ETV Bharat / state

ডিভোর্স না দেওয়ায় যুবতিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, গ্রেপ্তার শওহর

ডিভোর্স না দেওয়ায় খুনের চেষ্টা। গ্রেপ্তার শওহর। ময়না থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ৪ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে তমলুক জেলা আদালত।

attempt to murder
author img

By

Published : Mar 26, 2019, 1:28 PM IST

ময়না, ২৬ মার্চ : ১০ লাখ টাকা আর নতুন বাইকের জন্য দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চাইছিল ময়নার পশ্চিম নছিপুরের যুবক মীর মুস্তাক। সেজন্য বিবির কাছে আইনি বিচ্ছেদ চেয়েছিল সে। কিন্তু বিবি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে মুস্তাক।

ময়নার পশ্চিম নছিপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি মীর মুস্তাকের সঙ্গে ১১ বছর আগে নিকাহ হয়েছিল পড়শি গড়সাফাৎ এলাকার বাসিন্দা সায়রা বানুর। তাদের ৮ বছরের মেয়েও আছে। অভিযোগ, বছর তিনেক আগে থেকে টাকা এবং বাইকের লোভে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় মুস্তাক। এর জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদও চেয়েছিল। অভিযোগ, গতরাতে সায়রা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন ভোজালি নিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে সে।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সায়রার চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে এলে পালিয়ে যায়। পড়শিরাই আহত সায়রাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে ভরতি করেন। তাঁর পেটে, বুকে, পিঠে ও শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। সায়রার ভাই শেখ শাহজাদা ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মুস্তাককে গ্রেপ্তার করেছে ময়না থানার পুলিশ। তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে তার চারদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সায়রা বলেন, "সে আমার সাথে আর থাকতে চাইনি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে তিন বছর বাপের বাড়িতে ছিলাম। তিন মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এসেছি। সে শুধু আমার কাছ থেকে ডিভোর্স চাইছিল। আমি ডিভোর্স দিতে চাইনি কারণ আমি ওকে ছাড়তে চাই না।"

ময়না, ২৬ মার্চ : ১০ লাখ টাকা আর নতুন বাইকের জন্য দ্বিতীয়বার বিয়ে করতে চাইছিল ময়নার পশ্চিম নছিপুরের যুবক মীর মুস্তাক। সেজন্য বিবির কাছে আইনি বিচ্ছেদ চেয়েছিল সে। কিন্তু বিবি সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে মুস্তাক।

ময়নার পশ্চিম নছিপুর এলাকার বাসিন্দা পেশায় রাজমিস্ত্রি মীর মুস্তাকের সঙ্গে ১১ বছর আগে নিকাহ হয়েছিল পড়শি গড়সাফাৎ এলাকার বাসিন্দা সায়রা বানুর। তাদের ৮ বছরের মেয়েও আছে। অভিযোগ, বছর তিনেক আগে থেকে টাকা এবং বাইকের লোভে দ্বিতীয় বিয়ে করতে চায় মুস্তাক। এর জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আইনি বিচ্ছেদও চেয়েছিল। অভিযোগ, গতরাতে সায়রা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন তখন ভোজালি নিয়ে তাঁকে কোপাতে থাকে সে।

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সায়রার চিৎকারে প্রতিবেশীরা সেখানে এলে পালিয়ে যায়। পড়শিরাই আহত সায়রাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তমলুক হাসপাতালে ভরতি করেন। তাঁর পেটে, বুকে, পিঠে ও শরীরের একাধিক জায়গায় গভীর ক্ষত রয়েছে। সায়রার ভাই শেখ শাহজাদা ময়না থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। মুস্তাককে গ্রেপ্তার করেছে ময়না থানার পুলিশ। তমলুক জেলা আদালতে তোলা হলে তার চারদিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

সায়রা বলেন, "সে আমার সাথে আর থাকতে চাইনি। তাই বাধ্য হয়ে বাড়ি ছেড়ে তিন বছর বাপের বাড়িতে ছিলাম। তিন মাস আগে শ্বশুরবাড়িতে ফিরে এসেছি। সে শুধু আমার কাছ থেকে ডিভোর্স চাইছিল। আমি ডিভোর্স দিতে চাইনি কারণ আমি ওকে ছাড়তে চাই না।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.