বারাসত, 19 মে : উত্তর 24 পরগনা জেলায় লাগাতার বাড়ছে করোনার সংক্রমণ ৷ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কোভিড হাসপাতালগুলিতে শয্যার চাহিদা ৷ কিন্তু হাসপাতালগুলিতে শয্যা অপ্রতুল হওয়ায় অনেক ক্ষেত্রেই করোনা আক্রান্ত রোগীকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করাতে বাধ্য হচ্ছেন পরিবারের সদস্যরা ৷ এতে অনেক সময় পরিবারের বাকিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে ৷ এই পরিস্থিতিতে কোভিড হাসপাতালগুলিতে শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল জেলা প্রশাসন ৷ স্থির হয়েছে, আগামী দু-একদিনের মধ্যেই জেলায় সরকারি স্তরে করোনার চিকিৎসার জন্য আরও 675 টি শয্য়া বাড়ানো হবে ৷
এছাড়াও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বারাসত এবং ব্যারাকপুরের দুটি বেসরকারি হাসপাতালকে শীঘ্রই কোভিড হাসপাতালে পরিণত করা হবে ৷ তার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ এর ফলে কোভিড শয্যার সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে ৷ যার সুবিধা পাবেন আক্রান্তরা ৷
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য জেলার কোভিড হাসপাতালগুলিতে মোট শয্যা রয়েছে 1 হাজার 933 টি ৷ কিন্তু, যেভাবে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে এই সংখ্যক শয্যা অপ্রতুল হয়ে পড়েছে ৷ আর সেই কারণেই শয্যার সংখ্য়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৷
জেলার ছটি কোভিড হাসপাতালে আরও 675 টি শয্য়া বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ বারাসত জেলা হাসপাতালে এই মুহুর্তে 600 কোভিড শয্যা রয়েছে ৷ এর মধ্যে প্রথম দফায় 100 টি শয্যা নিয়ে আলাদাভাবে করোনা ওয়ার্ড করা হয়েছিল ৷ বর্তমানে জেলা হাসপাতালে কোভিড আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আরও 200 টি শয্যা যোগ করা হয়েছে ৷ বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালেও অতিরিক্ত 150 টি শয্য়া বাড়ানো হয়েছে ৷ একইভাবে হাবরা এবং ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে 60 টি করে মোট 120 টি শয্যা বাড়ানো হয়েছে ৷ ব্যারাকপুরের বিএন বোস হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য 120 টি শয্য়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এছাড়া বসিরহাট মহকুমা হাসপাতালেও 85 টির বেশি শয্যা যোগ করা হয়েছে ৷
এদিকে,বুধবার থেকেই সম্ভাব্য করোনা রোগীদের নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা আরও দ্রুততার সঙ্গে করার উদ্যোগ নিয়েছে বারাসত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৷ এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘শ্বাসকষ্টের রোগীদের জরুরি বিভাগেই নমুনা সংগ্রহ করে করোনার পরীক্ষা করা হবে ৷ 15 মিনিটের মধ্যে তাঁদের রিপোর্টও দিয়ে দেওয়া হবে ৷ কোভিড পজিটিভ হলে তাঁদের ভর্তি করা হবে করোনা ওয়ার্ডে ৷ আর রিপোর্ট নেগেটিভ হলে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হবে অন্য ওয়ার্ডে ৷’’
আরও পড়ুন : নিজের বাড়িতে সেফ হোম বানিয়ে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসায় যুবক
অন্যদিকে, শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের বিষয়ে জেলাশাসক সুমিত গুপ্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শয্য়ার চাহিদাও বাড়ছে ৷ সেই কারণে আমরা জেলার দু’টি স্বাস্থ্য জেলায় আরও 675 টি শয্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি ৷’’