ETV Bharat / state

গোরুবোঝাই 14টি ট্রাক আটকাল BSF, ব্যবসায়ীদের চাবি ফেরত পুলিশের !

আটঘরায় গোরুবোঝাই 14টি ট্রাক আটকাল BSF । তাদের দাবি, পাচারের জন্য় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গোরুগুলিকে । যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে গোরু ব্য়বসায়ীরা ।

গোরু বোঝাই ট্রাক
author img

By

Published : Jun 24, 2019, 4:46 AM IST

বিধাননগর, 24 জুন : আটঘরায় গোরুবোঝাই 14টি ট্রাক আটকাল BSF । তাদের দাবি, বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে গোরুগুলি পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । তবে, ব্যবসায়ীদের দাবি, পাচারের জন্য নয় বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গোরুগুলি । সেই সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে বলে দাবি করেন গোরু ব্যবসায়ীরা ।

গতকাল লাউহাটির BSF ক্যাম্পের আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে গোরু পাচার সংক্রান্ত খবর আসে । সেইমতো BSF আধিকারিকরা গোরু পাচারকারীদের ট্র্যাক করতে শুরু করেন । আটঘরায় 14টি গোরুবোঝাই ট্রাক এলে জি এস চৌহান ও নীতীশ শর্মার নেতৃত্বে সেগুলিকে আটকে দেন জওয়ানরা । এরপরই জওয়ানদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় গোরু ব্যবসায়ীদের । BSF-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা । তাদের দাবি, গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে টাকা চাইছিল BSF ।

যদিও জওয়ানদের দাবি, রাজারহাট থেকে শাসন হয়ে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে পাচারের জন্য গোরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে গোরু ব্যবসায়ীরা । তাদের দাবি, বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গোরুগুলিকে । সেই সংক্রান্ত সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে ।

গোরু ব্যবসায়ী সুজাউদ্দিন ও আইয়ুব আলি মণ্ডল বলেন, "আমরা মেদিনীপুরের ঠাকুরদহ, চৌরঙ্গী ও হুগলির বিভিন্ন গ্রামীণ হাট থেকে গোরু কিনে নিয়ে আসছিলাম । হঠাৎ আটঘরায় আটকে দেয় BSF । আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে গেলে সেগুলি ছিনিয়ে নেয় BSF । আমাদের গাড়ির চাবিও নিয়ে নেয় । পাচারের কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না । গোরুগুলি উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম ।"

খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । BSF-এর থেকে গোরু ব্য়বসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ও গাড়ির চাবি নিয়ে ফিরিয়ে দেয় গোরু ব্যবসায়ীদের । তবে, থানা এলাকায় BSF-এর এই ধরনের অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই । এবিষয়ে BSF-কে জিজ্ঞাসা করা হয় । তারা জানায়, থানা এলাকায় এইসব ক্ষেত্রে অভিযান চালানোর এক্তিয়ার রয়েছে BSF-এর । তবে, পুলিশ জানায়, BSF-এর এক্তিয়ার সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে নেই । কিন্তু আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ তাদের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম ।

বিধাননগর, 24 জুন : আটঘরায় গোরুবোঝাই 14টি ট্রাক আটকাল BSF । তাদের দাবি, বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে গোরুগুলি পাচারের জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । তবে, ব্যবসায়ীদের দাবি, পাচারের জন্য নয় বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গোরুগুলি । সেই সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে বলে দাবি করেন গোরু ব্যবসায়ীরা ।

গতকাল লাউহাটির BSF ক্যাম্পের আধিকারিকদের কাছে গোপন সূত্রে গোরু পাচার সংক্রান্ত খবর আসে । সেইমতো BSF আধিকারিকরা গোরু পাচারকারীদের ট্র্যাক করতে শুরু করেন । আটঘরায় 14টি গোরুবোঝাই ট্রাক এলে জি এস চৌহান ও নীতীশ শর্মার নেতৃত্বে সেগুলিকে আটকে দেন জওয়ানরা । এরপরই জওয়ানদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় গোরু ব্যবসায়ীদের । BSF-কে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা । তাদের দাবি, গাড়িগুলি ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে টাকা চাইছিল BSF ।

যদিও জওয়ানদের দাবি, রাজারহাট থেকে শাসন হয়ে বসিরহাট সীমান্ত দিয়ে পাচারের জন্য গোরুগুলিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । কিন্তু অভিযোগ অস্বীকার করে গোরু ব্যবসায়ীরা । তাদের দাবি, বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল ওই গোরুগুলিকে । সেই সংক্রান্ত সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে ।

গোরু ব্যবসায়ী সুজাউদ্দিন ও আইয়ুব আলি মণ্ডল বলেন, "আমরা মেদিনীপুরের ঠাকুরদহ, চৌরঙ্গী ও হুগলির বিভিন্ন গ্রামীণ হাট থেকে গোরু কিনে নিয়ে আসছিলাম । হঠাৎ আটঘরায় আটকে দেয় BSF । আমরা বৈধ কাগজপত্র দেখাতে গেলে সেগুলি ছিনিয়ে নেয় BSF । আমাদের গাড়ির চাবিও নিয়ে নেয় । পাচারের কোনও উদ্দেশ্যই ছিল না । গোরুগুলি উত্তর ও দক্ষিণ 24 পরগনার বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাচ্ছিলাম ।"

খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ । BSF-এর থেকে গোরু ব্য়বসা সংক্রান্ত কাগজপত্র ও গাড়ির চাবি নিয়ে ফিরিয়ে দেয় গোরু ব্যবসায়ীদের । তবে, থানা এলাকায় BSF-এর এই ধরনের অভিযানের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই । এবিষয়ে BSF-কে জিজ্ঞাসা করা হয় । তারা জানায়, থানা এলাকায় এইসব ক্ষেত্রে অভিযান চালানোর এক্তিয়ার রয়েছে BSF-এর । তবে, পুলিশ জানায়, BSF-এর এক্তিয়ার সম্পর্কে কোনও নির্দেশিকা তাদের কাছে নেই । কিন্তু আইনশৃঙ্খলার ক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ তাদের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম ।

Intro:



নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর, ২৩ জুন: বাগুইআটি থানার অন্তর্গত আটঘরা এলাকায় ১৪টি গরু বোঝাই ট্রাক আটকানোয় বিএসএফের সঙ্গে পশুর কারবারীদের রবিবার বিকেলে উত্তপ্ত বচসা হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আটঘরা এলাকায়। বিএসএফের দাবি অবৈধভাবে পাচারের উদ্দেশ্যে গরুগুলি বসিরহাট সীমান্তের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের দাবি তাদের কাছে গরুর ব্যবসা সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। পাচার নয় তারা গরু গুলি বিভিন্ন কসাইখানায় নিয়ে যাচ্ছিল। পরে বাগুইআটি থানার পুলিশ এলে দুই পক্ষের বাচসা সাময়িকভাবে মিটে যায়।


বিএসএফের দাবী রাজারহাটের দিক থেকে শাসন হয়ে বসিরহাট সীমান্তের দিকে ১৪ টি ট্রাক বোঝাই করে গরু নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে গরু পাচারকারীরা। সূত্র মারফত এই খবর আসে লাউহাটি অবস্থিত বিএসএফ ক্যাম্পের আধিকারিকদের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে বি এস এফ পাচারকারীদের ট্র্যাক করতে শুরু করে। এরপর পাচারকারীদের গরুবোঝাই ১৪ টি ট্রাক আটঘরার কাছে এলে ট্রাক গুলিকে আটকে দেয় বিএসএফ জওয়ানরা। জানা যায় ওই বিএসএফ জওয়ানদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন জিএস চৌহান এবং নিতিশ শর্মা। এই ঘটনায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত আটঘরা এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বিএসএফ কে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বিএসএফ বাহিনী তাদের কাছে গাড়ি গুলি ছেড়ে যাবার বিনিময় টাকা দাবি করেছিল।

শাসনের বাসিন্দা এবং গরুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সুজাউদ্দিন এবং আইয়ুব আলী মন্ডল জানিয়েছেন তারা এবং বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী মিলে মেদিনীপুরের ঠাকুরদহ, চৌরঙ্গী এবং হুগলির বিভিন্ন গ্রামীণ হাট থেকে থেকে তারা গরু কিনে নিয়ে এসেছিলেন। তাদের কাছে এই ব্যবসা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র ছিল। সেই কাগজপত্র এবং গাড়ির চাবি ছিনিয়ে নেয় বিএসএফ। তারা পাচার নয় উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন কসাইখানার জন্য এই গরুগুলো নিয়ে কিনে এনেছিল।

Body:বিএসফের পাল্টা অভিযোগ গরুর ব্যবসার আড়ালে পাচারের জন্য রাজারহাট হয়ে বসিরহাট সীমান্তে গরু বোঝাই গাড়ি গুলো নিয়ে যাচ্ছিল গরুর কারবারিরা। সেই কারণেই তাদের আটক করা হয়। কিন্তু পাচারকারীরা স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশকে সঙ্গে নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে লাউহাটি বিএসএফ ক্যাম্প থেকে প্রচুর পরিমাণে বিএসএফ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। জনতা এবং বিএসএফের মধ্যে বচসার পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। তারা বি এস এফ এর কাছ থেকে কাগজপত্র এবং গাড়ির চাবি গরুর ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দিলে সাময়িকভাবে বিক্ষোভ উঠে যায়।

Conclusion:গরুর ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা শহরতলী এলাকায় বিএসএফের এই ধরনের অভিযান এর বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। রাজ্য পুলিশের থানা এলাকায় বিএসএফের কি কোন অভিযান চালানোর অধিকার রয়েছে। এ বিষয়ে বিএসএফ জওয়ানদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা বলেন এ বিষয়ে তাদের এক্তিয়ার রয়েছে। অন্যদিকে একই প্রশ্ন বাগুইআটি থানার পুলিশকে করা হলে তারা জানান বিএসএফের এখতিয়ার সম্পর্কে তাদের কাছে কোন নির্দেশিকা নেই। তবে আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্য পুলিশ তাদের ভূমিকা পালন করতে পারে সক্ষম।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.