নয়াদিল্লি, 27 জানুয়ারি: পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগে বিরাট দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই দুর্নীতির নেপথ্যে আছে রাজ্য সরকার । পাশাপাশি বেআইনিভাবে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের চাকরি বাঁচাতেও তৎপর ছিল প্রশাসন। সুপ্রিম কোর্টে এমনই দাবি করলেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। চাকরিপ্রার্থীদের একাংশের হয়ে তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা লড়ছেন।
2016 সালের এসএসসির মাধ্যমে নিয়োগ হওয়া প্রায় 26 হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট । 2024 সালের 22 এপ্রিলের সেই রায় চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে রাজ্য প্রশাসন। সেই মামলার শুনানিতে সোমবার এমন দাবি করেন চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য । এদিন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চে প্রায় দু'ঘণ্টা শুনানি হয় । পরবর্তী শুনানি 10 ফেব্রুয়ারি ।
এরপর 2024 সালের মে মাসের 7 তারিখ চাকরি বাতিলের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ জারি করে শীর্ষ আদালত । তবে মামলায় সিবিআইকে তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত । সেই মামলার শুনানি চলছে গত কয়েক মাস ধরে । এদিনের শুনানিতে চাকরিপ্রার্থীদের আইনজীবীরা দাবি করেন পুরো প্রক্রিয়াই বাতিল করে দেওয়া দরকার । তাঁরা এমনও দাবি করেন অস্বচ্ছ নিয়োগের নেপথ্যে আছে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি। তবে রাজ্য সরকার সেই প্রথম দিন থেকে দাবি করে আসছে এই 25,753 জনের মধ্যে অনেকেই নিয়ম মেনে চাকরি পেয়েছেন । এভাবে একলপ্তে সকলের নিয়োগ বাতিল করা মানে তাঁদের সঙ্গে অবিচার করা। পাশাপাশি স্বচ্ছ ও অস্বচ্ছ নিয়োগের মধ্যে ফারাক কীভাবে করা যাবে সেই প্রসঙ্গও উঠেছে শীর্ষ আদালতে।
এর আগে 15 জানুয়ারিও এই মামলা শুনেছিল সুপ্রিম কোর্ট । সেখানে যাঁদের চাকরি গিয়েছে তাঁদের তরফের একাধিক আইনজীবী দাবি করেন, এখন নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বাতিল করার কোনও যুক্তি নেই । তার কারণ এই চাকরিপ্রার্থীদের পরীক্ষায় বসার বয়স ইতিমধ্যেই পেরিয়ে গিয়েছে । তাই এভাবে চাকরি বাতিল করে দিলে তাঁদের সঙ্গে অন্যায় হবে। এদিন আবার উঠল প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতির প্রশ্ন।