বর্ধমান, 20 ডিসেম্বর: ফেসবুক খুললেই বেশ কয়েকদিন ধরে কয়েকটি গেমের দেখা মিলছে ৷ অনেকেই শেয়ার করেছেন সেই গেমগুলি ৷ গেমে থাকা শেয়ার অপশনে ক্লিক করলেই হঠাৎ করে বদলে যাচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারীর মুখের আদল ৷ আপনি নিমেষে হয়ে উঠছেন বিদেশি । আবার কোনও গেমে নিজের ছবি আপলোড করলে কম বয়সের ছবি দেখা যাচ্ছে। চেহারার পরিবর্তন করে নিমেষে বয়স কমে যাচ্ছে 10 থেকে 20 বছর ৷ এই সব অনামী গেমে বাড়ছে বিপদ ৷ এই সব গেম বা অ্যাপসের ফাঁদে পা দিলেই ব্যক্তিগত তথ্য চলে যেতে পারে হ্যাকারদের হাতে । এমনটাই বলছেন সাইবার বিশেষজ্ঞ থেকে শুরু করে পুলিশ কর্তারা ৷
নিশ্চয় ভাবছেন কীভাবে অ্যাপের ফাঁদের সর্বশ্রান্ত হতে পারেন ?
সাইবার বিষেশজ্ঞদের মতে এই সমস্ত অ্যাপে ক্লিক করলেই আপনার ছবি অ্যাপে স্ক্যান হয়ে যায় ৷ আপনার মুখের অবয়ব পেয়ে যায় হ্যাকাররা ৷ আর বর্তমানে সকলেই মোবাইলের পাসওয়ার্ড নিজের মুখ (ফেস আইডি) দিয়ে করেন ৷ ফলে অনায়াসের হ্যাকাররা আপনার মুখের ছবি ব্যবহার করে মোবাইল আনলক করে তথ্য চুরি করতে পারবেন ৷
এই প্রসঙ্গেই সাইবার বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ বলেন, প্রযুক্তি বদলাচ্ছে হ্যাকাররা। আর এখন বেশিরভাগ মানুষই স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে থাকেন। স্মার্ট ফোনের প্লে-স্টোরে অনেক অ্যাপস থাকে। যে অ্যাপসগুলি কে বা কারা তৈরি করেছে তা জানার সুযোগ নেই ৷ এই সমস্ত অ্যাপস যখন কোনও মোবাইলে ইনস্টল করা হয় তখন ব্যাক্তিগত তথ্য থেকে লাইভ লোকেশন এবং মোবাইলের মধ্যে থাকা সমস্ত তথ্য সেই অ্যাপসের মাধ্যমে শেয়ার হয়ে যায়। যা নিঃশব্দে হ্যাকাররা অ্যাক্সেস করতে পারেন ৷ হ্যাকারদের থেকে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সরিয়ে রাখতে আগে থেকেই সজাগ হতে হবে ৷ এই ফাঁদে পা দিলেই যে কোনও সময় আর্থিক প্রতারণার শিকার হতে পারেন আপনিও ৷
এই প্রসঙ্গেই পূর্ব বর্ধমানের পুলিশ সুপার আমনদীপ বলেন, "কোনও অ্যাপস ব্যবহার করার আগে তার সম্পর্কে জানা উচিত। বিষয়টি নিয়ে স্কুল-কলেজের পড়ুয়াদের সচেতন করতে বিশেষ বার্তা দেওয়া হচ্ছে।" সাইবার অপরাধের নয়া ধরন নিয়ে কিছুদিন আগে নিজের উদ্বেগের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেন, "আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কীভাবে কাজ করে, ডিপফেক কী করতে পারে আর কত বড়ো সংকট খাড়া করতে পারে? সেটা আমাদের জানা দরকার। হ্যাকাররা যা চাইবে এখন সেটাই তারা বানিয়ে ফেলতে পারবে। এসব থেকে সতর্ক থাকা দরকার। আমি নিজের কিছু ছবি দেখেও চমকে উঠেছি।"
আরও পড়ুন: