পুরুলিয়া, 20 জুন : সম্প্রতি বিধানসভায় নতুন বিল পাশ হয়েছে । রাজ্যপালের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যের পদে বসেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্যপালের 'দায়িত্ব' খর্ব করার জন্য আরও পরিকল্পনা চালাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল । তারমধ্যেই সামনে এল আরেক চাঞ্চল্যকর তথ্য । পুরুলিয়ায় সিভিক কর্মীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন রাজ্যপাল । যা নিয়ে স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে (Rajyapal is working as Civic Volunteer) ।
তাহলে বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক । পুরুলিয়ার এই রাজ্যপালের সঙ্গে জগদীপ ধনখড়ের কোনও সম্পর্কই নেই । মাথায় ঢুকছে না, তাই তো ? ঘটনা হল, পুরুলিয়া জেলার দুই যুবক । পেশায় তাঁরা দু'জনেই সিভিক ভলান্টিয়ার । তাঁদেরই একজনের নাম রাজ্যপাল এবং আরেজনের নাম ইলেকশন । যা নিয়েই এখন মেতেছে রাজ্য-রাজনীতি ।
পুরুলিয়া জেলার টামনা থানা এলাকার কড়াডি গ্রামে বাড়ি রাজ্যপাল মাহাতোর । বয়স 33 ৷ বাবার রাখা এই নাম নিয়ে প্রায়শই অস্বস্তিতে পড়েন তিনি । কোথাও রাস্তায় তো কোথাও আবার কর্মস্থলে । বয়সে ছোটরাও মজা করে, কই রাজ্যপাল কী খবর তোমার ? আর রাজ্যেরই বা কী খবর ? রাজ্যপাল বলেন, ''ফোন করে অচেনা কাউকে যদি বলি, হ্যালো আমি রাজ্যপাল বলছি । তখন উলটো দিক থেকে শুরু হয়ে যায় । অপর প্রান্তের ব্যক্তি বলে, আমি তাহলে রাষ্ট্রপতি বলছি । বয়স তো হচ্ছে, নাম নিয়ে হাসাহাসি করলে খারাপ লাগে, নিজেকে ছোট মনে হয় ।"
আরও পড়ুন : জিটিএ-র অডিটের দাবিতে ফের সরব রাজ্যপাল, সমর্থন অনিত থাপার
অন্যদিকে পুরুলিয়া মফঃস্বল থানার গাড়াফুসড়া গ্রামে বাড়ি ইলেকশন মাহাতোর ৷ তিনিও সিভিক ভলান্টিয়ার । ভোটের দিন জন্ম, তাই বাড়ির লোক নাম দিয়েছিল ইলেকশন । সবাই প্রথমে নাম শুনেই চমকে যায় । অনেকে হাসাহাসি করে । খোদ বউ বিয়ের আগে ফোনে কথা বলার সময় নাকি তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, ''সত্যি তোমার নাম ইলেকশন ?'' আধার কার্ড, রেশন কার্ড-সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টে তাঁর সঠিক নাম আসেনি বলেও আক্ষেপ রয়েছে ইলেকশনের । তাঁর সঙ্গে প্রাথমিক থেকে উচ্চ বিদ্যালয় পর্যন্ত একসঙ্গে পড়েছেন গ্রামেরই বন্ধু তাপস মাহাতো । তিনি বলেন , "স্কুলে শিক্ষক থেকে শুরু করে বন্ধু-বান্ধব, সবাই ওর নাম নিয়ে হাসাহাসি করতে থাকায় আমরা ওর নামটা শর্ট করে নিয়েছিলাম । ইলেকশন নয়, ও আমাদের কাছে ইলু ।"