বনগাঁ, 4 জুন : বাংলাদেশি তরুণীকে আটকে রেখে গণধর্ষণের মামলায় দুই অভিযুক্তদের 20 বছরের কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকা জরিমানা সাজা ঘোষণা করেন বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা দায়ের আদালত (20 years of imprisonment on Bangladeshi gang-rape)। সঙ্গে 342 ডি ধারায় আরও ছয় মাস কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করেন বিচারক। মামলার সাড়ে সাত মাসের মধ্যে এই সাজার ঘোষণা করেন বিচারক শান্তুনু মুখোপাধ্যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দোষীদের নাম শরিফুল মল্লিক ও মহসিন বিশ্বাস। তারা উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা থানার হরিহর পুরের বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে আরও খবর, 2021 সালের অক্টোবর মাসে শরিফুল ও মহসিনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কাজের সন্ধানে চোরা পথে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন এক তরুণী। তরুণীকে শরিফুলের বাড়িতে বেশ কিছুদিন থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছিল তাদেরই তরফে।
অভিযোগ উঠেছিল, ওই বছরই অক্টোবরের 14 তারিখে বাড়ির পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে শরিফুল ও মহসিন। প্রথমে অভিযোগ ওঠে ওই মেয়েটি নাবালিকা ৷ তাই নাবালিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করে তাদের গ্রেফতার করে বাগদা থানার পুলিশ। সেই মামলার শুনানি শুরু হয় বনগাঁ অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক শান্তুনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে। পরবর্তীতে তরুণীর নাবালিকা হওয়ার কোনও প্রমাণ না মেলায় পকসো মামলা থেকে ধৃতদের মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু তরুণীকে গণধর্ষণের কারণে তাদের সাজা ঘোষণা করা হয় ৷
আরও পড়ুন : নাবালিকাকে গণধর্ষণ কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত ধৃত পাঁচ, তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা
সরকারি আইনজীবী অশোক কুমার প্রামাণিক বলেন, "সাড়ে সাত মাস বিচার প্রক্রিয়া চলার পর 31 মে অভিযুক্ত শরিফুল ও মহসিনকে দোষী সাব্যস্ত করে বিচারক। শনিবার অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতের বিচারক শন্তুনু মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে দুই অভিযুক্তকে গণধর্ষণের কারণে 20 বছরের কারাদণ্ড ও এক লক্ষ টাকার জরিমানা এবং 342 ডি ধারায় আরও 6 মাসের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করা হয়।"
অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সঞ্জয় দাস বলেন, "আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস এই মামলা নিয়ে হাইকোর্টে গেলে পসকো মামলার মতো এই মামলা থেকে আমরা নিষ্কৃতি পাব। আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে যাচ্ছি।"