কাঁথি, 23 ডিসেম্বর: শিশির অধিকারীর সঙ্গে একই মঞ্চে কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা সুবল মান্না ৷ ঘটনায় তাঁকে শো-কজ করল দল ৷ শুক্রবার রাতে কাঁথি পৌরসভার প্রশাসনিক মণ্ডলীর কার্যালয়ে বসে চেয়ারম্যানকে শো-কজ করলেন তৃণমূলের কাঁথির সংগঠনিক জেলার সভাপতি পীযূষ পণ্ডা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক । কী করে দলের জেলা সভাপতি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শো-কজ করলেন, উঠছে প্রশ্ন ৷ যদিও কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা জানিয়েছেন, তিনি কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শো-কজ করছেন না ৷ তৃণমূল নেতা সুবল মান্নাকে শো-কজ করেছেন ৷
কয়েকদিন আগে বেসরকারি স্কুলের অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাবা শিশির অধিকারীর সঙ্গে দেখা গিয়েছিল কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্নাকে । শিশির এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতীক নিয়ে কাঁথি লোকসভার সাংসদ রয়েছেন । সেই মঞ্চে বক্তব্য দেওয়ার আগে সুবল মঞ্চে উপস্থিত সাংসদ শিশিরকে প্রণাম করেন ৷ সেই ঘটনার ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয় । তাহলে শুভেন্দু অধিকারী বারে বারে যে দাবি করে এসেছেন, তাঁর অনুগামীরা এখনও কাঁথি পৌরসভার অফিসের মধ্যেই রয়েছেন? তাহলে কি কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যান নিজেই তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ?
এরপরেই শুক্রবার রাতে কাঁথি সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি পীযূষ পণ্ডা সাংবাদিকদের ডেকে বলেন, "সাংসদ শিশির অধিকারীকে মঞ্চে প্রণাম করা কোনও অন্যায় নয় ৷ এটা নিয়ে কোনও বক্তব্য নেই ৷ তবে শিশির অধিকারীর পরিবার দিনরাত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করছে ৷ সেই পরিবারের সদস্যের সঙ্গে একই মঞ্চে থেকে সুবল মান্না দলকে বিড়ম্বনায় ফেলেছেন । তাই তাঁকে শোকজ করা হয়েছে । শুধু তাই নয়, কাঁথি পৌরসভার সমস্ত কাউন্সিলরদের নানারকম অভিযোগ রয়েছে সুবলবাবুর বিরুদ্ধে । তিনি কারোর কথা শুনছেন না ৷ ভালোভাবে পৌরসভা চালাতে পারছেন না । এমন অভিযোগ উঠেছে সুবল মান্নার বিরুদ্ধে । তাই আগামী 24 ঘণ্টার মধ্যে শোকজের নোটিশের যথাযথ জবাব না-দিলে রাজ্য নেতৃত্ব যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ।"
যদিও সুবল মান্না এই শোকজের বিষয়ে ইটিভি ভারতকে ফোনে জানান, "প্রথম কথা আমি এখন পর্যন্ত কোন শো-কজের চিঠি পাইনি । আর তিনিই বা আমাকে শোকজ করার কে ? কে ওনাকে এই ক্ষমতা দিয়েছে ?" এই প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁথির সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, "শুক্রবার রাতে কাঁথির পৌর প্রশাসনিক ভবনে বসে তৃণমূলের সভাপতি কাঁথি পৌরসভার চেয়ারম্যানকে শো-কজ করেছেন । এখন শাসকদলের কোন দলীয় অফিস নেই । তাই ওনারা সরকারি ভবনে বসে দলীয় কার্যকলাপ করছেন এবং সরকারি অফিসকে দলীয় কার্যালয়ে পরিণত করেছেন । মানুষ এদের শো-কজ করবে । খালি সময়ের অপেক্ষা ।"
আরও পড়ুন: