ব্যারাকপুর, 6 জুন: ব্যারাকপুরে দোকানে ঢুকে স্বর্ণব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার অভিযুক্ত ৷ ব্যারাকপুর আনন্দপুরীতে স্বর্ণব্যবসায়ীর ছেলে নীলাদ্রি সিং খুনের ঘটনায় ধৃত প্রধান অভিযুক্ত বিহারের বাসিন্দা আসিফ খান ওরফে আশিস কুমার ৷ সোমবার তার সনাক্তকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ব্যারাকপুর সাব জেলে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে তাকে সনাক্ত করেন হাওড়ার শিবপুরের এক বাসিন্দা।
গত 24 জুন সন্ধ্যায় ব্যারাকপুর আনন্দপুরীতে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে আসে একদল দুষ্কৃতী। আসিফের সঙ্গে এই ঘটনায় অপর দুই ধৃত সফি খান এবং জামসেদ আনসারিও ছিল বলে পুলিশ সূত্রের খবর । ব্যারাকপুরের সোনার দোকানে ডাকাতি করতে এসে খুনের ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিল এই আসিফ খান। পুলিশের কাছে খবর ছিল ঘটনার পর ওড়িশা হয়ে বিহারে গা-ঢাকা দিয়েছে সে।
সেইমতো পুলিশের বিশেষ টিম বিহারে পৌঁছয় এবং পটনা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করে। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে টিটাগড়ে আনার পর রবিবারই আসিফকে ব্যারাকপুর মহাকুমা আদালতে হাজির করিয়ে সনাক্তকরণের জন্য পুলিশের তরফে আবেদন করা হয়। আদালত তা মঞ্জুর করে এবং সেইমতো সোমবার আসিফের টিআইপ্যারেড (সনাক্তকরণ) হয়। মঙ্গলবার টিটাগড় থানার পুলিশ আসিফকে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে আবেদন জানায়। বিচারক আবেদন মঞ্জুর করে 10 দিনের পুলিশি হেফাজতে রায় দেন ৷
আরও পড়ুন: দিনহাটায় বাড়িতে ঢুকে গুলি করে খুন বিজেপি নেতাকে, এলাকায় উত্তেজনা
হেফাজতে পাওয়ার পর তদন্তে নেমে যে তথ্য ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে উঠে এসেছে সেই তথ্যের ভিত্তিতে সফি, জামসেদ এবং আসিফকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করবে। তাদের মধ্যে কে গুলি চালিয়েছিল সেটিও পুলিশ জানার চেষ্টা করবে। এই ঘটনায় ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া জানান, ধৃত সফির মামা জামসেদের সঙ্গে বিহারের জেলেই পরিচয় হয় আসিফ খানের ৷ আসিফ খানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বাকি ওই দুই দুষ্কৃতীর শীঘ্রই হদিশ পেতে চাইছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট।