বারাসত, 3 অগস্ট : রাত জেগে টিকাকরণকেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ লাইনে অপেক্ষা ৷ করোনাবিধি শিকেয় তুলেই দাঁড়িয়ে রইলেন কয়েকশো মানুষ ৷ টিকা নিয়ে এখনও দুর্ভোগ কাটল না বারাসতবাসীর ৷ নতুন পুকুর এলাকায় সামনে এল চরম ভোগান্তির ছবি ৷ করোনার প্রতিষেধক পাওয়ার আশায় বারাসত পৌরসভা পরিচালিত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টারের সামনে রাতভর খোলা আকাশের নীচে অপেক্ষা করলেন কয়েকশো মানুষ ৷
আরও পড়ুন : calcutta High Court : রাজ্যে এই মুহূর্তে টিকাকরণের কী পরিস্থিতি, জানতে চাইল হাইকোর্ট
সোমবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শারীরিক দূরত্ববিধি শিকেয় তুলে গরমের মধ্যেই ঠেসাঠেসি করে বসে আছেন টিকা নিতে আসা মানুষজন ৷ তাঁদের মধ্যে প্রবীণ নাগরিকরাও রয়েছেন ৷ অনেকের মুখে মাস্কও নেই ৷ কারও মাস্ক থাকলেও তা ঠিক মতো নাকে-মুখে আটকানো নেই ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, টিকা না পাওয়ার আশঙ্কাতেই এই নিয়মভঙ্গ ৷ কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছিল, মঙ্গলবার সকালে 200 জনকে টিকা দেওয়া হবে ৷ আর তা শুনেই প্রথম 200 জনের তালিকায় নাম লেখাতে সোমবার রাত থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে পড়েন এলাকার মানুষজন ৷ এত মানুষের ভিড়ে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয় ৷
আরও পড়ুন : KMC COVAXIN: মঙ্গলবার থেকে শহরে ফের শুরু হচ্ছে কোভ্যাকসিনের টিকাকরণ
এই খবর কানে যেতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর সমীর তালুকদার ৷ তিনি সকলকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, এটি লাগাতার টিকাকরণ কর্মসূচির সূচনা ৷ শুধুমাত্র একদিনই টিকা দেওয়া হবে না ৷ দফায় দফায় সকলকেই টিকা দেওয়া হবে ৷ কিন্তু তারপরও ভিড় হালকা করতে পারেননি তিনি ৷ পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সমীর বলেন, ‘‘মানুষের সুবিধার্থেই টিকাকরণের বন্দোবস্ত করা হয়েছে ৷ ধাপে ধাপে সকলকেই টিকা দেওয়া হবে ৷ এটা একদিনের কর্মসূচি নয় ৷ কিন্তু এই পরিষেবা সচল রাখতে হলে মানুষকেও সহযোগিতা করতে হবে ৷ সকলকেই বোঝানোর চেষ্টা করছি ৷ যাতে তাঁরা কেউ ভিড় না করেন ৷ কিন্তু কেউই কথা শুনছেন না ৷ আমি কী করব ?’’