ETV Bharat / state

ফোনে ব্যস্ত কর্তব্যরত নার্সরা, সদ্যোজাতের মৃত্যুতে হাসপাতালে ভাঙচুর - panskura super speciality hospital

নার্সরা সব সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল । প্রসব যন্ত্রণার সময়ও কর্তব্যরত নার্সরা প্রসূতির কাছে যাননি । এর জেরেই মৃত্যু হয়েছে সদ্যোজাতর । এমন অভিযোগ তুলে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল প্রসূতির পরিবার ।

সদ্যোজাতের মৃত্যুতে ভাঙচুর হাসপাতাল চত্ত্বর
author img

By

Published : May 20, 2019, 5:19 PM IST

পাঁশকুড়া, 20 মে : সদ্যোজাতর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অভিযোগ, প্রসূতির সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসককে খবর না দেওয়ায় মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের । এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ । তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন জেসমিনারা বিবি । তাঁর বাড়ি মেচেদার বাড়বহলা গ্রামে । সেইসময় চিকিৎসকরা জেসমিনারা পরিবারের সদস্যদের জানান, সিজ়ারের প্রয়োজন নেই । কয়েকদিনের মধ্যেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেবেন জেসমিনারা । গতরাতে জেসমিনারার প্রসূতি যন্ত্রণা শুরু হয় । অভিযোগ, তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়ে কর্তব্যরত নার্সদের জানায় । কিন্তু, তাঁরা কোনও গুরুত্ব দেননি । এরপরই ভোর পাঁচটা নাগাদ যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন জেসমিনারা । পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কর্তব্যরত নার্সরা চিকিৎসককে খবর দেন । চিকিৎসক এসে সিজ়ার করেন । পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জেসমিনারা । কিন্তু, কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় সেই সন্তানের । এই খবর পেয়ে সকাল ১১ টা নাগাদ হাসপাতালে চড়াও হয় জেসমিনারার পরিবারের সদস্যরা । তারা হাসাপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। হাসাপাতালে ভাঙচুরও চালায় । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

জেসমিনারার স্বামী সানোয়ার খানের বলেন, "আমার বিবির ১৮ তারিখ ডেলিভারি হওয়ার দিন ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছিলেন পরে ডেলিভারি করলেও চলবে। গতরাতে বিবির প্রসব যন্ত্রণা ওঠে । আমরা চিকিৎসককে খবর দেওয়ার কথা বলি । কিন্তু, চিকিৎসককে না ডেকেই নার্সরা আমার বিবিকে OT-তে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে জানান কোনও সমস্যা নেই । চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নার্সেরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে ।"

অপরদিকে জেসমিনারার আব্বা শেখ ফজলে হকের বলেন, "মেয়ে সুস্থ ছিল। নার্সের গাফিলতিতেই নাতির মৃত্যু হয়েছে । সব সময় ওরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল । যখন যন্ত্রণা হচ্ছে কর্তব্যরত অবস্থাতেও নার্সেরা আমার মেয়ের কাছে যাননি । অবহেলা করেছেন । চিকিৎসককে পর্যন্ত ডাকা হয়নি । হাসপাতালে অভিযোগ জানিয়েছি । ওদের কঠোর শাস্তি চাই । "

অপরদিকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে । কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

পাঁশকুড়া, 20 মে : সদ্যোজাতর মৃত্যুকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। অভিযোগ, প্রসূতির সংকটজনক অবস্থায় চিকিৎসককে খবর না দেওয়ায় মৃত্যু হয় সদ্যোজাতের । এরপরই চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় প্রসূতির পরিবারের সদস্যরা । খবর পেয়ে ঘটনাস্থানে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ । তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভরতি হন জেসমিনারা বিবি । তাঁর বাড়ি মেচেদার বাড়বহলা গ্রামে । সেইসময় চিকিৎসকরা জেসমিনারা পরিবারের সদস্যদের জানান, সিজ়ারের প্রয়োজন নেই । কয়েকদিনের মধ্যেই নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সন্তানের জন্ম দেবেন জেসমিনারা । গতরাতে জেসমিনারার প্রসূতি যন্ত্রণা শুরু হয় । অভিযোগ, তাঁর পরিবারের সদস্যরা এই বিষয়ে কর্তব্যরত নার্সদের জানায় । কিন্তু, তাঁরা কোনও গুরুত্ব দেননি । এরপরই ভোর পাঁচটা নাগাদ যন্ত্রণায় ছটফট করতে শুরু করেন জেসমিনারা । পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে কর্তব্যরত নার্সরা চিকিৎসককে খবর দেন । চিকিৎসক এসে সিজ়ার করেন । পুত্রসন্তানের জন্ম দেন জেসমিনারা । কিন্তু, কিছু সময় পরেই মৃত্যু হয় সেই সন্তানের । এই খবর পেয়ে সকাল ১১ টা নাগাদ হাসপাতালে চড়াও হয় জেসমিনারার পরিবারের সদস্যরা । তারা হাসাপাতালে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। হাসাপাতালে ভাঙচুরও চালায় । পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

জেসমিনারার স্বামী সানোয়ার খানের বলেন, "আমার বিবির ১৮ তারিখ ডেলিভারি হওয়ার দিন ছিল। কিন্তু চিকিৎসক ও নার্সরা জানিয়েছিলেন পরে ডেলিভারি করলেও চলবে। গতরাতে বিবির প্রসব যন্ত্রণা ওঠে । আমরা চিকিৎসককে খবর দেওয়ার কথা বলি । কিন্তু, চিকিৎসককে না ডেকেই নার্সরা আমার বিবিকে OT-তে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করে জানান কোনও সমস্যা নেই । চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে নার্সেরা এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই আমার সন্তানের মৃত্যু হয়েছে ।"

অপরদিকে জেসমিনারার আব্বা শেখ ফজলে হকের বলেন, "মেয়ে সুস্থ ছিল। নার্সের গাফিলতিতেই নাতির মৃত্যু হয়েছে । সব সময় ওরা মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিল । যখন যন্ত্রণা হচ্ছে কর্তব্যরত অবস্থাতেও নার্সেরা আমার মেয়ের কাছে যাননি । অবহেলা করেছেন । চিকিৎসককে পর্যন্ত ডাকা হয়নি । হাসপাতালে অভিযোগ জানিয়েছি । ওদের কঠোর শাস্তি চাই । "

অপরদিকে পাঁশকুড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপার শচীন্দ্রনাথ রজক বলেন, "অভিযোগ পেয়েছি । ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে । কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"

sample description
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.