ETV Bharat / state

কোরোনার থাবা উত্তর মালদার ঐতিহ্যবাহী কালীদৌড়ে, হবে না কালীমেলা - কোরোনার থাবা উত্তর মালদার ঐতিহ্যবাহী কালীদৌড়ে

SDPO সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এবছর কোনও শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না ৷

covid 19 pandemic
covid 19 pandemic
author img

By

Published : Nov 12, 2020, 10:53 PM IST

মালদা, 12 নভেম্বর : রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ করা হল উত্তর মালদার ঐতিহ্যবাহী কালীদৌড়ে। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এই উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের ৷ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রতুয়ার প্রসিদ্ধ গোবরজনা কালীপুজোর মেলাও ৷ আজ প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে উত্তর মালদা মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশ ৷

চাঁচল 2 ব্লকের মালতিপুর গ্রাম কালীদৌড়ের জন্য বিখ্যাত৷ পুজোর পরদিন, বিসর্জনের সময় এলাকার পুজো উদ্যোক্তারা কালীপ্রতিমা কাঁধে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় শামিল হন৷ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকে ৷ ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরে থেকেও অনেক মানুষ এই প্রতিযোগিতা দেখতে আসে৷ এমনকি বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও মানুষের ভিড় জমান৷ দর্শনার্থীদের ভিড় জমে রতুয়া 2 ব্লকের ভবানী পাঠক প্রবর্তিত গোবরজনা কালীমন্দিরেও৷ প্রতি বছর সেখানে কমবেশি ছ’হাজার পাঁঠাবলি হয়৷ পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় দু’কিলোমিটারজুড়ে মেলা বসে৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের কারণে এবার সবই বন্ধ হতে চলেছে৷


কোরোনা আবহে কালীপুজো নিয়ে আজ চাঁচল 1 ব্লক প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক হয়৷ বৈঠকে ছিলেন মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়, SDPO সজলকান্তি বিশ্বাস, চাঁচল 1-এর BDO সমীরণ ভট্টাচার্য, থানার IC সুকুমার ঘোষ সহ মহকুমার অন্য পাঁচটি ব্লকের প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরা৷ ছিলেন উত্তর মালদার বড় পুজো কমিটিগুলোর সদস্যরাও৷ বৈঠকের শেষে মহকুমা শাসক বলেন, “এবার কোরনার জন্য প্রতিটি পুজোয় শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে৷ ভিড় বাড়ানো চলবে না৷ কোনও বাজির ব্যবহার হবে না৷ এবার মেলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ৷ যেখানে বলিপ্রথা প্রচলিত রয়েছে, সেখানে সেই প্রথা মানা হবে৷ কিন্তু ভিড় করা যাবে না৷ প্রয়োজনে হাড়িকাঠের সংখ্যা বাড়াতে হবে৷ কোরোনার জন্য এবার কালীদৌড়ের প্রাচীন প্রথা পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না৷ কিন্তু আগের মতো কোনও প্রতিযোগিতা হবে না৷ যিনি প্রতিমা মাথায় নিয়ে দৌড়োবেন, শুধু তিনিই সেখানে থাকতে পারবেন৷ কোনও দর্শককে সেখানে যেতে দেওয়া হবে না৷ এনিয়ে আজ বিকেলে চাঁচল 2 ব্লকে বৈঠক হবে৷ বৈঠকের পরেই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷”

SDPO সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, “কোরোনাবিধি মেনেই এবার সমস্ত পুজোর আয়োজন করতে হবে৷ পুজো উদ্যোক্তাদের সেকথা বলে দেওয়া হয়েছে৷ এবার শুধু শব্দবাজি নয়, কোনও আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না৷ বাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে৷ কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এবছর কোনও শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না ৷ 17 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে ৷”

মালদা, 12 নভেম্বর : রাজ্যের কোরোনা পরিস্থিতির জেরে বন্ধ করা হল উত্তর মালদার ঐতিহ্যবাহী কালীদৌড়ে। গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখতে এই উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের ৷ স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে রতুয়ার প্রসিদ্ধ গোবরজনা কালীপুজোর মেলাও ৷ আজ প্রশাসনিক বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে উত্তর মালদা মহকুমা প্রশাসন ও পুলিশ ৷

চাঁচল 2 ব্লকের মালতিপুর গ্রাম কালীদৌড়ের জন্য বিখ্যাত৷ পুজোর পরদিন, বিসর্জনের সময় এলাকার পুজো উদ্যোক্তারা কালীপ্রতিমা কাঁধে নিয়ে দৌড় প্রতিযোগিতায় শামিল হন৷ প্রতিযোগিতায় পুরস্কারের ব্যবস্থাও থাকে ৷ ব্লক প্রশাসনের সহায়তায় প্রতি বছর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়৷ শুধু জেলা নয়, জেলার বাইরে থেকেও অনেক মানুষ এই প্রতিযোগিতা দেখতে আসে৷ এমনকি বিহার ও ঝাড়খণ্ড থেকেও মানুষের ভিড় জমান৷ দর্শনার্থীদের ভিড় জমে রতুয়া 2 ব্লকের ভবানী পাঠক প্রবর্তিত গোবরজনা কালীমন্দিরেও৷ প্রতি বছর সেখানে কমবেশি ছ’হাজার পাঁঠাবলি হয়৷ পুজোকে কেন্দ্র করে প্রায় দু’কিলোমিটারজুড়ে মেলা বসে৷ কিন্তু কোরোনা ভাইরাসের কারণে এবার সবই বন্ধ হতে চলেছে৷


কোরোনা আবহে কালীপুজো নিয়ে আজ চাঁচল 1 ব্লক প্রশাসনিক ভবনে একটি বৈঠক হয়৷ বৈঠকে ছিলেন মহকুমা শাসক সব্যসাচী রায়, SDPO সজলকান্তি বিশ্বাস, চাঁচল 1-এর BDO সমীরণ ভট্টাচার্য, থানার IC সুকুমার ঘোষ সহ মহকুমার অন্য পাঁচটি ব্লকের প্রশাসন ও পুলিশের আধিকারিকরা৷ ছিলেন উত্তর মালদার বড় পুজো কমিটিগুলোর সদস্যরাও৷ বৈঠকের শেষে মহকুমা শাসক বলেন, “এবার কোরনার জন্য প্রতিটি পুজোয় শারীরিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে৷ ভিড় বাড়ানো চলবে না৷ কোনও বাজির ব্যবহার হবে না৷ এবার মেলা পুরোপুরি নিষিদ্ধ৷ যেখানে বলিপ্রথা প্রচলিত রয়েছে, সেখানে সেই প্রথা মানা হবে৷ কিন্তু ভিড় করা যাবে না৷ প্রয়োজনে হাড়িকাঠের সংখ্যা বাড়াতে হবে৷ কোরোনার জন্য এবার কালীদৌড়ের প্রাচীন প্রথা পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না৷ কিন্তু আগের মতো কোনও প্রতিযোগিতা হবে না৷ যিনি প্রতিমা মাথায় নিয়ে দৌড়োবেন, শুধু তিনিই সেখানে থাকতে পারবেন৷ কোনও দর্শককে সেখানে যেতে দেওয়া হবে না৷ এনিয়ে আজ বিকেলে চাঁচল 2 ব্লকে বৈঠক হবে৷ বৈঠকের পরেই এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে৷”

SDPO সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, “কোরোনাবিধি মেনেই এবার সমস্ত পুজোর আয়োজন করতে হবে৷ পুজো উদ্যোক্তাদের সেকথা বলে দেওয়া হয়েছে৷ এবার শুধু শব্দবাজি নয়, কোনও আতশবাজি ব্যবহার করা যাবে না৷ বাজির বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে৷ কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এবছর কোনও শোভাযাত্রার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না ৷ 17 নভেম্বরের মধ্যে সমস্ত প্রতিমা বিসর্জন করতে হবে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.