বিধাননগর, 1 সেপ্টেম্বর : অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) কয়লা পাচার কাণ্ডের (Coal Smuggling Case) তদন্তের জন্য তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেকট (Enforcement Directorate) ৷ আর এই নিয়ে প্রশ্ন শুনে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) ৷ সাংবাদিকদের প্রশ্ন শুনে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘নাচব নাকি !’’
গত 11 অগস্ট গরু পাচার কাণ্ডে জড়িত সন্দেহে সিবিআই (CBI) গ্রেফতার করে অনুব্রত মণ্ডলকে ৷ 14 দিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর এখন তিনি বিচারবিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন ৷ তাঁর ঠিকানা এখন আসানসোল সংশোধনাগার ৷ বৃহস্পতিবার সেখান থেকেই তাঁকে নিয়ে আসা হয় বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্টে (Saltlake MP MLA Court) ৷ অন্য একটি মামলার শুনানির জন্য তাঁকে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছিল ৷
আদালতের সামনে গাড়ি থেকে নামতেই তাঁর উদ্দেশ্যে সাংবাদিকরা একের পর এক প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ৷ সেই সময়ই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডির তলব নিয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয় ৷ তখন তিনি উত্তরে বেশ খানিকটা ক্ষোভ নিয়ে বলেন, ‘‘নাচব নাকি !’’
সিবিআই বা ইডির (ED) তদন্ত নিয়ে বারবার প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজনৈতিক লড়াইয়ে না পেরে উঠে বিজেপি (BJP) তৃণমূল নেতাদের কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে হেনস্তা করছে বলে অভিযোগ ঘাসফুল শিবিরের ৷ কিন্তু দলের সেই অবস্থান থেকে কেন সরে এলেন অনুব্রত ? কেন প্রতিহিংসার তত্ত্ব তাঁর মুখে শোনা গেল না ? আপাতত এই প্রশ্নগুলিই ঘুরছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে ৷
অন্যদিকে এদিন যে মামলায় অনুব্রতকে বিধাননগরের এমপি-এমএলএ কোর্টে পেশ করা হয়, সেই ঘটনাটি ঘটেছিল 2010 সালে তৎকালীন অবিভক্ত বর্ধমানের মঙ্গলকোটে ৷ সেই মামলায় 15 জন অভিযুক্ত ৷ তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল কংগ্রেসের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডল ৷
আইনজীবীরা জানিয়েছেন, এই মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই হয়েছে ৷ গত 25 অগস্ট আদালত অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় ৷ সেই নির্দেশ মতো এদিন অনুব্রত-সহ অন্য অভিযুক্তদের আদালতে পেশ করা হয় ৷ সেখানে সাক্ষীদের বয়ান পড়ে শোনানো হয় ৷ তার পর অভিযুক্তদের থেকে তার প্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে চাওয়া হয় ৷ অনুব্রত মণ্ডল কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই মামলায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন ৷
আইনজীবীরা আরও জানান, আগামিকাল শুক্রবার থেকে এই মামলার সওয়াল জবাব শুরু হবে ৷ যেদিন আদালত রায় ঘোষণা করবে, সেদিন আবার অনুব্রত মণ্ডলকে হাজিরা দিতে হবে ৷
আরও পড়ুন : জানা নেই আর মনে পড়ছে না, সিবিআইয়ের প্রশ্নে একই উত্তর অনুব্রতর মুখে