বর্ধমান, 21 ফেব্রুয়ারি: চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল নেতা ও তাঁর স্ত্রী ৷ মামলা দায়ের বর্ধমানের সিজেএম আদালতে ৷
মামলাকারী অতনু রায়ের দাবি, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্তের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন তিনি ৷ তার সুবাদেই নেতার সঙ্গে তৈরি হয় ঘনিষ্ঠতা ৷ ইতিমধ্যে 2017 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশনের লিখিত পরীক্ষায় পাশ করেন অতনু ৷ অভিযোগ, এরপরই উত্তম সেনগুপ্ত তাঁকে ইন্টারভিউয়ে পাস করিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাত লাখ টাকা নেন। অতনুর দাবি, চাকরি পাওয়ার আশায় ঘরের সোনাদানা বিক্রি করে টাকা জোগাড় করেন তিনি ৷
এদিকে, এসএসসির ফাইনাল রেজাল্ট বেরোনোর পর দেখা যায়, সেখানে অতনু রায়ের নাম নেই। চাকরি না পেয়ে উত্তম সেনগুপ্তের কাছে টাকা ফেরত চান অতনু ৷ অভিযোগ, নানা অজুহাতে তাঁকে ফিরিয়ে দেন উত্তম ৷ পরে তাঁকে একটা অস্থায়ী চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। যেটি আদতে জাল ছিল বলে দাবি মামলাকারীর ৷
আরও পড়ুন: শিলিগুড়ি পৌরনিগমে শূন্যপদে সক্রিয় প্রতারণা চক্র, অভিযোগ প্রশাসক বোর্ডের সদস্যের
এরপরই একদিন উত্তম সেনগুপ্তের বাড়িতে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করেন অতনু ৷ সেদিনই উত্তম সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী শিখা দত্ত সেনগুপ্ত (যিনি বর্ধমান পৌরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর) তাঁকে তিন লাখ টাকার একটি চেক দেন ৷ কিন্তু সেই চেকও ‘বাউন্স’ করে ৷ এরপরই আদালতের শরণাপন্ন হন অতনু ৷
বর্ধমান আদালতের আইনজীবী সদন তা বলেন, ‘‘আমার মক্কেল অতনু রায় আমাকে জানান, উত্তম সেনগুপ্ত ও তাঁর স্ত্রী সাত লাখ টাকা নিয়েছিলেন চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৷ কিন্তু সেই টাকা আত্মসাৎ করেন তাঁরা ৷ বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আদালতে মামলা শুরু হয়েছে ৷’’