টাকির পূবের বাড়ি নামে পরিচিত, এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছরেরও আগে থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে মায়ের বিসর্জন আসছে সূর্য সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে। ইছামতী নদীর ধারে টাকির এই পোড়ো জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আসছে
জমিদারদের ঘটে আজও হয় মায়ের বিসর্জন। বলা যায় মূলত এখান থেকেই বিসর্জন শুরু হয় দেবী দুর্গার। 'নবমীর নিশি'র কাছে আর্জি ছিল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যাওয়ার.. তবে প্রতিবারের মতোই সেই রাত পোহাতেই বিসর্জনের বোল বাংলার সর্বত্র। এদিন, সকাল থেকেই প্রথা মেনে উমার বিদায়ের প্রস্তুতিতে মেতে ছিল টাকির জমিদারবাড়ি। সিঁদুর খেলা , উলুধ্বনি,মিষ্টিমুখে রাজকীয় আড়ম্বরে ঘরের মেয়ে উমাকে এদিন বিদায় জানিয়েছেন টাকি রাজবাড়ির সদস্যরা।
বাড়ির লক্ষ্মীর ঝাঁপিটা শেষ বারের মতো মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে আনার মধ্যে, বাড়ির মহিলারা দীর্ঘ যাত্রার আগে মাকে কিছু খাইয়ে দেওয়ার পর মাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাজ বাড়ির সদস্যরা। স্থানীয়রা বলছেন, 'কথিত আছে টাকির জমিদারদের লাঠি, আর গোবরডাঙার জমিদারদের হাতি...' আজ সে সবই ইতিহাস। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোনও সদস্য এখন আর এখানে থাকেন না। তবে পুজো ক'টা দিন সদলবলে সকলেই হাজির হন এখানে।
এদিকে, ইছামতী নদীর মাঝ বরাবর চলছে কঠোর নিরাপত্তা, যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারীই ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা প্রবেশ করতে না পারে। তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে চোখে পড়ার মতো ওপার থেকে এ পারে। এপার থেকে ওপার যাওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রশাসন সেই দিকটা কঠোরভাবে নজর দিয়েছে।Body:প্রথা মেনে টাকি রাজবাড়ির বিসর্জন প্রস্তুতি শুরু! ইছামতীর উদ্দেশে রওনা দিলেন উমা।




বসিরহাটঃ প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন রীতি নীতি মেনে আজও সাবেকিয়ানায় যেমন পুজো হয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার ছোট্ট শহর টাকির জমিদার বাড়িতে। তেমনই এখানে উমার বিদায় দেওয়াও হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। টাকির পূবের বাড়ি নামে পরিচিত, এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছরেরও আগে থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে মায়ের বিসর্জন আসছে সূর্য সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে। ইছামতী নদীর ধারে টাকির এই পোড়ো জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আসছে
জমিদারদের ঘটে আজও হয় মায়ের বিসর্জন। বলা যায় মূলত এখান থেকেই বিসর্জন শুরু হয় দেবী দুর্গার। 'নবমীর নিশি'র কাছে আর্জি ছিল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যাওয়ার.. তবে প্রতিবারের মতোই সেই রাত পোহাতেই বিসর্জনের বোল বাংলার সর্বত্র। এদিন, সকাল থেকেই প্রথা মেনে উমার বিদায়ের প্রস্তুতিতে মেতে ছিল টাকির জমিদারবাড়ি। সিঁদুর খেলা , উলুধ্বনি,মিষ্টিমুখে রাজকীয় আড়ম্বরে ঘরের মেয়ে উমাকে এদিন বিদায় জানিয়েছেন টাকি রাজবাড়ির সদস্যরা।
বাড়ির লক্ষ্মীর ঝাঁপিটা শেষ বারের মতো মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে আনার মধ্যে, বাড়ির মহিলারা দীর্ঘ যাত্রার আগে মাকে কিছু খাইয়ে দেওয়ার পর মাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাজ বাড়ির সদস্যরা। স্থানীয়রা বলছেন, 'কথিত আছে টাকির জমিদারদের লাঠি, আর গোবরডাঙার জমিদারদের হাতি...' আজ সে সবই ইতিহাস। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোনও সদস্য এখন আর এখানে থাকেন না। তবে পুজো ক'টা দিন সদলবলে সকলেই হাজির হন এখানে।
এদিকে, ইছামতী নদীর মাঝ বরাবর চলছে কঠোর নিরাপত্তা, যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারীই ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা প্রবেশ করতে না পারে। তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে চোখে পড়ার মতো ওপার থেকে এ পারে। এপার থেকে ওপার যাওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রশাসন সেই দিকটা কঠোরভাবে নজর দিয়েছে।Conclusion:প্রথা মেনে টাকি রাজবাড়ির বিসর্জন প্রস্তুতি শুরু! ইছামতীর উদ্দেশে রওনা দিলেন উমা।




বসিরহাটঃ প্রায় তিনশো বছরের প্রাচীন রীতি নীতি মেনে আজও সাবেকিয়ানায় যেমন পুজো হয় ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনার ছোট্ট শহর টাকির জমিদার বাড়িতে। তেমনই এখানে উমার বিদায় দেওয়াও হয় প্রাচীন রীতি মেনেই। টাকির পূবের বাড়ি নামে পরিচিত, এই বাড়িতেই প্রায় তিনশো বছরেরও আগে থেকে ধারাবাহিক ভাবে হয়ে মায়ের বিসর্জন আসছে সূর্য সিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মেনে। ইছামতী নদীর ধারে টাকির এই পোড়ো জমিদার বাড়ি আজও ইতিহাসের সাক্ষী বহন করে আসছে
জমিদারদের ঘটে আজও হয় মায়ের বিসর্জন। বলা যায় মূলত এখান থেকেই বিসর্জন শুরু হয় দেবী দুর্গার। 'নবমীর নিশি'র কাছে আর্জি ছিল তাড়াতাড়ি ফুরিয়ে না যাওয়ার.. তবে প্রতিবারের মতোই সেই রাত পোহাতেই বিসর্জনের বোল বাংলার সর্বত্র। এদিন, সকাল থেকেই প্রথা মেনে উমার বিদায়ের প্রস্তুতিতে মেতে ছিল টাকির জমিদারবাড়ি। সিঁদুর খেলা , উলুধ্বনি,মিষ্টিমুখে রাজকীয় আড়ম্বরে ঘরের মেয়ে উমাকে এদিন বিদায় জানিয়েছেন টাকি রাজবাড়ির সদস্যরা।
বাড়ির লক্ষ্মীর ঝাঁপিটা শেষ বারের মতো মায়ের পায়ে ছুঁইয়ে আনার মধ্যে, বাড়ির মহিলারা দীর্ঘ যাত্রার আগে মাকে কিছু খাইয়ে দেওয়ার পর মাকে নিয়ে যাত্রা শুরু করেন রাজ বাড়ির সদস্যরা। স্থানীয়রা বলছেন, 'কথিত আছে টাকির জমিদারদের লাঠি, আর গোবরডাঙার জমিদারদের হাতি...' আজ সে সবই ইতিহাস। বর্তমানে এই জমিদার বাড়ির কোনও সদস্য এখন আর এখানে থাকেন না। তবে পুজো ক'টা দিন সদলবলে সকলেই হাজির হন এখানে।
এদিকে, ইছামতী নদীর মাঝ বরাবর চলছে কঠোর নিরাপত্তা, যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারীই ওপার বাংলা থেকে এপার বাংলা প্রবেশ করতে না পারে। তার জন্য পুলিশ প্রশাসন ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে চোখে পড়ার মতো ওপার থেকে এ পারে। এপার থেকে ওপার যাওয়ার কোনও উপায় নেই। প্রশাসন সেই দিকটা কঠোরভাবে নজর দিয়েছে।
Last Updated : Oct 8, 2019, 11:23 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.