বর্ধমান, 8 জানুয়ারি : আর্থিক তছরূপের অভিযোগ তুলে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটির অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা । সন্ধে পর্যন্ত চলে ঘেরাও । পরে প্রিন্সিপাল অসুস্থ হয়ে পড়েন ৷ পুলিশ তাঁকে ঘেরাও মুক্ত করে নিয়ে যায় ।
জানা গেছে, অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসনে থাকা সত্ত্বেও তিনি হাউস রেন্ট নেন । এছাড়া বেআইনিভাবে স্পেশাল এলাউন্স নিয়ে যাচ্ছেন । তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীদের হাতে আসায় তারা বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউআইটির অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখেন । রাত প্রায় আটটা নাগাদ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ফোন করে জানান । এরপর বর্ধমান থানার পুলিশ এসে অধ্যক্ষকে ঘেরাও মুক্ত করেন ।
ইউআইটি কলেজের শিক্ষক অমীয় ঘোষ বলেন, ‘‘বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন পে-কমিশন চালু হয়ে গেছে । কিন্তু ইউআইটিতে সেই পে-কমিশন চালু হয়নি । এই কোরোনা পরিস্থিতিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি আমাদের প্রিন্সিপাল নিজের মতোন করে আর্থিক দিক অনেক কিছু গুছিয়ে নিচ্ছেন । সরকারি আইন অনুযায়ী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারে থাকলে হাউস রেন্ট নিতে পারেন না । কিন্তু তিনি আগেও বেআইনিভাবে হাউস রেন্ট নিয়েছিলেন ৷ জানাজানি হওয়ার পর বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা ফেরত দিতে বলেছিল । কিন্তু তারপরেও নতুন করে তিনি হাউস রেন্ট নিচ্ছেন । সেই তথ্য আমরা কিছুদিন আগে হাতে পেয়েছি । এছাড়া প্রিন্সিপাল স্পেশাল অ্যালাউন্স 6 হাজার 750 টাকা করে নিচ্ছেন, যেটা বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন দেয়নি । তিনি অ্যাকাউন্টস বিভাগ থেকে জোর করে এই অ্যালাউন্স নিচ্ছেন ৷’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘ আগামীদিনে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের ক্ষোভের কথা জানাব । আমরা চাইছি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়টি তদন্ত করে দেখুন এবং তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হোক । প্রতিবাদ জানিয়ে আজ আমরা প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে ওনার কাছে জানতে চেয়েছি, যে অ্যালাউন্সগুলি উনি ড্র করছেন, তার কোনও ডকুমেন্টস কাছে আছে কিনা । কিন্তু উনি সেটা দেখাতে পারেননি । পরে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যায় ।’’
আরও পড়ুন :- ভরা শীতে সীতাভোগ-মিহিদানার শহরে দখল নিয়েছে কাঁচালঙ্কার রসগোল্লা
যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইউআইটি কলেজের অধ্যক্ষ অভিজিৎ মিত্র ৷ তিনি বলেন, ‘‘ কোনও আর্থিক তছরূপ হয়নি । বাড়ি ভাড়া নিয়ে যে সমস্যা ছিল সেই বাড়ি ভাড়ার টাকা আমি কাটিয়ে দিয়েছি । আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে ।’’