গাইঘাটা (উত্তর 24 পরগনা), 2 জুলাই : দুই নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল পুলিশ প্রশাসন । উত্তর 24 পরগনার গাইঘাটার গুটড়ি ও দোগাছিয়া এলাকায় বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ এবং বিডিও ৷ তাঁদের কাছে অভিযোগ গিয়েছিল গুটরি ও দোগাছিয়ায় দুই নাবালিকার বিয়ে দেওয়া হচ্ছে ৷ খবর পেয়েই গাইঘাটা থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে গুটরি এবং পরে দোগাছিয়ায় অভিযান চালিয়ে বিয়ে দু’টি আটকায় প্রশাসন ৷ ঘটনায় দুই নাবালিকার পরিবারের লোকজনদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে ৷
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার একটি সমাজ কল্যাণ সমিতির তরফে বিডিও অফিসে গুটরি ও দোগাছিয়ায় নাবালিকার বিয়ের অভিযোগ করা হয় ৷ তৎক্ষণাৎ বিডিও-র (BDO) নেতৃত্বে গাইঘাটা থানার পুলিশ গুটরিতে প্রতাপ মণ্ডলের বাড়িতে অভিযান চালায় ৷ সেখানে তখন বিয়ের প্রস্তুতি তুঙ্গে, বর আসার অপেক্ষা করছিল সবাই ৷ ঠিক সেই সময় প্রশাসনের আধিকারিকরা সেখানে গিয়ে উপস্থিত হন ৷ প্রথমে পুলিশকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন সেখানে উপস্থিত সকলে ৷ বিডিও মেয়ের জন্ম প্রমাণপত্র দেখতে চান ৷ দেখা যায় প্রমাণপত্রে উল্লেখিত জন্ম সাল অনুযায়ী মেয়ের বয়স 17 বছর ৷ তৎক্ষণাৎ পুলিশকে দিয়ে বিয়ে বন্ধ করিয়ে দেন বিডিও ৷ সেই সঙ্গে নাবালিকার পরিবারের সদস্যদের বোঝানো হয়, যাতে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে দেওয়া না হয় ৷ একটি মুচলেকাও লিখিয়ে নেওয়া হয় ওই নাবালিকার পরিবারের তরফে ৷
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে নাবালিকাকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা, ভেস্তে দিল পুলিশ
এর পরেই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে দোগাছিয়ায় অভিযান চালান বিডিও ৷ সেখানে রাজু বাছার তাঁর নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ ৷ সেখানে তখন বিয়ের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছিল ৷ বর পৌঁছে গিয়েছিলেন ৷ আর তখনই পুলিশের উপস্থিতি ছন্দপতন ঘটে ৷ সেখানেও মেয়ের জন্মের প্রমাণপত্র দেখতে চাওয়া হয় ৷ জন্ম প্রমাণপত্র অনুযায়ী দেখা যায় রাজু বাছারের মেয়েও নাবালিকা ৷ এর পরেই বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন বিডিও ৷ ঘটনায় পাত্রপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়ে যে নাবালিকা তা তাঁরা জানতেন না ৷ সেখানেও দুই পরিবারের তরফে মুচলেকা দিয়ে জানানো হয়েছে, যে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার বিয়ে দেওয়া হবে না ৷