ETV Bharat / state

শুখা নদীর পাড় খুঁড়ে তেষ্টা মেটায় পুরুলিয়ার ভাটিন গ্রাম

author img

By

Published : Jun 7, 2021, 1:30 PM IST

Updated : Jun 7, 2021, 7:13 PM IST

জলকষ্টে জেরবার পুরুলিয়ার আগরডি-চিতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটিন গ্রামের মানুষ ৷ গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের কোনও পাইপলাইন নেই ৷ খান কয়েক পাতকুয়ো, নলকূপ থাকলেও সেসবের জল পানের অযোগ্য ৷ তাই শুকিয়ে যাওয়া নদীর পাড়ের বালি খুঁড়ে, সেই গর্ত থেকেই জল সংগ্রহ করেন গ্রামের মহিলারা ৷ তারপর তা বয়ে আনেন বাড়িতে ৷

water crisis in Purulia special story
শুখা নদীর পাড় খুঁড়ে তেষ্টা মেটায় পুরুলিয়ার ভাটিন গ্রাম

পুরুলিয়া, 7 জুন : মাথার উপরে আগুন ঝরাচ্ছেন সূয্যিমামা ৷ সেই রোদে দু’পা হাঁটলেই মাথা ঝিমঝিম করে ৷ অথচ এই ঝাঁঝ মাথায় নিয়েই প্রতিদিন মাইলের পর মাইল পাড়ি দেন ঝুমা, বিমলারা ৷ মাথায়, কাঁখে জলভর্তি হাঁড়ি, কলসি ৷ দুর্ভোগের শেষটুকু যদি এমন হয়, তাহলে তার শুরুটা হয় আরও খানিকটা আগে ৷ শুখা নদীর পাড়ে ৷ যেখানে বালি খুঁড়ে গর্ত থেকে জল সংগ্রহ করেন গ্রামের মহিলারা ৷ তারপর সেই জল হাঁড়িতে, কলসিতে ভরে নিয়ে যান বাড়িতে ৷ তবেই চড়ে ভাতের হাঁড়ি ৷ মেটে তেষ্টা ৷ এই ছবি পুরুলিয়ার আগরডি-চিতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটিন গ্রামের ৷

ঝুমা মাহাত, বিমলা মাহাতরা এই গ্রামেই থাকেন ৷ তাঁরা জানালেন, গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের কোনও পাইপলাইন নেই ৷ খান কয়েক পাতকুয়ো, নলকূপ থাকলেও সেসবের জল পানের অযোগ্য ৷ জলে আয়রনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ৷ ফলে খেলেই পেটের রোগ হয় ৷ এমনকী, তাতে চাল দিলে তা সেদ্ধ হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যায় ৷ ফলে রান্না থেকে পানীয়, গৃহস্থালির সমস্ত কাজের জন্যই নদীর পাড়ের বালি খোঁড়া জলই ভরসা ৷

প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবেই চলছে ৷ তবু টনক নড়ে না প্রশাসনের ৷ এই এলাকা কাশীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৷ গত 10 বছর এখানকার বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের স্বপনকুমার বেলথোরিয়া ৷ টানা 10 বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মিটল না জলের সমস্য়া, সেই প্রশ্ন উঠেছে ৷ বর্তমানে এখানকার বিধায়ক বিজেপির কমলাকান্ত হাঁসদা ৷ ক্ষমতার পালাবদলে এলাকার জলকষ্ট মেটে কি না, এখন সেটাই দেখার ৷

জেলাশাসক রাহুল মজুমদার অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, তিনি ভাটিন গ্রামের এই দুর্দশার কথা জানতেন না ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির কাছ থেকে গোটা ঘটনা শোনার পর অবিলম্বে ব্য়বস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, গ্রীষ্মে জলকষ্ট কিছুটা বাড়ে ঠিকই ৷ তা মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয় ৷ প্রয়োজনে ভাটিন গ্রামের জন্যও সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

শুখা নদীর পাড় খুঁড়ে তেষ্টা মেটায় পুরুলিয়ার ভাটিন গ্রাম

আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার জলকষ্ট কি ম্যান-মেড ? মোদির রামায়ণ প্রসঙ্গে উঠছে প্রশ্ন

ভোট আসে, ভোট যায় ৷ নেতা-নেত্রীর সভা উপচে পড়ে মানুষের ভিড়ে ৷ তবুও যেন কপাল দোষ ঘোচে না ভাটিন গ্রামের ৷ জীবনের স্বাদ পেতে তাই আজও কলসি, হাঁড়ি বয়ে বেড়ান ঝুমা, বিমলারা ৷

পুরুলিয়া, 7 জুন : মাথার উপরে আগুন ঝরাচ্ছেন সূয্যিমামা ৷ সেই রোদে দু’পা হাঁটলেই মাথা ঝিমঝিম করে ৷ অথচ এই ঝাঁঝ মাথায় নিয়েই প্রতিদিন মাইলের পর মাইল পাড়ি দেন ঝুমা, বিমলারা ৷ মাথায়, কাঁখে জলভর্তি হাঁড়ি, কলসি ৷ দুর্ভোগের শেষটুকু যদি এমন হয়, তাহলে তার শুরুটা হয় আরও খানিকটা আগে ৷ শুখা নদীর পাড়ে ৷ যেখানে বালি খুঁড়ে গর্ত থেকে জল সংগ্রহ করেন গ্রামের মহিলারা ৷ তারপর সেই জল হাঁড়িতে, কলসিতে ভরে নিয়ে যান বাড়িতে ৷ তবেই চড়ে ভাতের হাঁড়ি ৷ মেটে তেষ্টা ৷ এই ছবি পুরুলিয়ার আগরডি-চিতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাটিন গ্রামের ৷

ঝুমা মাহাত, বিমলা মাহাতরা এই গ্রামেই থাকেন ৷ তাঁরা জানালেন, গ্রামে পানীয় জল সরবরাহের কোনও পাইপলাইন নেই ৷ খান কয়েক পাতকুয়ো, নলকূপ থাকলেও সেসবের জল পানের অযোগ্য ৷ জলে আয়রনের পরিমাণ অত্যন্ত বেশি ৷ ফলে খেলেই পেটের রোগ হয় ৷ এমনকী, তাতে চাল দিলে তা সেদ্ধ হতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পেরিয়ে যায় ৷ ফলে রান্না থেকে পানীয়, গৃহস্থালির সমস্ত কাজের জন্যই নদীর পাড়ের বালি খোঁড়া জলই ভরসা ৷

প্রজন্মের পর প্রজন্ম এভাবেই চলছে ৷ তবু টনক নড়ে না প্রশাসনের ৷ এই এলাকা কাশীপুর বিধানসভার অন্তর্গত ৷ গত 10 বছর এখানকার বিধায়ক ছিলেন তৃণমূলের স্বপনকুমার বেলথোরিয়া ৷ টানা 10 বছর ক্ষমতায় থাকার পরও কেন মিটল না জলের সমস্য়া, সেই প্রশ্ন উঠেছে ৷ বর্তমানে এখানকার বিধায়ক বিজেপির কমলাকান্ত হাঁসদা ৷ ক্ষমতার পালাবদলে এলাকার জলকষ্ট মেটে কি না, এখন সেটাই দেখার ৷

জেলাশাসক রাহুল মজুমদার অবশ্য বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন ৷ তাঁর বক্তব্য, তিনি ভাটিন গ্রামের এই দুর্দশার কথা জানতেন না ৷ ইটিভি ভারতের প্রতিনিধির কাছ থেকে গোটা ঘটনা শোনার পর অবিলম্বে ব্য়বস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক ৷ পাশাপাশি তিনি জানান, গ্রীষ্মে জলকষ্ট কিছুটা বাড়ে ঠিকই ৷ তা মোকাবিলায় বিভিন্ন এলাকায় জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হয় ৷ প্রয়োজনে ভাটিন গ্রামের জন্যও সেই ব্যবস্থা করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন জেলাশাসক ৷

শুখা নদীর পাড় খুঁড়ে তেষ্টা মেটায় পুরুলিয়ার ভাটিন গ্রাম

আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার জলকষ্ট কি ম্যান-মেড ? মোদির রামায়ণ প্রসঙ্গে উঠছে প্রশ্ন

ভোট আসে, ভোট যায় ৷ নেতা-নেত্রীর সভা উপচে পড়ে মানুষের ভিড়ে ৷ তবুও যেন কপাল দোষ ঘোচে না ভাটিন গ্রামের ৷ জীবনের স্বাদ পেতে তাই আজও কলসি, হাঁড়ি বয়ে বেড়ান ঝুমা, বিমলারা ৷

Last Updated : Jun 7, 2021, 7:13 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.