বনগাঁ, 26 মার্চ : নির্বাচনের আগে ফের দলবদলের হিড়িক উত্তর 24 পরগনায় ৷ সিপিআইএম, কংগ্রেস ও তৃণমূলের একাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে ৷ উত্তর 24 পরগনার বনগাঁয় সিপিআইএম ও কংগ্রেস নেতাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব ও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। গাইঘাটায় তৃণমূল নেতা ও দুই শতাধিক কর্মী সমর্থকের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন গাইঘাটার বিজেপি প্রার্থী সুব্রত ঠাকুর।
দলের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে বিজেপিতে যোগ দিলেন ফরওয়ার্ড ব্লকের প্রাক্তন জেলা সম্পাদক তথা রাজ্য কমিটির সদস্য মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী এবং উত্তর 14 পরগনা জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক তথা কংগ্রেস নেতা প্রবীর সেনগুপ্ত। মৃত্যুঞ্জয় ছাত্রজীবন থেকে সিপিআইএম করে এসেছেন ৷ পাশাপাশি দলের বিভিন্ন পদও সামলেছেন ৷ অন্যদিকে প্রবীর সেনগুপ্ত পরিচিত সক্রিয় কংগ্রেস কর্মী হিসাবে ৷ দুজনেই দলের বিভিন্ন কাজে অসন্তোষ হয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আগামীদিনে মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থেকেই বিজেপিতে যেগদান বলে জানান দলবদলু কর্মীরা ৷
অন্যদিকে গাইঘাটার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত ঠাকুরের হাত ধরে ইছাপুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত ঘোষের নেতৃত্বে তৃণমূল ছেড়ে দুই শতাধিক কর্মী সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করেন।
বিজেপিতে যোগদান করে মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, " বামফ্রন্ট তার নীতি আদর্শ হারিয়েছে। সিপিআইএম ধর্মনিরপেক্ষ দল ছিল। কিন্তু বর্তমানে তারা ধর্মীয় দলের সঙ্গে জোট করেছে। সে কারণেই দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম ৷" প্রবীর সেনগুপ্ত বলেন, " কংগ্রেস 34 বছর সিপিআইএমের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। কিন্তু শেষ দুই নির্বাচনে দেখতে পাচ্ছি সেই সিপিআইএমের হাত ধরে নিজেরা বাঁচতে চাইছে। সে কারণে আজ বিজেপিতে যোগদান ৷"
বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বনস্পতি দেব বলেন, " তৃণমূল ,কংগ্রেস , বামফ্রন্ট ছেড়ে এদিন 23 জন নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। "