কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: শহরে ফের ছিনতাই । পার্কস্ট্রিটের পর এবার ঘটনাস্থল গড়িয়াহাট থানা । স্কুটি চালিয়ে এসে মহিলার গলার সোনার চেন ছিনতাইয়ের অভিযোগ । অবশেষে ঘটনার তদন্তে নেমে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে ধরা পড়ল দুই অভিযুক্ত । তাঁদের নাম দীবেশ ঝা এবং ইমরান নাজির ।
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ কুমার ইটিভি ভারতকে বলেন, "দীবেশের গিরিশ পার্কের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় । পাশাপাশি বেনিয়াপুকুর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় ইমরানকে ।"
লালবাজার সূত্রে খবর, ঘটনার পর প্রথমে গড়িয়াহাট থানায় অভিযোগ দায়ের হয় ৷ তাই প্রথম স্থানীয় থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্তে নামে । কিন্তু পরে সেই তদন্তভার চলে যায় লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের হাতে । তদন্তে নেমে গড়িয়াহাট থানা এলাকার ঘটনাস্থলে আসেন গোয়েন্দারা । রাস্তার সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন তদন্তকারীরা । পরে সেখান থেকে দু'জনকে চিহ্নিত করা হয় । ছিনতাইয়ের ঘটনায় ব্যবহৃত স্কুটির নম্বর প্লেট দেখে অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয় বলে জানা গিয়েছে । পাশাপাশি উদ্ধার হয় মহিলার খোয়া যাওয়া গলার চেন । সেটির ওজন প্রায় 10 গ্রাম ।
পুলিশের তরফে জানা গিয়েছে, ইদানীং পার্কসার্কাসে একটি ছিনতাই গ্যাংয়ের হদিশ পেয়েছে লালবাজার । ইতিমধ্যেই কড়েয়া, বেনিয়াপুকুর, তিলজলা, তপসিয়া থানায় একাধিক ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর । জানা গিয়েছে, ছিনতাইকারীরা মুখে কালো কাপড় বেঁধে পর পর অপরাধের ঘটনা ওই এলাকায় ঘটাচ্ছিল । যদিও গড়িয়াহাটে মহিলার গলার সোনার চেন ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে পার্কসার্কাসের ওই ছিনতাইকারী গ্যাংয়ের কোনও যোগ রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা ।
সম্প্রতি পার্কস্ট্রিট থানা এলাকায় একটি প্রযোজনা সংস্থার অফিসে দিনের বেলায় ঢুকে মোট সাত লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুই যুবক । পরে অবশ্য লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে দুই অভিযুক্তই গ্রেফতার হয় । তবে শহরের বুকে পর পর এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন লালবাজার । ইতিমধ্যেই কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অন্তর্গত অ্যান্টি স্যানাচিং বিভাগকে উন্নত করা হয়েছে । পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশনকে মজবুত করা হয়েছে ।