কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: সিএফএসএল টিমের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, সিবিআইয়ের সময়ে চার্জশিট না-দেওয়া, ধৃত সন্দীপ ঘোষের একটি মামলায় জামিন ৷ এমন সমস্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সের সিবিআই দফতর ঘেরাও, বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশন প্রদানের কর্মসূচি নিয়েছিল মেডিকেল সার্ভিস সেন্টার, সার্ভিস ডক্টর ফোরাম এবং নার্সেস ইউনিটি । কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার তদন্তে ‘ঢিলেমি’র প্রতিবাদে পথে নামল ডাক্তারদের একাধিক সংগঠন ৷
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সিজিও কমপ্লেক্সের মেইন গেটে প্রতীকী তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় । সেই তালা পুলিশের পক্ষ থেকে খুলে দেওয়া হলে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। ব্যারিকেড ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা । পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয় । সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে আসে বিধাননগর পুলিশের বিরাট বাহিনী । আসেন বিধাননগর পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও । দীর্ঘক্ষণ বাদে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে থাকে । প্রতীকী তালা নিয়ে এসে সিবিআইয়ের দফতরে তালা বন্ধ করে দেওয়ারও পরিকল্পনা ছিল আন্দোলনকারীদের। সেই কাজটাই করেন তাঁরা।
আরজি করের পড়ুয়া-চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছিল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে ৷ যদিও দু’জনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দিতে পারেনি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ উল্টে গ্রেফতারির 90 দিনের মাথায় এই মামলায় জামিনমুক্ত হয়ে গিয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল ৷ তার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে পথে নামলেন বিক্ষোভকারীরা ৷ আর তার জেরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খেল পুলিশ।
এদিনের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘‘আরজি করের কাণ্ডে সিবিআই যে ভূমিকা দেখিয়েছে তাতে আমরা অবাক ৷ কলকাতা পুলিশও তাদের কাজ করেনি ৷ দেশের সর্বোচ্চ তদন্তকারী সংস্থা এরকম করলে আমরা কোথায় যাব ! এখন মনে হচ্ছে সিবিআইয়ের উপর ভরসা করা অন্যায় ৷’’ এর একদিন আগেই সিবিআইয়ের উপর চাপ বাড়ানোর কাজ শুরু করেছিল চিকিৎসকদের সংগঠন আইএমএ-র পশ্চিমবঙ্গ শাখা।