বারাসত, 4 মে : গত বছর 14 মে পঞ্চায়েত ভোটের দিন উত্তর 24 পরগনা জেলায় ব্যপক নির্বাচনী সন্ত্রাসের পরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা খাদ্যমন্ত্রী অভিযোগ তুলেছিলেন, বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীরা ভোটে অরাজকতা সৃষ্টি করেছে । তা সত্ত্বেও চলতি লোকসভা ভোটের আগে বনগাঁর পেট্রাপোল ও ঘোজাডাঙা সীমান্ত খোলা থাকবে কি না, ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগেও সেই ব্যাপারে কিছু জানেন না জেলাশাসক তথা রিটার্নিং অফিসার অন্তরা আচার্য ।
সোমবার জেলার পাঁচ আসনের মধ্যে বনগাঁ ও ব্যারাকপুরে ভোটগ্রহণ । দুই লোকসভার প্রায় সাড়ে তিন হাজার বুথের মধ্য স্পর্শকাতর ও অতিস্পর্শকাতর বুথ কতগুলো সে প্রশ্নেও নীরব রইলেন জেলাশাসক । ভোটের দেড়দিন আগেও দিতে পারলেন না অবজ়ারভারদের নাম ও ফোন নম্বর । নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার সুরক্ষায় সাংবাদিকদের বেশিরভাগ প্রশ্নেই তিনি মৌনতা দেখালেন ।
প্রশ্ন উঠছে, জেলাশাসকের এই মৌনতা কেন ? তবে কি তথ্য সম্পর্কে জেলাশাসক নিজেই অন্ধকারে ? জেলাশাসক সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে বনগাঁ ও ব্যারাকপুর কেন্দ্রের ভোটের দু'দিন আগে নির্বাচন কেন্দ্রিক বহু তথ্যই দিতে পারলেন না । জেলাশাসক ব্যারাকপুরের CP বা উত্তর 24 পরগনার পুলিশ সুপারকে ছাড়াই সাংবাদিক বৈঠক ডেকে আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতে অরাজি হলেন । প্রতি বুথে হুইল চেয়ার দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যর্থতা মানলেন ।
এদিকে জেলাশাসকের পাশে বসা OC ইলেকশনকে ভোটের 48 ঘণ্টা আগে গাইঘাটা থানা এলাকায় শান্তনু ঠাকুরের দুর্ঘটনা নিয়ে করা প্রশ্ন কার্যত থামিয়ে দিলেন জেলাশাসক । প্রশ্ন উঠেছে ভোট নিয়ে বহু বিষয়ে জেলাশাসক নিজেই যেখানে অন্ধকারে, সেখানে অবাধ ভোট হবে তো ?