ETV Bharat / state

"পারলে একসাথে সমাধি বা দাহ করো", আত্মঘাতী প্রেমিক-প্রেমিকা - youth

"পারলে আমাদের একসাথে সমাধি কিংবা দাহ করো।" এমনই সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হল প্রেমিক-প্রেমিকা। ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় দুই পরিবারের কেউই মেলামেশা পছন্দ করবে না। এমন কী বিয়েও মেনে নেবে না এই আশঙ্কা করেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয় তারা।

মৃত প্রেমিক-প্রেমিকা
author img

By

Published : Mar 28, 2019, 9:50 PM IST

মঙ্গলকোট, 28 মার্চ : "পারলে আমাদের একসাথে সমাধি কিংবা দাহ করো।" এমনই সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হল প্রেমিক-প্রেমিকা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের নিগন অঞ্চলের বেলগ্রামের। মৃত যুবক ও কিশোরীর নাম লোকনাথ বৈরাগ্য (18) ও রূপসোনা খাতুন (16)।

ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় দুই পরিবারের কেউই মেলামেশা পছন্দ করবে না। এমন কী বিয়েও মেনে নেবে না এই আশঙ্কা করেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে লোকনাথ ও রূপসোনা। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বেলগ্রামের একটি আম গাছে ঝুলতে দেখে তাদের দেহ।

মৃত দু'জনের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে লেখা আছে, আমরা একে-অপরকে ভালোবাসতাম। আমরা ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় আমাদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। লোকনাথ তার মামাকে উদ্দেশ্য করে লিখে গেছে, "মামা আমার শেষ ইচ্ছে পূরণ করো। আমাদের দু'জনকে এক জায়গায় সমাধি দিও কিংবা এক জায়গায় দাহ করো।"
রূপসোনা তার বাবা-মাকে লিখে গেছে, "পারলে আমাদের দু'জনকে এক জায়গায় রাখবেন। আমরা জানি আপনারা আমাদের এক জায়গায় রাখতে পারবেন না। তবুও আপনাদের কাছে আমরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছি আমাদের এক জায়গায় রাখার জন্য।"

লোকনাথের মামা বলেন, "ভাগনে প্রতিদিন রাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে পাশে বন্ধুর বাড়িতে ঘুমোনোর জন্য যেত। সেইমতো গতরাতেও সে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে বের হয়। আজ সকালে সে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মোবাইলে রিং হয়ে গেলেও লোকনাথ ফোন তোলেনি। পরে আমরা জানতে পারি আমাদের গ্রামের একটি কাঁদরের কাছে গ্রামের একটি মেয়ে এবং লোকনাথের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আমার অনুমান যেহেতু তারা দু'জনেই ভিন্নধর্মী সেই আশঙ্কাতেই তারা আত্মঘাতী হয়েছে।"

মঙ্গলকোট, 28 মার্চ : "পারলে আমাদের একসাথে সমাধি কিংবা দাহ করো।" এমনই সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী হল প্রেমিক-প্রেমিকা। ঘটনাটি পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোটের নিগন অঞ্চলের বেলগ্রামের। মৃত যুবক ও কিশোরীর নাম লোকনাথ বৈরাগ্য (18) ও রূপসোনা খাতুন (16)।

ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় দুই পরিবারের কেউই মেলামেশা পছন্দ করবে না। এমন কী বিয়েও মেনে নেবে না এই আশঙ্কা করেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে লোকনাথ ও রূপসোনা। আজ সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বেলগ্রামের একটি আম গাছে ঝুলতে দেখে তাদের দেহ।

মৃত দু'জনের কাছ থেকে পাওয়া সুইসাইড নোটে লেখা আছে, আমরা একে-অপরকে ভালোবাসতাম। আমরা ভিন্ন ধর্মী হওয়ায় আমাদের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নেবে না। লোকনাথ তার মামাকে উদ্দেশ্য করে লিখে গেছে, "মামা আমার শেষ ইচ্ছে পূরণ করো। আমাদের দু'জনকে এক জায়গায় সমাধি দিও কিংবা এক জায়গায় দাহ করো।"
রূপসোনা তার বাবা-মাকে লিখে গেছে, "পারলে আমাদের দু'জনকে এক জায়গায় রাখবেন। আমরা জানি আপনারা আমাদের এক জায়গায় রাখতে পারবেন না। তবুও আপনাদের কাছে আমরা হাত জোড় করে অনুরোধ করছি আমাদের এক জায়গায় রাখার জন্য।"

লোকনাথের মামা বলেন, "ভাগনে প্রতিদিন রাতে বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করে পাশে বন্ধুর বাড়িতে ঘুমোনোর জন্য যেত। সেইমতো গতরাতেও সে খাওয়া-দাওয়া করে বাড়ি থেকে বের হয়। আজ সকালে সে বাড়ি না ফেরায় তার মোবাইলে ফোন করে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু মোবাইলে রিং হয়ে গেলেও লোকনাথ ফোন তোলেনি। পরে আমরা জানতে পারি আমাদের গ্রামের একটি কাঁদরের কাছে গ্রামের একটি মেয়ে এবং লোকনাথের দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। আমার অনুমান যেহেতু তারা দু'জনেই ভিন্নধর্মী সেই আশঙ্কাতেই তারা আত্মঘাতী হয়েছে।"

Intro:সরকারি উন্নয়নের প্রচারের জন্য কাজী সাহেব, মৌলবীদের কাছে কাতর আবেদন করলেন মন্ত্রী
পুলক যশ, বর্ধমান
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন উন্নয়ন করে এগিয়ে চলেছেন, পিছিয়ে পড়া আদিবাসী তফসিল জাতিভুক্ত মানুষদের জন্য চিন্তা করছেন কিংবা সংখ্যালঘু উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন তখন একটা রাজনৈতিক দল ভারতবর্ষের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করছে। বর্ধমান শহরের নেড়োদিঘি মাঠে এক দিবসীয় সংখ্যালঘু মেলার উদবোধন করতে এসে এইভাবেই বিজেপিকে একহাত নিলেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।পাশাপাশি কাজী সাহেব ও মৌলবিদের কাছে হাতজোর করে সরকারি সুযোগ সুবিধা কিভাবে সংখ্যালঘু মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সেটা প্রচারের অনুরোধ জানান মন্ত্রী। এদিন বর্ধমান ১ পঞ্চায়েত সমিতি ও বর্ধমান -১ ব্লকের সহযোগিতায় সংখ্যালঘু মেলার আয়োজন করা হয়। ছিলেন জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া সহ অন্যান্যরা।
Body:মন্ত্রী বলেন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ধর্ম আমার ধর্ম তোমার, উৎসব সবার ,মেলা সবার ধর্মকে নিয়ে রাজনীতি কে আমরা ঘৃণা করি। সর্ব ধর্মের প্রতি আমাদের বিশ্বাস আছে। আমরা আল্লাহর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি, তেমনি আমরা ঈশ্বরের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি। এই ভারত বর্ষ ধর্মের মধ্যে যারা বিভেদ তৈরি করতে চায় যারা শৃঙ্খলা নষ্ট করতে চায় যারা মানুষ মানুষে হানাহানি লাগিয়ে দিতে চায় তাদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহ্বান জানান তিনি ।মন্ত্রী আরো বলেন, উন্নয়ন আমাদের ধর্ম , আমাদের ধর্ম মানুষের সেবা করা। মমতা ব্যানার্জি বিশ্বাস করেন মানুষের সেবা করাই ধর্ম আর সেই কারণেই মাদ্রাসা শিক্ষা দপ্তর সংখ্যালঘু দপ্তর কে জ্ঞাত করার জন্য একদিনের একটি মেলা ব্যবস্থা করা হয়েছে। তারা জানতে পারবে এই মেলার মাধ্যমে তাদের জন্য কোন কোন প্রকল্প আছে কোন কোন সুবিধা তারা পাবেন। এদিন মন্ত্রী কাজী সাহেব ও মৌলবীদের কাছে হাতজোড় করে কাতর আবেদন করে বলেন আপনারা মানুষের কাছে গিয়ে বলুন সরকার তোমাকে নিজের পায়ে দাঁড়াতে সাহায্য করছে ,সরকার স্কলারশিপ দিচ্ছে, লোন দিচ্ছে স্বনির্ভর করার জন্য সব রকম সহযোগিতা করছেন। মানুষকে এগুলো জানাতে হবে আর তাই তাদের তিনি এটা প্রচারের জন্য অনুরোধ করেন।
Conclusion:রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃণমূলের সরকার আজ বুঝতে পেরে গেছে তাদের মাটি নড়বড় করছে। সংখ্যালঘু মানুষেরা তাদের দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছেন। তাই বাধ্য হয়ে কাজী মৌলবীদের মাধ্যমে সরকারি সুযোগ সুবিধা প্রচারের রাস্তায় হাঁটছে সরকার।

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.