বারাসত, ১২ ফেব্রুয়ারি : হাঁটুর ব্যথায় চলাফেরা বন্ধ হয়ে গেছিল। পরিস্থিতি এমন পর্যায় চলে গেছিল যে হাঁটু প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনও পথ ছিল না। এই অবস্থায় রোগীকে কলকাতার কোনও হাসপাতালে রেফার করেননি বারাসত জেলা হাসপাতালের ডাঃ অরিন্দম মজুমদার। নিজেদের হাসপাতালেই শুরু করেন হাঁটু প্রতিস্থাপনের তোড়জোড়। অবশেষে সাফল্য। বারাসত জেলা হাসপাতালে এধরনের জটিল অস্ত্রোপচার এই প্রথম।
বিড়ার বাসিন্দা ৬২ বছরের রেবতী রায়। বেশ কিছুদিন ধরে হাঁটুর ব্যথাটা বাড়ছিল। অবশেষে কিছুটা বাধ্য হয়েই বারাসত জেলা হাসপাতালের অস্থি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম মজুমদারের কাছে যান তিনি। দেখা যায় হাঁটুর প্রতিস্থাপন করাটা খুবই জরুরি। সোমবার সফলভাবে অস্ত্রোপচারের সম্পন্ন হয়।
ডাঃ অরিন্দম মজুমদার বলেন, "এই বয়সে এই ধরনের প্রতিস্থাপন একটু জটিল। তবু আমরা সফলভাবে রেবতী বায়ের বাঁ-হাঁটুর প্রতিস্থাপন করতে পেরেছি। অস্ত্রোপচারের পর পেন ম্যানেজমেন্ট ও ফিজিওথেরাপির জন্য আমরা একটি টিম গঠন করেছি। কারণ, এই ধরনের প্রতিস্থাপনের সাফল্য নির্ভর করে পোস্ট অপারেটিভ ম্যানেজমেন্টের ওপর। আশা করছি, উনি সাতদিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন।"
বারাসত হাসপাতাল সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, "অস্থি বিশেষজ্ঞ ডাঃ অরিন্দম মজুমদারের তত্ত্বাবধানে রেবতী রায় ৩০ জানুয়ারি হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন। প্রায় তিন লাখ টাকার এই প্রতিস্থাপন নিখরচায় করা হয়েছে।"