ETV Bharat / state

স্থানীয় তৃণমূল নেতার গোডাউন থেকে চোলাইয়ের কাঁচামাল উদ্ধার

পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার এলাকার তৃণমূল নেতার গোডাউন থেকে উদ্ধার চোলাইয়ের কাঁচামাল ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বাজারের ঘটনা ৷ বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালালো অভিযুক্ত ৷

গৌতম সাউ
author img

By

Published : Jul 30, 2019, 11:17 PM IST

নন্দকুমার, 30 জুলাই : বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বাজারের ঘটনা ৷ অভিযুক্তর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় চোলাই তৈরির কাঁচামাল ৷

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গৌতম সাউ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে আজ দুপুরে নন্দকুমার বাজার এলাকায় সমবায় ব্যাঙ্কের পাশে তাঁর গোডাউনে সাদা পোশাকে হানা দেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় 460টি চিটে গুড় ভরতি টিন ৷ প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কেজি চোলাই তৈরির চিটে গুড় উদ্ধার করা হয় । সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের পাঁচ পেটি বাট । অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড চোলাই তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ৷

চণ্ডীপুর রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ় কালেক্টর সৈয়দ মালিকুজ্জামান বলেন, "আমাদের কিছুদিন ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল ৷ ইনফরমেশন পাওয়ার পর সাদা পোশাকে নিজেরাই দেখতে যাই ৷ নির্দিষ্ট সীমার বাইরে চিটেগুড় রাখতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ এদের লাইসেন্স ছিল না ৷ কারণ থাকলে আমরা জানতে পারতাম ৷ আজ সেখানে গিয়ে দেখি বিক্রি হচ্ছে ৷ ভিতরে 460টি চিটেগুড় ভরতি টিন ছিল ৷ এটা নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি ৷ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের বাটও ছিল ৷ এগুলো বেআইনি চোলাই মদ তৈরির কাজে লাগে ৷"

তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে ঘটনাস্থানেই আটক করা হয়েছিল ৷ কিন্তু খাওয়ার নাম করে প্রথমে তিনি বাড়ি যেতে চান ৷ সঙ্গে পুলিশও ছিল ৷ এরপর বাথরুম যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান ৷ যদিও তাঁর বয়ান আগেই রেকর্ড করা হয়ে গেছিল ৷

তমলুক সাংগঠনিক জেলা BJP নেতা চন্দন বারিক বলেন, "আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্যদের মধ্যে অনেকেই কোনও না কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৷ প্রশাসন বলছে নন্দকুমারে কোনও চোলাই মদের ঠেক নেই ৷ কিন্তু আমাদের দাবি প্রত্যন্ত এলাকায় চোলাই মদের ঠেক আছে ৷ "

যদিও নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস অভিযোগ মানতে চাননি ৷ তিনি বলেন,"চোলাই মদের ব্যবসা কি না বলতে পারব না ৷ তবে অনেক ফিশারিতে এখন গুড় মাছের খাবার হিসেবে যায় ৷ সঠিকভাবে বিষয়টা জানি না ৷ তাই মন্তব্য করতে পারব না ৷"

নন্দকুমার, 30 জুলাই : বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বাজারের ঘটনা ৷ অভিযুক্তর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় চোলাই তৈরির কাঁচামাল ৷

অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গৌতম সাউ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে আজ দুপুরে নন্দকুমার বাজার এলাকায় সমবায় ব্যাঙ্কের পাশে তাঁর গোডাউনে সাদা পোশাকে হানা দেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় 460টি চিটে গুড় ভরতি টিন ৷ প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কেজি চোলাই তৈরির চিটে গুড় উদ্ধার করা হয় । সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের পাঁচ পেটি বাট । অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড চোলাই তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ৷

চণ্ডীপুর রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ় কালেক্টর সৈয়দ মালিকুজ্জামান বলেন, "আমাদের কিছুদিন ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল ৷ ইনফরমেশন পাওয়ার পর সাদা পোশাকে নিজেরাই দেখতে যাই ৷ নির্দিষ্ট সীমার বাইরে চিটেগুড় রাখতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ এদের লাইসেন্স ছিল না ৷ কারণ থাকলে আমরা জানতে পারতাম ৷ আজ সেখানে গিয়ে দেখি বিক্রি হচ্ছে ৷ ভিতরে 460টি চিটেগুড় ভরতি টিন ছিল ৷ এটা নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি ৷ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের বাটও ছিল ৷ এগুলো বেআইনি চোলাই মদ তৈরির কাজে লাগে ৷"

তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে ঘটনাস্থানেই আটক করা হয়েছিল ৷ কিন্তু খাওয়ার নাম করে প্রথমে তিনি বাড়ি যেতে চান ৷ সঙ্গে পুলিশও ছিল ৷ এরপর বাথরুম যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান ৷ যদিও তাঁর বয়ান আগেই রেকর্ড করা হয়ে গেছিল ৷

তমলুক সাংগঠনিক জেলা BJP নেতা চন্দন বারিক বলেন, "আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্যদের মধ্যে অনেকেই কোনও না কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৷ প্রশাসন বলছে নন্দকুমারে কোনও চোলাই মদের ঠেক নেই ৷ কিন্তু আমাদের দাবি প্রত্যন্ত এলাকায় চোলাই মদের ঠেক আছে ৷ "

যদিও নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস অভিযোগ মানতে চাননি ৷ তিনি বলেন,"চোলাই মদের ব্যবসা কি না বলতে পারব না ৷ তবে অনেক ফিশারিতে এখন গুড় মাছের খাবার হিসেবে যায় ৷ সঠিকভাবে বিষয়টা জানি না ৷ তাই মন্তব্য করতে পারব না ৷"

Intro:নন্দকুমার, ৩০জুলাই: তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষের গুদাম ঘর থেকেই উদ্ধার চোলাই তৈরির বিশাল পরিমান কাঁচামাল। ঘটনাকে ঘিরে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়াল নন্দকুমার বাজার এলাকায়। নন্দকুমার থানার পুলিশ ট্রাকে করে প্রায় ৪০৭টিন চিটাগুড় ও প্রচুর পরিমান অমোনিয়াম ক্লোরাইড বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে এই ঘটনায় আটক তৃণমূল নেতা গৌতম সাউকেও আটক করা হলেও পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।  Body:স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা ফোন মারফৎ আবগারি দফতর খবর দেন চিটাগুড়ের রমরমা কারবারের খবর। আর খবর পাওয়া মাত্রই আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা নন্দকুমারের সমবায় ব্যাঙ্কের পাশের গোডাউনে সাদা পোশাকে হানা দেয়। ঘটনাস্থানে গিয়েই চক্ষু চড়কগাছ হয় আধিকারিকদের। উদ্ধার হয়েছে ৪০৭টি টিন ভর্তি প্রায় ১১হাজার ৫০০কেজি চোলাই তৈরির চিটে গুড়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে চৌলাই তৈরিতে ব্যবহৃত অমোনিয়াম ক্লোরাইডের পাঁচ প্যাটি বাটও। স্বভাবতই এদিনের এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে তরজা শুরু হয়েছে।Conclusion:চণ্ডীপুর রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ কালেক্টর সৈয়দ মালিকুজ্জামান বলেন, আমাদের বেশকিছুদিন ধরেই নজর রেখেছিলাম নন্দকুমারের ওই গুদামঘরটিতে। পরবর্তী ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে এদিন অভিযান চালানো হয়েছিল। হাতেনাতে উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমান এই চোলাই তৈরির কাঁচামাল। তাছাড়া অভিযুক্ত ওই ব্যবসায়ীর কাছে প্রয়োজনীয় বৈধ কাগজপত্র ছিল না। তিনি আরও বলেন, মহিষাদল ও হলদিয়াতে বেআইনি চোলাই তৈরির ভাটিখানা রয়েছে। এছাড়া কোলাঘাট থানা এলাকাতেও এমন বেআইনি চোলাই তৈরি হয় । অভিযুক্ত ব্যক্তিকেই আমরা ঘটনাস্থান থেকেই আটক করি। কিন্তু খাওয়ার খাওয়ার নাম করে পুলিশ প্রহরায় তিনি বাড়িতে যান। সেখানেই বাথরুম যাওয়ার নাম করে পুলিশকে বোকা বানিয়ে পালিয়ে যান তিনি। 
এবিষয়ে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপি নেতা চন্দন বারিক বলেন,
ওনার অবৈধ চিটাগুড়ের ব্যবসা রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপুল পরিমান গুড়ের টিন আটক করেছে। ওনাকেও আটক করেছে বলে শুনেছি। বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা অভিযুক্ত দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূল শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। আর শুধু গৌতম সাউ একা নন, নন্দকুমার পঞ্চায়েতের সমিতির সিংহভাগ কর্মাধ্যক্ষ ও নেতারা এধরণের অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

যদিও নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস দুর্নীতির অভিযোগ মানতে চাননি তিনি বলেন, গৌতম সাহুর পিতৃ পুরুষের সময় থেকেই এই ব্যবসা চলত। কিন্তু তা বৈধ কিনা বলতে পারব না। তবে যে কেউ ব্যবসা করতেই পারে। তবে দুর্নীতির অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ অনেক ফিসারিতে এধরণের গুড় মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.