ETV Bharat / bharat

'মানুষখেকো' বাঘ ধরতে কার্ফু জারি, বন্ধ এলাকার স্কুল-কলেজ - WAYANAD TIGER ATTACK

এলাকাবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে বাঘ ধরতে তৎপর প্রশাসন ৷ এক মহিলাকে হত্যা ও বনাধিকারিকের উপর হামলায় জড়িত মানুষখেকোর খোঁজে জারি তল্লাশি ৷

TIGER ATTACK IN WAYANAD KERALA
প্রতীকী ছবি (ইটিভি ভারত)
author img

By PTI

Published : Jan 27, 2025, 8:21 AM IST

ওয়েনাড় (কেরল), 27 জানুয়ারি: কফি বাগানে এক মহিলাকে খেয়ে ফেলার পর থেকে 'ওয়েনাড়ের ত্রাস'-কে ধরতে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন ৷ বনমন্ত্রী ও জেলা কালেক্টরেটের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৷ সেই কারণে মানন্তবাদি পৌরসভার ডিভিশন 1 (পাঁচরাকোল্লি), ডিভিশন 2 (পিলাকাভু) ও 36 নং ডিভিশনে (চিরাক্কারা) সোমবার সকাল 6টা থেকে 48 ঘণ্টার জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে ৷

এই এলাকাগুলির সমস্ত স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি, মাদ্রাসা ও টিউশন সেন্টার বন্ধ থাকবে ৷ যে সমস্ত পড়ুয়ারা অন্যত্র পড়তে যায়, তাদের 27 ও 28 জানুয়ারি ক্লাস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে ৷ যারা পিএসসি পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা বা পড়তে যান কোনও প্রতিষ্ঠানে তাদের সংশ্লিষ্ট ডিভিশন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

বনমন্ত্রী সসেন্দ্রনের বক্তব্য, যে বাঘটি কফি বাগানে রাধাকে হত্যা করেছে, একই বাঘ রবিবার এলাকায় টহল দেওয়ার সময় ব়্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য বনাধিকারিক জয়সূর্যকেও আক্রমণ করে ৷ ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ বারবার বাঘের আক্রমণ মানুষের জীবনের জন্য একটা দৈনন্দিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাতেই বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ রাজ্যে এই প্রথম কোনও বাঘ 'মানুষখেকো' হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ৷

বাঘের আক্রমণের ক্রমবর্ধমান সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । বাঘটিকে ধরার চেষ্টা চলছে ৷ জনসাধারণের উদ্বেগ সমাধানের জন্য মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং অন্যান্য আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসাবে ঘোষণা করা হয় ৷

বনমন্ত্রী আরও জানান, বাঘের আতঙ্কের জন্য আশেপাশের অঞ্চলে ঝোপঝাড় সাফ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ এই অঞ্চলগুলিতে নজরদারি জোরদার করা হবে । বর্ধিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে ওয়েনাড়ে 100টি নতুন ক্যামেরা বসানো হবে এবং 31 মার্চের মধ্যে রাজ্যজুড়ে 400টি এআই ক্যামেরা স্থাপন করা হবে ৷ যাতে নজরদারি জোরদার এবং বন্যপ্রাণী-সম্পর্কিত আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় ।

বন্যপ্রাণীদের থেকে আগত সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তার অভাবের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি ৷ তবে আশ্বাস দেন যে, কেন্দ্রকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হবে ।

বাঘের হামলায় মৃত রাধার বাড়িতে পরিদর্শনের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েন বনমন্ত্রী ৷ তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুলিশের সাহায্যে মন্ত্রী রাধার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর ছেলেকে একটি অস্থায়ী চাকরির প্রস্তাব দেন । পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জনগণকে সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আহ্বান জানান । তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ জানান যে, এই বিষয়ে আরও আলোচনা করার জন্য 29 জানুয়ারি আরেকটি বৈঠক করা হবে ।

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বাঘের আক্রমণে আহত বনাধিকারিক জয়সূর্যকে দেখতে হাসপাতালে যান । বাঘের আক্রমণে শুক্রবারও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা ৷ সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত রাধার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠাতে বাধা দেন এলাকাবাসী ৷ তারপর মন্ত্রীদের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে ও রাধার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷ এই ঘটনার জেরে বনবিভাগ বাঘটিকে ধরা বা মেরে ফেলার আদেশ জারি করে ৷ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (BNSS) 163 নং ধারার অধীনে বাঘ না ধরা পড়া পর্যন্ত মানন্তবাদী পৌরসভার চারটি বিভাগে সব রকম জনসমাগম প্রতিরোধ করার জন্য আদেশ দেওয়া হয় ৷

ওয়েনাড় (কেরল), 27 জানুয়ারি: কফি বাগানে এক মহিলাকে খেয়ে ফেলার পর থেকে 'ওয়েনাড়ের ত্রাস'-কে ধরতে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে প্রশাসন ৷ বনমন্ত্রী ও জেলা কালেক্টরেটের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসেবে ঘোষণা করা হয় ৷ সেই কারণে মানন্তবাদি পৌরসভার ডিভিশন 1 (পাঁচরাকোল্লি), ডিভিশন 2 (পিলাকাভু) ও 36 নং ডিভিশনে (চিরাক্কারা) সোমবার সকাল 6টা থেকে 48 ঘণ্টার জন্য কার্ফু জারি করা হয়েছে ৷

এই এলাকাগুলির সমস্ত স্কুল, অঙ্গনওয়াড়ি, মাদ্রাসা ও টিউশন সেন্টার বন্ধ থাকবে ৷ যে সমস্ত পড়ুয়ারা অন্যত্র পড়তে যায়, তাদের 27 ও 28 জানুয়ারি ক্লাস বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে ৷ যারা পিএসসি পরীক্ষার জন্য পরীক্ষা বা পড়তে যান কোনও প্রতিষ্ঠানে তাদের সংশ্লিষ্ট ডিভিশন কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷

বনমন্ত্রী সসেন্দ্রনের বক্তব্য, যে বাঘটি কফি বাগানে রাধাকে হত্যা করেছে, একই বাঘ রবিবার এলাকায় টহল দেওয়ার সময় ব়্যাপিড রেসপন্স টিমের সদস্য বনাধিকারিক জয়সূর্যকেও আক্রমণ করে ৷ ফলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে ৷ বারবার বাঘের আক্রমণ মানুষের জীবনের জন্য একটা দৈনন্দিন হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ তাতেই বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে ৷ রাজ্যে এই প্রথম কোনও বাঘ 'মানুষখেকো' হিসেবে ঘোষিত হয়েছে ৷

বাঘের আক্রমণের ক্রমবর্ধমান সমস্যা সমাধানের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় । বাঘটিকে ধরার চেষ্টা চলছে ৷ জনসাধারণের উদ্বেগ সমাধানের জন্য মুখ্যসচিব এবং অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করা হয় ৷ মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে অ্যাডভোকেট জেনারেল এবং অন্যান্য আইন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ করার পরে বাঘটিকে 'মানুষখেকো' হিসাবে ঘোষণা করা হয় ৷

বনমন্ত্রী আরও জানান, বাঘের আতঙ্কের জন্য আশেপাশের অঞ্চলে ঝোপঝাড় সাফ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে ৷ এই অঞ্চলগুলিতে নজরদারি জোরদার করা হবে । বর্ধিত বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনার অংশ হিসাবে ওয়েনাড়ে 100টি নতুন ক্যামেরা বসানো হবে এবং 31 মার্চের মধ্যে রাজ্যজুড়ে 400টি এআই ক্যামেরা স্থাপন করা হবে ৷ যাতে নজরদারি জোরদার এবং বন্যপ্রাণী-সম্পর্কিত আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায় ।

বন্যপ্রাণীদের থেকে আগত সমস্যা মোকাবিলায় সহায়তার অভাবের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনাও করেন তিনি ৷ তবে আশ্বাস দেন যে, কেন্দ্রকে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হবে ।

বাঘের হামলায় মৃত রাধার বাড়িতে পরিদর্শনের সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পড়েন বনমন্ত্রী ৷ তাঁর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয়রা ৷ প্রতিবাদ সত্ত্বেও পুলিশের সাহায্যে মন্ত্রী রাধার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাঁর ছেলেকে একটি অস্থায়ী চাকরির প্রস্তাব দেন । পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী আশ্বাস দেন যে, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং জনগণকে সরকারের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার আহ্বান জানান । তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই কাজের অগ্রগতি খতিয়ে দেখার প্রতিশ্রুতি দেন ৷ জানান যে, এই বিষয়ে আরও আলোচনা করার জন্য 29 জানুয়ারি আরেকটি বৈঠক করা হবে ।

এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি বাঘের আক্রমণে আহত বনাধিকারিক জয়সূর্যকে দেখতে হাসপাতালে যান । বাঘের আক্রমণে শুক্রবারও বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা ৷ সরকার জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত রাধার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠাতে বাধা দেন এলাকাবাসী ৷ তারপর মন্ত্রীদের আশ্বাসে বিক্ষোভ ওঠে ও রাধার দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয় ৷ এই ঘটনার জেরে বনবিভাগ বাঘটিকে ধরা বা মেরে ফেলার আদেশ জারি করে ৷ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার (BNSS) 163 নং ধারার অধীনে বাঘ না ধরা পড়া পর্যন্ত মানন্তবাদী পৌরসভার চারটি বিভাগে সব রকম জনসমাগম প্রতিরোধ করার জন্য আদেশ দেওয়া হয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.