রাঁচি, 28 নভেম্বর: ঝাড়খণ্ডের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেন হেমন্ত সোরেন ৷ বৃহস্পতিবার রাঁচির মোরাবাদি ময়দানে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হয় ৷ তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়ার ৷ নবনির্বাচিত ইন্ডিয়া জোট সরকারে একমাত্র হেমন্ত সোরেন আজ শপথ নিলেন ৷
এদিনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান কার্যত 'ইন্ডিয়া' জোটের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে দাঁড়ায় ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধি, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেতা আরজেডি'র তেজস্বী যাদব, তামিলনাড়ুর উপ-মুখ্যমন্ত্রী উদয়নিধি স্ট্যালিন, কংগ্রেস নেতা তারিক আনওয়ার, সাংসদ পাপ্পু যাদব এবং অন্যরা ৷
अबुआ सरकार - हर झारखण्डी की सरकार
— Hemant Soren (@HemantSorenJMM) November 28, 2024
अबुआ सरकार - INDIA गठबंधन की सरकार pic.twitter.com/jgxLuGRAs1
আদিবাসী অধ্যুষিত এই রাজ্যের 14তম মুখ্যমন্ত্রী হলেন শিবু পুত্র-হেমন্ত সোরেন ৷ সদ্যসমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে 'ইন্ডিয়া' জোট নিজেদের মধ্যে আসন সমঝোতা করে ভোটে লড়ে ৷ বিধানসভার 81টি আসনের মধ্যে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম) 34টি, কংগ্রেস 16টি, রাষ্ট্রীয় জনতা দল 4টি, সিপিআই (এমএল) (এল) 2টি আসন পায় ৷ অন্যদিকে বিরোধী এনডিএ শিবিরের বিজেপির আসন সংখ্যা মাত্র 21 ৷ ফল ঘোষণার পর জেএমএম বিধায়ক দলের নেতা নির্বাচিত হন হেমন্ত সোরেন ৷ এরপর তিনি রাজ্যপাল সন্তোষ গাঙ্গওয়াড়ের কাছে সরকার গড়ার দাবি জানান ৷
2000 সালের 15 নভেম্বর বিহার ভেঙে তৈরি হয় ঝাড়খণ্ড ৷ রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন বিজেপির বাবুলাল মারাণ্ডি ৷ এরপর থেকে ঝাড়খণ্ডের রাজনীতিতে চাপান-উতোর চলতেই থাকে এবং অর্জুন মুণ্ডা তিন বার, শিবু সোরেন তিন বার ও মধু কোড়া, রঘুবর দাস, চম্পাই সোরেন একবার করে মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে বসেছেন ৷
অস্থির ঝাড়খণ্ডের রাজনীতি সাক্ষী থেকেছে তিন দফা রাষ্ট্রপতি শাসনেরও ৷ রাজ্য গঠন হওয়ার পর বিগত 24 বছরে হেমন্ত সোরেন একমাত্র নেতা, যিনি লাগাতার দ্বিতীয় বারেও ঝাড়খণ্ডের মসনদে ফিরে এলেন ৷