ETV Bharat / state

অপহৃত ছাত্রীকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাও - অপহরণ

দেড়মাস পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি পাঁশকুড়ার অপহৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। অভিযোগ, পুলিশ নিষ্ক্রিয়। গতকাল তমলুকের জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি ও নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার।

নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি
author img

By

Published : Apr 4, 2019, 12:07 PM IST

তমলুক, 4 এপ্রিল : দেড় মাস পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি পাঁশকুড়ার অপহৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গতকাল তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি ও নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার। ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে তমলুকের মানিকতলা মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়। জেলাপুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।

পাঁশকুড়া নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটির সম্পাদিকা শ্রাবন্তি মণ্ডল জানান, গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাড়ি থেকে একরকম জোর করেই ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। ওই ছাত্রীর পরিবার পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু এতদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ ওই ছাত্রীর অপহরণ কাণ্ডের কোনও কিনারাই করতে পারেনি। তাই তাঁরা চান, অবিলম্বে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক। পুলিশ যদি কোনও পদক্ষেপ না করেন তা হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

অন্যদিকে ওই ছাত্রীর মা বলেন,"আমার মেয়েকে পরিকল্পনা মাফিকই স্থানীয় যুবক সুরাজ আলি সহ কয়েকজন জোর করে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমরা সেসময় বাড়িতে কেউই ছিলাম না। মেয়ে কোথায় আছে এবং কেমন আছে আমরা কিছুই জানতে পারছি না। আমাদের একটাই দাবি মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"

প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রী পাঁশকুড়া পুরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের রানিহাটি এলাকার বাসিন্দা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই তাকেঅপহরণ করাহয়। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সুরাজ আলি।

এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, "বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।"

তমলুক, 4 এপ্রিল : দেড় মাস পার হয়ে গেলেও খোঁজ মেলেনি পাঁশকুড়ার অপহৃত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর। তাই পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে গতকাল তমলুকে জেলা পুলিশ সুপারের দপ্তর ঘেরাও করে নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটি ও নিখোঁজ ছাত্রীর পরিবার। ওই ছাত্রীকে ফিরিয়ে আনার দাবিতে তমলুকের মানিকতলা মোড় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিলও করা হয়। জেলাপুলিশ সুপারের দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি স্মারকলিপিও জমা দেওয়া হয়।

পাঁশকুড়া নারী নিগ্রহ বিরোধী নাগরিক কমিটির সম্পাদিকা শ্রাবন্তি মণ্ডল জানান, গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি বাড়ি থেকে একরকম জোর করেই ওই ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায় এক দল দুষ্কৃতী। ওই ছাত্রীর পরিবার পাঁশকুড়া থানায় অভিযোগ জানিয়েছিল, তাঁদের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। কিন্তু এতদিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ ওই ছাত্রীর অপহরণ কাণ্ডের কোনও কিনারাই করতে পারেনি। তাই তাঁরা চান, অবিলম্বে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হোক। পুলিশ যদি কোনও পদক্ষেপ না করেন তা হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন তাঁরা।

অন্যদিকে ওই ছাত্রীর মা বলেন,"আমার মেয়েকে পরিকল্পনা মাফিকই স্থানীয় যুবক সুরাজ আলি সহ কয়েকজন জোর করে চোখ বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়েছে। আমরা সেসময় বাড়িতে কেউই ছিলাম না। মেয়ে কোথায় আছে এবং কেমন আছে আমরা কিছুই জানতে পারছি না। আমাদের একটাই দাবি মেয়েকে ফিরিয়ে দেওয়া হোক।"

প্রসঙ্গত, ওই ছাত্রী পাঁশকুড়া পুরসভার 13 নম্বর ওয়ার্ডের রানিহাটি এলাকার বাসিন্দা। এ বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনই তাকেঅপহরণ করাহয়। অন্যদিকে ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত সুরাজ আলি।

এবিষয়ে অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ পাত্র বলেন, "বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.