ETV Bharat / state

'ভুল' খবরে পথ হারাল দমকল, মায়ের সামনে আগুনে পুড়ল নাবালক

হাসিমারা দমকল আধিকারিক ভাস্কর রায় বলেন, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন বেরিয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের কাছে খবর এসেছিল রায়মাটাং খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। অনেক পরে খবর আসে গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। আমাদের ইঞ্জিন যখন পৌঁছায় তখন দেখি গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।"

আগুনে পুড়ে মৃত্যু নাবালকের
author img

By

Published : Mar 10, 2019, 9:07 PM IST

আলিপুরদুয়ার, ১০ মার্চ : মায়ের চোখের সামনেই ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা গেল নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে।

গতরাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের শ্রমিক রজনি টোপ্পোর বাড়িতে। ওই সময় রজনির ছয় বছরের পুত্র রাজ ঘরেই ছিল। রজনি বলেন, "আমি রাজকে ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে গেছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে আগুন লেগে গেছে। দাউদাউ করে জ্বলছে কাঠের ঘর। আমি ছুটে ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুরো ঘরটাই গ্রাস করে আগুন। ঘরের ভিতর থেকে ছেলের চিৎকার শুনতে পাই।" তারপরে কী হয়েছে ? সেটা অবশ্য জানা নেই রজনির। কারণ তিনি ছেলের চিৎকার শুনেই সংজ্ঞা হারান।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থানে ছুটে আসে। আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু পথ ভুল করায় হ্যামিল্টনগঞ্জ দমকলের আসতে বেশ খানিকটা দেরি হয়। হাসিমারা দমকল আধিকারিক ভাস্কর রায় বলেন, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন বেরিয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের কাছে খবর এসেছিল রায়মাটাং খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। অনেক পরে খবর আসে গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। আমাদের ইঞ্জিন যখন পৌঁছায় তখন দেখি গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।" পরে কালচিনি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ দেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আলিপুরদুয়ার, ১০ মার্চ : মায়ের চোখের সামনেই ঘরের মধ্যে আগুনে পুড়ে মারা গেল নাবালক। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুরদুয়ারের কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে।

গতরাতে হঠাৎই আগুন লেগে যায় গাঙ্গুটিয়া চা বাগানের শ্রমিক রজনি টোপ্পোর বাড়িতে। ওই সময় রজনির ছয় বছরের পুত্র রাজ ঘরেই ছিল। রজনি বলেন, "আমি রাজকে ঘরে রেখে পাশের বাড়িতে গেছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরে আগুন লেগে গেছে। দাউদাউ করে জ্বলছে কাঠের ঘর। আমি ছুটে ঘর পর্যন্ত পৌঁছাতেই পুরো ঘরটাই গ্রাস করে আগুন। ঘরের ভিতর থেকে ছেলের চিৎকার শুনতে পাই।" তারপরে কী হয়েছে ? সেটা অবশ্য জানা নেই রজনির। কারণ তিনি ছেলের চিৎকার শুনেই সংজ্ঞা হারান।

স্থানীয়রা ঘটনাস্থানে ছুটে আসে। আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দমকলেও খবর দেওয়া হয়। কিন্তু পথ ভুল করায় হ্যামিল্টনগঞ্জ দমকলের আসতে বেশ খানিকটা দেরি হয়। হাসিমারা দমকল আধিকারিক ভাস্কর রায় বলেন, "খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দমকলের ইঞ্জিন বেরিয়ে পড়েছিল। তবে আমাদের কাছে খবর এসেছিল রায়মাটাং খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। কিন্তু ওখানে গিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি। অনেক পরে খবর আসে গাঙ্গুটিয়া খাস বস্তিতে আগুন লেগেছে। আমাদের ইঞ্জিন যখন পৌঁছায় তখন দেখি গ্ৰামবাসীরা নিজেরাই আগুন নিভিয়ে দিয়েছে। তবে কীভাবে আগুন লাগল তা আমরা খতিয়ে দেখছি।" পরে কালচিনি থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আজ দেহ ময়নাতদন্তের জন‍্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

Intro:আলিপুরদুয়ারঃ-কর্ম সংস্থানের অভাব।মৃত্যু হাতে নিয়ে পেটের টানে বনদফতরের হাতি চালাতে এগিয়ে আসছে যুব সমাজ।
বনদফতরের হাতি চালাতে দক্ষ মাহুতের অভাব পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান সহ গোটা উত্তরবঙ্গে।Body:মাহুত পরিবারের উওরসূরি মাহুত হবে সেই ট্রাডিশন এখন আর নেই। তাই চিরাচরিত প্রথা ভেঙ্গে এখন বনদফতরের মাহুত হতে লাইন পড়েছে কর্মহীন বেকার যুবসমাজের।
২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত তিনজন মাহুতকে পদপিষ্ট করে খুন করেছে বনদফতরের কুনকি হাতি। ২০১৭ সালের আগেও এধরনের অনেক ঘটনার সাক্ষি হয়ে রয়েছে জলাদাপাড়া বনদফতর এবং মাহুত পরিবার। স্বাভাবিক কারনেই মৃত্যু ভয় থেকে মাহুতের পরিবারের পরের প্রজন্ম মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে বনদফতরের হাতি চালানোর কাজ থেকে। বরং তারা আজ বিকল্প কাজের সন্ধানে ব্যাস্ত।
যদিও বনদফতরের এতে খুব একটা অসুবিধায় পড়তে হয়নি।বনদফতরের তরফে মাহুত হবার সার্কুলার জারি হতেই কর্মহীন বেকার যুবসমাজের হিড়িক পড়েছে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানে।
সেই মোতাবেক চিলাপাতায় শুরু হয়েছে মাহুত প্রশিক্ষণ শিবির। চিলাপাতা শিবির শেষ হলেই ৯ই মার্চ মাদারিহাটে ফের তিনদিনের মাহুত প্রশিক্ষণ শিবির চালু হবে। নবাগতদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন ভারতবর্ষের হাতি বিষারদ পার্বতি বড়ুয়া। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডি,এফ,ও কুমার বিমল জানান চোরাশিকারি, কাঠচোরদের থেকে জঙ্গল বাচাতে নিয়মিত জঙ্গলে পেট্রোলিং দরকার। এই মূহুর্তে জলদাপাড়ায় ৮২ টি কুনকি হাতি রয়েছে। তাদের পরিচালনা করতে দক্ষ মাহুতের প্রয়োজন।
এখন আর সেই ট্রাডিশন নেই যে মাহুতের পরিবারের লোকেরাই মাহুত হবে।এখন সাধারণ পরিবারের যুবসমাজ থেকেও মাহুত হবার প্রশিক্ষন নিচ্ছে। তাদের জন্যই এই প্রশিক্ষণ শিবির।
Conclusion:শালকুমার হাটের এক যুবক জানান ফরেষ্টের সরকারি চাকরি হাতছাড়া করবো কেন?এখন ডি,এল(ডেইলি লেবার) হিসেবে কাজে যোগদান করবো। পরে পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। আর জীবনের ঝুকি কোন কাজে নেই?

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.