কুলতলি, 17 ফেব্রুয়ারি: মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় আহত তিনজন ছাত্রী । আহত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে । সেই হাসপাতালে বসেই জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিল তিনজন মাধ্যমিক ছাত্রী । ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলিতে ৷
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত তিনজন ছাত্রী কুলতলির কচিয়ামারা হেমচন্দ্র হাইস্কুলের পড়ুয়া ৷ তাদের পরীক্ষার কেন্দ্র পড়েছে ডোঙা জোড়া রমানাথ হাইস্কুলে ৷ ওই তিনজন মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী পরিবারের সঙ্গে টোটোতে করে সোমবার পরীক্ষার কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিল । সেই সময় হঠাৎ করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাদের টোটোটি উলটে যায় । এই ঘটনায় আহত হয় তিনজন পরীক্ষার্থী ।
আহত তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় । এই দুর্ঘটনায় তিনজন গুরুতর আঘাত পাওয়ায় কেন্দ্রে গিয়ে তাদের পক্ষে পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব ছিল না । তাই কুলতলি থানার পুলিশ এবং স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে হাসপাতালেই তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয় ৷ সেই মতো হাসপাতালে বসেই তিনজন ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষা দিল । আহত পরীক্ষার্থীদের সকলের বাড়ি কুলতলি মেরিগঞ্জ এলাকায় ।
এ বিষয়ে ভগবানচন্দ্র হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক তথা স্কুলের সাব ভেনুর ইনচার্জ শান্তনু ঘোষাল বলেন, "পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার জেরে তিনজন ছাত্রী গুরুতর জখম হয় ৷ আহত পরীক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসা হয় জয়নগর কুলতলি গ্রামীণ হাসপাতালে । সেখানেই তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷"
আহত এক পরীক্ষার্থীর অভিভাবক জিয়ারুল লস্কর বলেন, "মাধ্যমিকের জন্য তিনজন মেয়ে, দুজন অভিভাবক এবং একটি বাচ্চা-সহ মোট ছ'জন টোটোতে করে পরীক্ষা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলাম ৷ সেই সময় হঠাৎ করে টোটো উলটে গিয়ে তিনজন আহত হয় । এই দুর্ঘটনার জেরে আহত হয়েছে আমার মেয়ে ৷ তাকেও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় এবং এই হাসপাতালের মধ্যেই পরীক্ষা দেয় সে ।"
আরেক অভিভাবক রফিকা মণ্ডলের কথায়, "মেয়ের পরীক্ষার জন্য টোটো করে যখন আমরা কেন্দ্রের দিকে যাচ্ছিলাম সেই সময় টোটো উলটে যায় ৷ তাতে আহত হয় আমার মেয়ে । হাসপাতালে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা হয় তার ৷ এরপর হাসপাতালে বসে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সে ।"