বারাসত ,22 জানুয়ারি : সামনেই 34 নম্বর জাতীয় সড়ক । কয়েক মিটারের মধ্যেই রয়েছে সরকারি ও বেসরকারি স্কুল । তাছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারও আছে । তারপরও এমন একটি জায়গায় মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসক দলের স্থানীয় কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে । যদিও তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেছেন । গতকাল ওই দোকানটি খোলার কথা ছিল । কিন্তু, তার আগেই দোকানের শাটার নামিয়ে তাতে পোস্টার সাঁটিয়ে, দলীয় পতাকা টাঙিয়ে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় BJP কর্মী-সমর্থকরা । বারাসত পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , বারাসত পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মালঞ্চ এলাকায় গতকাল দুপুরে ওই মদের দোকান খুলতে আসে দোকানের কর্মচারীরা । সেই সময় তাদের বাধা দেয় BJP র স্থানীয় নেতা-কর্মীরা । বাধা পেয়ে দোকান না খুলেই ফিরে যায় তারা । এরপর, দোকানের শাটারে কয়েকটি পোস্টার সাঁটিয়ে দেয় BJP কর্মীরা । টাঙানো হয় ব্যানার ও দলীয় পতাকা । শাটার ছাড়াও দোকানের ঠিক সামনে BJP-র দলীয় পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয় । চলে বিক্ষোভ । পরে, খবর পেয়ে বারাসত থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে ।
BJP নেতা প্রতীক চট্টোপাধ্যায় ও বিকাশ কিশোর দাস বলেন, " গতকালই আমরা জানতে পারি এখানে একটি মদের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে । সারারাত দোকান সাজানোর কাজও চলেছে । আজ খোলার কথা ছিল মদের দোকানটি । আমরা জানতে পেরেই এলাকার লোকজনকে নিয়ে ওই মদের দোকান বন্ধ করে দিয়েছি । দোকানের শাটারে পোস্টার সাঁটিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছি । " তাঁরা জানান, দোকান থেকে 500 মিটারের মধ্যে সরকারি স্কুল রয়েছে । 100-150 মিটারের মধ্যে আরও দু'টি বাচ্চাদের বেসরকারি স্কুল রয়েছে । দোকানের সামনেই জাতীয় সড়ক । জাতীয় সড়কের ওপারে ডায়াগনস্টিক সেন্টার । তারপরও কীভাবে জনবহুল এলাকায় মদের দোকানের লাইসেন্স পেল, সেটাই আশ্চর্যের । " তাঁদের অভিযোগ," এলাকার তৃনমূল কাউন্সিলর ও প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি । তাই, আমরা এগিয়ে এসেছি । কোনওভাবেই আমরা এলাকার পরিবেশ নষ্ট হতে দেব না । প্রয়োজনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামব । "
ঘটনার পিছনে শাসকদলের স্থানীয় কাউন্সিলরের মদত রয়েছে বলে অভিযোগ BJP র । যদিও, অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য । বলেন, "এরকম কোনও ঘটনার কথা আমার জানা নেই । মদের দোকানের লাইসেন্স স্টেট এক্সাইজ ডিপার্টমেন্ট দিয়ে থাকে । লোকাল যে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হয়, তাতে কাউন্সিলরের সই লাগে না । এটাই সিস্টেম । এই সিস্টেমের মধ্যেই সরকার চলে । "
এই বিষয়ে বারাসতের মহকুমা শাসক তাপস বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হয় ৷কিন্তু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি । ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি ।