ETV Bharat / state

বর্ণে-গন্ধে...হৃদয়ে দিয়েছো দোলা ! দার্জিলিংয়ের চা কেন 'শ্যাম্পেন অফ টি'? - DARJEELING TEA

আবহাওয়া আর পাহাড়ের মাটিই দার্জিলিংয়ের চা-কে করে তুলেছে শ্যাম্পেন অফ টি ৷ চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে চা-প্রেমীদের প্রথম পছন্দ নানা মরশুমের দার্জিলিং চা ৷

ETV BHARAT
চায়ের পেয়ালায় তুফান তোলে দার্জিলিংয়ের চা (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 17, 2025, 7:29 PM IST

দার্জিলিং, 17 ফেব্রুয়ারি: সবুজ পাহাড়ের আঁকেবাঁকে কু ঝিকঝিক টয়ট্রেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার লুকোচুরি আর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা চা বাগানের সারি ৷ আমাদের খুব কাছের, খুব চেনা শৈলরানি দার্জিলিং ৷ যার চায়ের সুখ্যাতি জগৎজোড়া ৷ যা বর্ণে গন্ধে...হৃদয়ে দেয় দোলা ৷ ব্রিটেনের রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকেও বিশেষ উপহারের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল শৈলরানির চা । দেশ তো বটেই, বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে দার্জিলিং চায়ের নামডাক । যাকে ব্রিটিশরা বলত, 'শ্যাম্পেন অফ টি' ৷

কিন্তু কেন ? কী বিশেষত্ব এই দার্জিলিংয়ের চায়ের ? কোথায় আলাদা ? গ্যাঁটের কড়ি অনেকটা খরচ করতে হলেও চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে কেন দেশে-বিদেশে একমাত্র আস্থার জায়গা এই দার্জিলিং চা ? আসলে এই চা বাকি সব চা-কে টেক্কা দিয়েছে রঙ, স্বাদ ও গন্ধে ৷ তবে দার্জিলিং চায়ের মধ্যেও আবার রকমভেদ আছে ৷ জানলে অবাক হবেন, এক এক সময়ের দার্জিলিং চায়ের রঙ, স্বাদ আর গন্ধ ভিন্নরকমের হয় । আর এসবের কারণেই দার্জিলিং চায়ের এত নামডাক । বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে পাতা তোলার নিরিখে দার্জিলিং চায়ের প্রকারভেদ রয়েছে ।

দার্জিলিংয়ের চা কেন 'শ্যাম্পেন অফ টি'? (ইটিভি ভারত)

দার্জিলিংয়ের মাত্র 87টি চা বাগানের 20 হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয় এই শ্যাম্পেন অফ টি, যা বিশ্বের আর কোনও চা বাগানে হয় না । বছরে গড়ে 13 মিলিয়ন কেজি দার্জিলিংয়ের চা উৎপাদন হয় পাহাড়ে । যা গোটা দেশের মোট উৎপাদনের 15 শতাংশ । আর শৈলরানির আবহাওয়া, উচ্চতা এবং মরশুম আর পাঁচটা চায়ের থেকে একেবারে আলাদা করে তুলেছে দার্জিলিংয়ের চা-কে ।

পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ের কথা মাথায় এলেই সবার প্রথমে মাথায় আসে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চাষ করা সবুজে ঘেরা চায়ের বাগান । বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল থেকে প্রচুর চা দার্জিলিংয়ে ঢুকছে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মান হারাচ্ছে দার্জিলিংয়ের চা । তাই দার্জিলিংয়ের চা-প্রেমীদের একটু সতর্ক হতে হবে ।

ETV BHARAT
বর্ণে-গন্ধে...হৃদয়ে দিয়েছো দোলা ! (নিজস্ব চিত্র)

কীভাবে চিনবেন দার্জিলিং চা ? তার জন্য আপনাকে জানতে হবে দার্জিলিং চায়ের ইতিবৃত্ত । পাহাড়ের 600 ফুট উচ্চতা থেকে 2000 ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জন্মায় এই উন্নতমানের দার্জিলিং চায়ের গাছ । উনিশের দশকে ব্রিটিশদের হাত ধরে দার্জিলিং চায়ের পথ চলা শুরু । ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এর খ্যাতি । এই চা ব্রিটিশদের এতটাই পছন্দ হয় যে, তাঁরা পরবর্তীতে নিজেদের দেশে এখানকার মতো চা পাতা উৎপাদন করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, তবে পারেননি ৷ সেই কারণেই এখনও দার্জিলিংয়ের চা পাড়ি দেয় বিদেশে ।

চা ব্যবসায়ী বাপ্পা ঘোষের কথায়, "দার্জিলিংয়ের চায়ের বাজারে দারুণ কদর । ব্রিটিশরাই এই চায়ের প্রথম স্বাদ বুঝতে পারেন । আর তারপরেই এই চায়ের পথ চলা শুরু হয় ।"

ETV BHARAT
দার্জিলিংয়ের চা-কে 'শ্যাম্পেন অফ টি' বলেন ব্রিটিশরা (নিজস্ব চিত্র)

এবার আসা যাক দার্জিলিং চায়ের প্রকারভেদে । মূলত বছরে চারবার দার্জিলিং চা পাতা তোলা হয় । যা ফার্স্ট ফ্লাশ, সেকেন্ড ফ্লাশ, থার্ড ফ্লাশ এবং ফোর্থ ফ্লাশ নামে পরিচিত । প্রত্যেকটি ফ্লাশের স্বাদ, রঙ এবং গন্ধ ভিন্ন হয় ।

* ফার্স্ট ফ্লাশের চায়ের স্বাদ হয় ফুলের মতো । মিষ্টি পিচ ফলের স্বাদও মেলে এই চায়ের সঙ্গে । বসন্তের শুরুতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে এই চা তোলা হয় । এই চায়ের রঙ হালকা সোনালি রঙের হয় ।

* সেকেন্ড ফ্লাশের চায়ের স্বাদ অনেকটা মাসক্যাটেল ওয়াইনের স্বাদের মতো হয়ে থাকে । অনেক সময় এতে ফলের স্বাদও মেলে । এই চায়ের পাতা বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মের আগে তোলা হয় । অর্থাৎ মে মাস থেকে জুনের মধ্যে এই পাতা তোলা হয় । তাই চায়ের রঙটাও গাঢ় সোনালি রঙের হয় ৷

* থার্ড ফ্লাশ মূলত বর্ষার সময় তোলা হয় । বৃষ্টির ফলে এই চায়ের সঙ্গে অনেকটা ভেজা মাটি, ঘাস ও ফুলের গন্ধ মিশে থাকে । তাই এই চায়ের রঙও অনেকটা গাঢ় হয়ে থাকে । জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এই পাতা তোলা হয় ।

* সব থেকে শেষে চতুর্থ ফ্লাশ । এই সময় চা গাছের পাতা সবথেকে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে । চায়ের রঙ গাঢ় লাল হয় এবং এর সুন্দর মিষ্টি স্বাদ থাকে । এক ঝুড়ি সবরকমের ফল রাখলে যে সুগন্ধ বের হয়, এই চায়ের গন্ধও অনেকটা সেরকম । কারণ এরপরেই তিন মাস বন্ধ থাকে চা বাগান অর্থাৎ তিন মাসের জন্য শীতঘুমে চলে যায় দার্জিলিংয়ের সমস্ত চা বাগান । অক্টোবর থেকে নভেম্বরে এই পাতা তোলা হয় ।

ETV BHARAT
পাতা তোলার নিরিখে দার্জিলিংয়ের চায়ের প্রকারভেদ রয়েছে (নিজস্ব চিত্র)

এই প্রসঙ্গে মাকাইবাড়ি চা বাগানের চা বিশেষজ্ঞ লাল্টু পুরকাইত বলেন, "দার্জিলিং চা হল বিশ্বের সেরা চা । এই চা খেতে দুধ বা চিনির প্রয়োজন নেই । হালকা গরম জলই যথেষ্ট । এই প্রত্যেক মরশুমের চায়ের স্বাদ, গন্ধ আর রঙই দার্জিলিং চা-কে অনবদ্য করে তুলেছে ।"

এসবের জন্যই দার্জিলিংয়ের চা বিশ্বের দরবারে সেরা জায়গা করে নিয়েছে । এই চায়ের স্বাদ সব সময় বিশুদ্ধ রূপে থাকে এবং এই চা পান করতে গরম জলই যথেষ্ট । দার্জিলিং চায়ের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব আছে বলেই এই চা বিশ্বসেরা । পাহাড়ের ঢালে এই চা বাগান শুধু দেখতেই নয়, এর স্বাদ উপভোগ করতেও দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন বহু পর্যটক ।

ETV BHARAT
শৈলরানির আবহাওয়া, উচ্চতা ও মাটি সুস্বাদু চা উৎপাদনে আদর্শ (নিজস্ব চিত্র)

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, "দার্জিলিংয়ের মাটি আর আবহাওয়াই এই চা-কে আর পাঁচটা চায়ের থেকে আলাদা করেছে । দার্জিলিংয়ের চা প্রত্যেক মরশুমে আলাদা স্বাদ ও গন্ধের হয় । এই অর্থোডক্স চা আর কোথাও উৎপাদন হয় না । এই চা নিজের সুনাম ধরে রাখুক এটাই চাই ।"

দার্জিলিংয়ের চা 900 টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে ।

দার্জিলিং, 17 ফেব্রুয়ারি: সবুজ পাহাড়ের আঁকেবাঁকে কু ঝিকঝিক টয়ট্রেন, কাঞ্চনজঙ্ঘার লুকোচুরি আর পাহাড়ের গা বেয়ে নেমে আসা চা বাগানের সারি ৷ আমাদের খুব কাছের, খুব চেনা শৈলরানি দার্জিলিং ৷ যার চায়ের সুখ্যাতি জগৎজোড়া ৷ যা বর্ণে গন্ধে...হৃদয়ে দেয় দোলা ৷ ব্রিটেনের রাজা চার্লসের রাজ্যাভিষেকেও বিশেষ উপহারের মধ্যে জায়গা করে নিয়েছিল শৈলরানির চা । দেশ তো বটেই, বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌঁছে গিয়েছে দার্জিলিং চায়ের নামডাক । যাকে ব্রিটিশরা বলত, 'শ্যাম্পেন অফ টি' ৷

কিন্তু কেন ? কী বিশেষত্ব এই দার্জিলিংয়ের চায়ের ? কোথায় আলাদা ? গ্যাঁটের কড়ি অনেকটা খরচ করতে হলেও চায়ের পেয়ালায় তুফান তুলতে কেন দেশে-বিদেশে একমাত্র আস্থার জায়গা এই দার্জিলিং চা ? আসলে এই চা বাকি সব চা-কে টেক্কা দিয়েছে রঙ, স্বাদ ও গন্ধে ৷ তবে দার্জিলিং চায়ের মধ্যেও আবার রকমভেদ আছে ৷ জানলে অবাক হবেন, এক এক সময়ের দার্জিলিং চায়ের রঙ, স্বাদ আর গন্ধ ভিন্নরকমের হয় । আর এসবের কারণেই দার্জিলিং চায়ের এত নামডাক । বছরের বিশেষ বিশেষ সময়ে পাতা তোলার নিরিখে দার্জিলিং চায়ের প্রকারভেদ রয়েছে ।

দার্জিলিংয়ের চা কেন 'শ্যাম্পেন অফ টি'? (ইটিভি ভারত)

দার্জিলিংয়ের মাত্র 87টি চা বাগানের 20 হাজার হেক্টর জমিতে উৎপাদিত হয় এই শ্যাম্পেন অফ টি, যা বিশ্বের আর কোনও চা বাগানে হয় না । বছরে গড়ে 13 মিলিয়ন কেজি দার্জিলিংয়ের চা উৎপাদন হয় পাহাড়ে । যা গোটা দেশের মোট উৎপাদনের 15 শতাংশ । আর শৈলরানির আবহাওয়া, উচ্চতা এবং মরশুম আর পাঁচটা চায়ের থেকে একেবারে আলাদা করে তুলেছে দার্জিলিংয়ের চা-কে ।

পাহাড়ের রানি দার্জিলিংয়ের কথা মাথায় এলেই সবার প্রথমে মাথায় আসে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে চাষ করা সবুজে ঘেরা চায়ের বাগান । বর্তমানে পার্শ্ববর্তী দেশ নেপাল থেকে প্রচুর চা দার্জিলিংয়ে ঢুকছে, যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মান হারাচ্ছে দার্জিলিংয়ের চা । তাই দার্জিলিংয়ের চা-প্রেমীদের একটু সতর্ক হতে হবে ।

ETV BHARAT
বর্ণে-গন্ধে...হৃদয়ে দিয়েছো দোলা ! (নিজস্ব চিত্র)

কীভাবে চিনবেন দার্জিলিং চা ? তার জন্য আপনাকে জানতে হবে দার্জিলিং চায়ের ইতিবৃত্ত । পাহাড়ের 600 ফুট উচ্চতা থেকে 2000 ফুট উচ্চতা পর্যন্ত জন্মায় এই উন্নতমানের দার্জিলিং চায়ের গাছ । উনিশের দশকে ব্রিটিশদের হাত ধরে দার্জিলিং চায়ের পথ চলা শুরু । ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে এর খ্যাতি । এই চা ব্রিটিশদের এতটাই পছন্দ হয় যে, তাঁরা পরবর্তীতে নিজেদের দেশে এখানকার মতো চা পাতা উৎপাদন করার অনেক চেষ্টা করেছিলেন, তবে পারেননি ৷ সেই কারণেই এখনও দার্জিলিংয়ের চা পাড়ি দেয় বিদেশে ।

চা ব্যবসায়ী বাপ্পা ঘোষের কথায়, "দার্জিলিংয়ের চায়ের বাজারে দারুণ কদর । ব্রিটিশরাই এই চায়ের প্রথম স্বাদ বুঝতে পারেন । আর তারপরেই এই চায়ের পথ চলা শুরু হয় ।"

ETV BHARAT
দার্জিলিংয়ের চা-কে 'শ্যাম্পেন অফ টি' বলেন ব্রিটিশরা (নিজস্ব চিত্র)

এবার আসা যাক দার্জিলিং চায়ের প্রকারভেদে । মূলত বছরে চারবার দার্জিলিং চা পাতা তোলা হয় । যা ফার্স্ট ফ্লাশ, সেকেন্ড ফ্লাশ, থার্ড ফ্লাশ এবং ফোর্থ ফ্লাশ নামে পরিচিত । প্রত্যেকটি ফ্লাশের স্বাদ, রঙ এবং গন্ধ ভিন্ন হয় ।

* ফার্স্ট ফ্লাশের চায়ের স্বাদ হয় ফুলের মতো । মিষ্টি পিচ ফলের স্বাদও মেলে এই চায়ের সঙ্গে । বসন্তের শুরুতে অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে এই চা তোলা হয় । এই চায়ের রঙ হালকা সোনালি রঙের হয় ।

* সেকেন্ড ফ্লাশের চায়ের স্বাদ অনেকটা মাসক্যাটেল ওয়াইনের স্বাদের মতো হয়ে থাকে । অনেক সময় এতে ফলের স্বাদও মেলে । এই চায়ের পাতা বসন্তের শেষ থেকে গ্রীষ্মের আগে তোলা হয় । অর্থাৎ মে মাস থেকে জুনের মধ্যে এই পাতা তোলা হয় । তাই চায়ের রঙটাও গাঢ় সোনালি রঙের হয় ৷

* থার্ড ফ্লাশ মূলত বর্ষার সময় তোলা হয় । বৃষ্টির ফলে এই চায়ের সঙ্গে অনেকটা ভেজা মাটি, ঘাস ও ফুলের গন্ধ মিশে থাকে । তাই এই চায়ের রঙও অনেকটা গাঢ় হয়ে থাকে । জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর মাসে এই পাতা তোলা হয় ।

* সব থেকে শেষে চতুর্থ ফ্লাশ । এই সময় চা গাছের পাতা সবথেকে পরিপূর্ণ হয়ে থাকে । চায়ের রঙ গাঢ় লাল হয় এবং এর সুন্দর মিষ্টি স্বাদ থাকে । এক ঝুড়ি সবরকমের ফল রাখলে যে সুগন্ধ বের হয়, এই চায়ের গন্ধও অনেকটা সেরকম । কারণ এরপরেই তিন মাস বন্ধ থাকে চা বাগান অর্থাৎ তিন মাসের জন্য শীতঘুমে চলে যায় দার্জিলিংয়ের সমস্ত চা বাগান । অক্টোবর থেকে নভেম্বরে এই পাতা তোলা হয় ।

ETV BHARAT
পাতা তোলার নিরিখে দার্জিলিংয়ের চায়ের প্রকারভেদ রয়েছে (নিজস্ব চিত্র)

এই প্রসঙ্গে মাকাইবাড়ি চা বাগানের চা বিশেষজ্ঞ লাল্টু পুরকাইত বলেন, "দার্জিলিং চা হল বিশ্বের সেরা চা । এই চা খেতে দুধ বা চিনির প্রয়োজন নেই । হালকা গরম জলই যথেষ্ট । এই প্রত্যেক মরশুমের চায়ের স্বাদ, গন্ধ আর রঙই দার্জিলিং চা-কে অনবদ্য করে তুলেছে ।"

এসবের জন্যই দার্জিলিংয়ের চা বিশ্বের দরবারে সেরা জায়গা করে নিয়েছে । এই চায়ের স্বাদ সব সময় বিশুদ্ধ রূপে থাকে এবং এই চা পান করতে গরম জলই যথেষ্ট । দার্জিলিং চায়ের নিজস্ব কিছু বিশেষত্ব আছে বলেই এই চা বিশ্বসেরা । পাহাড়ের ঢালে এই চা বাগান শুধু দেখতেই নয়, এর স্বাদ উপভোগ করতেও দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে আসেন বহু পর্যটক ।

ETV BHARAT
শৈলরানির আবহাওয়া, উচ্চতা ও মাটি সুস্বাদু চা উৎপাদনে আদর্শ (নিজস্ব চিত্র)

টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার উত্তরবঙ্গের সম্পাদক সুমিত ঘোষ বলেন, "দার্জিলিংয়ের মাটি আর আবহাওয়াই এই চা-কে আর পাঁচটা চায়ের থেকে আলাদা করেছে । দার্জিলিংয়ের চা প্রত্যেক মরশুমে আলাদা স্বাদ ও গন্ধের হয় । এই অর্থোডক্স চা আর কোথাও উৎপাদন হয় না । এই চা নিজের সুনাম ধরে রাখুক এটাই চাই ।"

দার্জিলিংয়ের চা 900 টাকা প্রতি কেজি থেকে শুরু করে পাঁচ হাজার টাকা প্রতি কেজি পর্যন্ত বিক্রি হয়ে থাকে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.