বিরাটি, 26 মার্চ : "মজবুত সরকার চাই না মজবুর সরকার?" আজ রাজ্যে এসে ভোটারদের কাছে এই প্রশ্নই ছুড়লেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। দমদমের BJP প্রার্থী শমীক ভট্টাচার্যের সমর্থনে আজ বিরাটিতে সভা করেন তিনি। সেখানে বলেন, "প্রথমে আমাদের নির্ণয় করতে হবে মজবুত সরকার চাই না কি মজবুর সরকার চাই। মজবুর সরকারের ভবিষ্যৎ কী হয় তা পশ্চিমবঙ্গবাসী ভালো করে জানে। দেবেগৌড়ার সরকার, ইন্দ্র কুমার গুজরাল, চন্দ্রশেখরের সরকার পাঁচ বছর চলেনি। মজবুর সরকার হলে একদল রাজনীতিকের লাভ হয় আর মজবুত সরকার হলে ভাঁওতাবাজদের কোনও লাভ হয় না।"
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আঞ্চলিক দলগুলিকে নিয়ে ইউনাইটেড ফ্রন্ট তৈরি করেছেন। তৃণমূল টার্গেট করেছে রাজ্যের সবকটি আসন জয় করে তারা দিল্লির মসনদে নির্ণায়কের ভূমিকা নেবে। তৃণমূল নেতাদের দাবি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে মমতার কাছে। যদিও এবার লোকসভার কোনও আসন থেকেই প্রার্থী হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে ভোটে না দাঁড়িয়ে কী ভাবে প্রধানমন্ত্রী হবেন তিনি? এই প্রশ্ন ছুড়ে আজ বিপ্লব দেব বলেন, "দিদি বলুন আপনি। আমাদের সামনে তো মোদি আছেন প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার। আপনার ক্যান্ডিডেট কে? আজকাল ল্যাপটপ ফেসবুকের জমানা চলে এসেছে। তারপরও মা বাবা জিজ্ঞাসা করে ছেলের নাম কী? আত্মীয়-স্বজন কেমন। অনেক কথা হয় তারপর কন্যাদান হয়। ছেলের পরিবারও দেখে মেয়েটা কেমন? তার বাবা মা কেমন। ছেলে মেয়ে বিয়ে করার সময় নাম ঠিকুজি দেখার পরই বিয়ে হয়। দেশের ভবিষ্যৎ নির্ণয় করবে ওই ক্যান্ডিডেট, তাহলে আমরা জিজ্ঞেস করব না দিদির ক্যান্ডিডেট কে? বাংলার মানুষ ক্যান্ডিডেট না দেখে অন্ধের মতো ভোট দেবে না।"
তিনি তারপরই বলেন, "এই নির্বাচন শমীকবাবুর নির্বাচন নয়, এই নির্বাচন BJP প্রেসিডেন্ট ঠিক করার নির্বাচন নয়। এই নির্বাচন নতুন ভারত গড়ার জন্য 130 কোটি ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ গড়ার। নরেন্দ্র মোদির স্বপ্নের ভারত তৈরি করার নির্ণায়ক নির্বাচন। তাহলে ক্যান্ডিডেট কে সামনে আসতে হবে। ভাঁওতাবাজি দিয়ে ভোট নিয়ে যাবেন তা হবে না দিদি। আপনি যদি প্রধানমন্ত্রী পদের দাবিদার ঘোষণা করতে পারেন তাহলে আমি আপনাকে ভোট দিয়ে যাব। বলুন দিদি হিম্মত থাকলে আসুন ত্রিপুরাতে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বলছে আপনি যদি ক্যান্ডিডেট ঘোষণা করতে পারেন তাহলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী আপনার হয়ে ভোট দেবে।"