বর্ধমান, 20 জুলাই: পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএমের ফেসবুক পেজে দলের তরফে একটা ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে মেমারির বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের 17 ও 18 নম্বর আসনে 44টি ব্যালট উদ্ধার করা হয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ, মেমারি কলেজের পাশ থেকে ওই ব্যালটগুলি এক ব্যক্তি উদ্ধার করেন। সিপিএম বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থও হয়েছে।
সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, "ভোট লুটের পরে গণনাকেন্দ্র দখল নিয়ে আমরা বারবার অভিযোগ করেছি। তার প্রমাণ এখন রাস্তাঘাটে পাওয়া যাচ্ছে। এদিন মেমারির বাগিলাতে প্রায় 44টি ব্যালট পেপার এক ব্যক্তি উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। সেই ব্যালট দলের পক্ষ থেকে হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। এর আগে ভাতার, পূর্বস্থলীর পাটুলি-সহ একাধিক জায়গায় ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়। প্রিসাইডিং অফিসার থেকে সকলেই দেখেছেন কীভাবে ভোট হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "গণনার দিনে কাউন্টিং এজেন্টকে মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে। সবাই জানে প্রশাসনের নেতৃত্বে কীভাবে ভোটের ফলকে বিকৃত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, সিপিএমের যারা জিতেছে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিপিএমের ব্যালটগুলিকে তৃণমূলের ব্যালটের সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে তৃণমূলকে জেতানো হয়েছে। চূড়ান্ত একটা অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া তারা চালিয়েছে। প্রশাসন সেখানে সহযোগিতা করেছে। আমরা এর ধিক্কার জানাচ্ছি। বিষয়টা নিয়ে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছি।"
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "ঘটনাটি মিথ্যে ও সাজানো। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সিপিএম হেরে যাওয়ার পর থেকেই এই ধরনের অপপ্রচার করছে। এটা সিপিএমের পূর্ব পরিকল্পিত চাল। নির্বাচনের দিনেই তারা লুকিয়ে সেই ব্যালট বাইরে নিয়ে আসে। এরপর এখন সেই গল্প ফাঁদছে। যদি ব্যালট বাইরে পরে থাকত গত সাতদিনে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে সেই ব্যালট পেপার নষ্ট হয়ে যেত। কিন্তু সেই ব্যালট নষ্টই হয়নি। জামালপুরে যেভাবে সিপিএমের প্রার্থী নিজের ঘরেই বোমা মেরে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দোষ চাপায়, এক্ষেত্রেও সেই ধরনের ঘটনা ঘটেছে ৷
আরও পড়ুন: ফল প্রকাশের ছ'দিন পর উদ্ধার তিনটি সিল করা ব্যালট বাক্স