কলকাতা, ১৪ মার্চ : বাঁচানো গেল না অগ্নিদগ্ধ সাড়ে পাঁচ বছরের দিয়া দাসকে। আজ সকালে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার গোবরডাঙায় বাড়ি দিয়া দাসের। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হয় সে। তাকে প্রথমে হাবরা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে থেকে রেফার করা হয় বারাসত। এরপর সেখান থেকে কলকাতায় নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, SSKM হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল, বিধানচন্দ্র রায় শিশু হাসপাতাল। শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে শনিবার বিকাল পর্যন্ত সাত সাতটি হাসপাতাল ঘুরতে হয় পরিবারকে। কেউ বলেছে, বেড নেই। কেউ আবার পরিকাঠামো নেই বলে ফিরিয়ে দিয়েছিল ওই অগ্নিদগ্ধ শিশুকে। আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল থেকেও ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাকে। ওই শিশুর পরিবার হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। যার জেরে শনিবার বিকালে দিয়াকে ভরতি নেওয়া হয়েছিল আর জি করে।
আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ICU-তে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, দিয়ার শরীরের প্রায় ৯৫ শতাংশই পুড়ে গেছে। তার ফুসফুসে অনেক ধোঁয়া ঢুকে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক। দিয়ার চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ডও তৈরি করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু দিয়ার যা অবস্থা তাতে 'অলৌকিক' কোনও শক্তি ছাড়া তাকে বাঁচানো অসম্ভব, এমনই জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা।
দিন দিন দিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। শেষপর্যন্ত তাকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়। আজ সকালে ভেন্টিলেশনেই তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আজ আর জি করের MSVP(মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল) মানস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "চিকিৎসকরা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করেছেন। কিন্তু, আজ সকালে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তও করা হয়েছে।"