নন্দকুমার, 30 জুলাই : বাথরুমে যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালাল স্থানীয় তৃণমূল নেতা ৷ পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার বাজারের ঘটনা ৷ অভিযুক্তর গোডাউন থেকে উদ্ধার হয় চোলাই তৈরির কাঁচামাল ৷
অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা গৌতম সাউ তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর পেয়ে আজ দুপুরে নন্দকুমার বাজার এলাকায় সমবায় ব্যাঙ্কের পাশে তাঁর গোডাউনে সাদা পোশাকে হানা দেন আবগারি দপ্তরের আধিকারিকরা ৷ ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার করা হয় 460টি চিটে গুড় ভরতি টিন ৷ প্রায় সাড়ে এগারো হাজার কেজি চোলাই তৈরির চিটে গুড় উদ্ধার করা হয় । সেইসঙ্গে উদ্ধার হয়েছে অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের পাঁচ পেটি বাট । অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড চোলাই তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ৷
চণ্ডীপুর রেঞ্জের ডেপুটি এক্সাইজ় কালেক্টর সৈয়দ মালিকুজ্জামান বলেন, "আমাদের কিছুদিন ধরেই সন্দেহ হচ্ছিল ৷ ইনফরমেশন পাওয়ার পর সাদা পোশাকে নিজেরাই দেখতে যাই ৷ নির্দিষ্ট সীমার বাইরে চিটেগুড় রাখতে হলে লাইসেন্স প্রয়োজন হয় ৷ এদের লাইসেন্স ছিল না ৷ কারণ থাকলে আমরা জানতে পারতাম ৷ আজ সেখানে গিয়ে দেখি বিক্রি হচ্ছে ৷ ভিতরে 460টি চিটেগুড় ভরতি টিন ছিল ৷ এটা নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি ৷ অ্যামোনিয়াম ক্লোরাইডের বাটও ছিল ৷ এগুলো বেআইনি চোলাই মদ তৈরির কাজে লাগে ৷"
তিনি আরও জানান, অভিযুক্তকে ঘটনাস্থানেই আটক করা হয়েছিল ৷ কিন্তু খাওয়ার নাম করে প্রথমে তিনি বাড়ি যেতে চান ৷ সঙ্গে পুলিশও ছিল ৷ এরপর বাথরুম যাওয়ার নাম করে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যান ৷ যদিও তাঁর বয়ান আগেই রেকর্ড করা হয়ে গেছিল ৷
তমলুক সাংগঠনিক জেলা BJP নেতা চন্দন বারিক বলেন, "আমরা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি । শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধক্ষ্যদের মধ্যে অনেকেই কোনও না কোন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ৷ প্রশাসন বলছে নন্দকুমারে কোনও চোলাই মদের ঠেক নেই ৷ কিন্তু আমাদের দাবি প্রত্যন্ত এলাকায় চোলাই মদের ঠেক আছে ৷ "
যদিও নন্দকুমার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীননাথ দাস অভিযোগ মানতে চাননি ৷ তিনি বলেন,"চোলাই মদের ব্যবসা কি না বলতে পারব না ৷ তবে অনেক ফিশারিতে এখন গুড় মাছের খাবার হিসেবে যায় ৷ সঠিকভাবে বিষয়টা জানি না ৷ তাই মন্তব্য করতে পারব না ৷"