ETV Bharat / state

আত্মসমর্পণ তৃণমূল নেতা দিবাকর জানার

কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা । কোলাঘাট থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে ৷ পরে তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাঁর 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন ।

দিবাকর জানা
দিবাকর জানা
author img

By

Published : Feb 9, 2020, 4:29 PM IST

Updated : Feb 9, 2020, 8:52 PM IST

তমলুক, 9 ফেব্রুয়ারি : অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা । রবিবার দুপুর 12টা নাগাদ কোলাঘাট থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি । তাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।

6 ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষী ও HR ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষকে মারধরের অভিযোগ ওঠে দিবাকরের বিরুদ্ধে । তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি মিটিং করার জন্য সেদিন তিনি প্ল্যান্টে ঢুকেছিলেন । নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর গাড়ি চেক করতে এলে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে । অভিযোগ, তখনই তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকদের মারধর করেন। ঘটনার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনেরাল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী একসময় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা দিবাকর জানার বিরুদ্ধে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । সেইসঙ্গে ওইদিনই জেলাশাসক পার্থ ঘোষ তাঁর কাছে থাকা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করেন এবং দ্রুত তা থানায় জমা করার নির্দেশ দেন । যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন । আজ দুপুর নাগাদ তিনি কোলাঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন । পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।

আত্মসমর্পণ তৃণমূল নেতা দিবাকর জানার

আদালতে ঢোকার মুখে দিবাকর বলেন, "আমার লাইসেন্সধারী বন্দুকটির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে । তাই সেটি আইনগতভাবে আমার জমা দেওয়া উচিত, যে কারণে আমি আত্মসমর্পণ করলাম । 1998 সালের আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি । দলকে আমি এখনও ভালোবাসি ৷ ভবিষ্যতেও দলের জন্য কাজ করে যাব । শুভেন্দু অধিকারী আমার নেতা ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন । কোনও রাজনৈতিক কারণ ছাড়াই আমি আজ আত্মসমর্পণ করছি ।" আদালত থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, "গন্ডগোলের দিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিকরা আমার কলার ধরেছিলেন । আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি৷ সেজন্যই আমার অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ।"

দিবাকর আত্মসমর্পণ করলেও, এখনও অধরা বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা । শান্তিপুর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলি ও এলাকার তৃণমূল নেতা অসিত চক্রবর্তী এখনও অধরা । তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিবাকর জানা তাঁর লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকটি জমা করেছেন । বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে । কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে ।

তমলুক, 9 ফেব্রুয়ারি : অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত, শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা । রবিবার দুপুর 12টা নাগাদ কোলাঘাট থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি । তাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিন জেল হেপাজতের নির্দেশ দেন।

6 ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তারক্ষী ও HR ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষকে মারধরের অভিযোগ ওঠে দিবাকরের বিরুদ্ধে । তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি মিটিং করার জন্য সেদিন তিনি প্ল্যান্টে ঢুকেছিলেন । নিয়ম অনুযায়ী, নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁর গাড়ি চেক করতে এলে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে । অভিযোগ, তখনই তিনি এবং তাঁর দলের কর্মীরা কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিকদের মারধর করেন। ঘটনার পর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেনেরাল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী একসময় মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা দিবাকর জানার বিরুদ্ধে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন । সেইসঙ্গে ওইদিনই জেলাশাসক পার্থ ঘোষ তাঁর কাছে থাকা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের লাইসেন্স বাতিল করেন এবং দ্রুত তা থানায় জমা করার নির্দেশ দেন । যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন । আজ দুপুর নাগাদ তিনি কোলাঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন । পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে ।

আত্মসমর্পণ তৃণমূল নেতা দিবাকর জানার

আদালতে ঢোকার মুখে দিবাকর বলেন, "আমার লাইসেন্সধারী বন্দুকটির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে । তাই সেটি আইনগতভাবে আমার জমা দেওয়া উচিত, যে কারণে আমি আত্মসমর্পণ করলাম । 1998 সালের আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থেকে মানুষের জন্য কাজ করেছি । দলকে আমি এখনও ভালোবাসি ৷ ভবিষ্যতেও দলের জন্য কাজ করে যাব । শুভেন্দু অধিকারী আমার নেতা ছিলেন, ভবিষ্যতেও থাকবেন । কোনও রাজনৈতিক কারণ ছাড়াই আমি আজ আত্মসমর্পণ করছি ।" আদালত থেকে বেরনোর সময় তিনি বলেন, "গন্ডগোলের দিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিকরা আমার কলার ধরেছিলেন । আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি৷ সেজন্যই আমার অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন ।"

দিবাকর আত্মসমর্পণ করলেও, এখনও অধরা বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা । শান্তিপুর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলি ও এলাকার তৃণমূল নেতা অসিত চক্রবর্তী এখনও অধরা । তাঁদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ । এবিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দিবাকর জানা তাঁর লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকটি জমা করেছেন । বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে । কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে ।

Intro:তমলুক,৯ ফেব্রুয়ারি: অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিক কে মারধরের অভিযোগের প্রধান অভিযুক্ত শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা। রবিবার দুপুর বারোটা নাগাদ কোলাঘাট থানায় গিয়ে তিনি নিজের থেকেই আত্মসমর্পণ করেন। কোলাঘাট থানার পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে তমলুক জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তার 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

Body:প্রসঙ্গত, গত 6 ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষী ও হিউম্যান রিসোর্স বিভাগের ম্যানেজার সিদ্ধার্থ ঘোষ কে মারধরের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অস্থায়ী শ্রমিকদের নিয়ে একটি রাজনৈতিক মিটিং করার জন্য সেদিন তিনি প্লেন্টের ভেতরে ঢুকে ছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী নিরাপত্তারক্ষীরা তার নিজস্ব গাড়ি চ্যাটিং করতে এলে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ তখনই তিনি এবং তার দলীয় কর্মীরা কর্তব্যরত সরকারি আধিকারিক দের মারধর করেন বলে অভিযোগ। তারপরই তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেল ম্যানেজার কৃষ্ণেন্দু চক্রবর্তী একদা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ঘনিষ্ঠ দোর্দন্ড প্রতাপ তৃণমূল নেতা শহীদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার বিরুদ্ধে কোলাঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই সঙ্গে ওই দিনই জেলাশাসক পার্থ ঘোষ তার কাছে থাকা লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের লাইসেন্স ক্যানসেল করেন এবং দ্রুত তা থানায় জমা করার নির্দেশ দেন। যদিও বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি এলাকাছাড়া ছিলেন। আজ দুপুর নাগাদ তিনি কোলাঘাট থানায় আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ জানিয়েছে তার বিরুদ্ধেসরকারি কাজে বাধা, কর্তব্যরত সরকারি কর্মীকে মারধর , সরকারি সম্পত্তি ভাংচুরসহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। আজ তাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে বিচারক 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Conclusion:আদালতে ঢোকার মুখে দিবাকর জানিয়েছেন, কোন কারনে আমার লাইসেন্স ধারী বন্দুকটির অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। তাই সেটি আইনগত ভাবে আমার জমা দেওয়া উচিত যে কারণেই আমি আত্মসমর্পণ করলাম। ১৯৯৮ সালের পূর্ব থেকে তৃণমূল কংগ্রেস দলের সাথে আমি যুক্ত হয়ে বহু মানুষের উপকার করেছি। দলকে আমি এখনো ভালবাসি ভবিষ্যতে দলের জন্য পেছন থেকেই আমি কাজ করে যাব। সেই সঙ্গে তিনি বলেন অতীতেও শুভেন্দু অধিকারী আমার নেতা ছিলেন ভবিষ্যতেও থাকবে। কোন রাজনৈতিক কারণ ছাড়াই আমি আজ আত্মসমর্পণ করছি। আদালত থেকে বেরোনোর সময় তিনি জানিয়েছেন গন্ডগোলের দিন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিকরা আমার কলার ধরে ছিলেন। আমি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ায় আমার অনুগামীরা উত্তেজিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

দিবাকর বাবু আত্মসমর্পণ করলেও পুলিশের হাতে এখনো অধরা বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতা। শান্তিপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সেলিম আলী ও এলাকার তৃণমূল নেতা অসিত চক্রবর্তী এখনো অধরা। তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

এ বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, কোলাঘাট থানায় দিবাকর জানা আত্মসমর্পণ করে তার লাইসেন্স প্রাপ্ত বন্দুকটি জমা করেছে। আজ তাকে তমলুক জেলা আদালতে তোলা হচ্ছে। অধরা বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে জেলাজুড়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সেইসঙ্গে কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নিরাপত্তার কারণে একটি পুলিশ ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে।


এ বিষয়ে সরকার পক্ষের আইনজীবী শফিউল আলী খান জানিয়েছেন, দিবাকর জানা কোলাঘাট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় যে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল তার প্রথম আসামি ছিলেন। তাই তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে তোলেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে বিচারক 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।
Last Updated : Feb 9, 2020, 8:52 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.