ETV Bharat / state

দীর্ঘ দু'মাসের অপেক্ষা, মাস্ক পরে সাত পাকে বাঁধা যুগলের

লকডাউন শুরু হওয়ায় পিছিয়ে গিয়েছিল বিয়ে । অবশেষে চতুর্থ দফা লকডাউন শেষে শিথিল হয় নিয়ম । খুলে যায় ধর্মীয় স্থান । তাই আর সময় নষ্ট না করেই গতকাল মাস্ক পরে এক স্থানীয় মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়েন বর্ধমানের এক যুগল ।

burdwan
মাস্ক পরে বিয়ে যুগলের
author img

By

Published : Jun 1, 2020, 7:27 PM IST

Updated : Jun 1, 2020, 11:17 PM IST

বর্ধমান, 1 জুন : ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্দির । ধুতি-পাঞ্জাবি, মাথায় টোপর আর মুখে মাস্ক পরে বাইকে করে বিয়ে করতে এসেছেন বর । বিয়ের পিঁড়িতে বসে থাকা কনের মুখেও মাস্ক । এমনকী, বর-কনের সামনে মন্ত্রপাঠে ব্যস্ত পুরোহিতও ভোলেননি মাস্ক পরতে । এভাবেই হাতে গোনা কয়েক জনের উপস্থিতিতে মন্দিরে বিয়ে করলেন এক যুগল ।

বিয়েটা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিলে । তাই বিয়ের জায়গা ঠিক করা হয় । ছাপাতে দেওয়া হয় বিয়ের কার্ডও । বরের ধুতি-পাঞ্জাবি, টোপর থেকে শুরু করে কনের বেনারসি, গয়না, সাজসজ্জার জিনিস সবই কেনা হয় । সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল । দু'পক্ষই অপেক্ষা করছিল চার হাত এক করার । কিন্তু বাঁধ সাধে কোরোনা । তাকে ঠেকাতে আসরে নামে সরকার । লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী । আর তখনই সবকিছু ওলোটপালোট হয়ে যায় । বাতিল করে দেওয়া হয় বিয়ের অনুষ্ঠান । ঠিক করা হয়, 14 এপ্রিল লকডাউন উঠলে পুনরায় বিয়ের দিন ঠিক করা হবে । কিন্তু সে গুড়ে ফের একবার বালি দেয় কোরোনা । বাড়তি সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয় । তারপর ফের ধাপে ধাপে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ে । তাই অপেক্ষা আরও দীর্ঘ ওই যুগল ও তাঁদের পরিবারের ।

মাস্ক পরেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অর্ণব ও শম্পা

লকডাউনের চতুর্থ দফায় নিয়ম খানিকটা শিথিল করে সরকার । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয় । তাই আর কোনওরকম দেরি না করেই নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন ওই যুগল । সেইমতো পরিবারের সমর্থনে গতকাল গিয়ে হাজির হন স্থানীয় এক মন্দিরে । হাতে গোনা পরিবারেরই কয়েকজনের উপস্থিতিতে একে একে মন্ত্র উচ্চারণ, শুভ দৃষ্টি, কন্যাদান, মালাবদল ও অবশেষে সাত পাক ঘুরে নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেন তাঁরা । তবে, বিয়ের করার আনন্দে নিজেদের দায়িত্ব থেকে মুখ ফেরাননি তাঁরা । মুখে মাস্ক পরেই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে । পুরোহিতও মাস্ক পরেই সম্পন্ন করেন বিয়ের কাজ । হাতে গোনা যে কয়েক জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকেও মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায় ।

ওই যুগলের নাম অর্ণব সূত্রধর ও শম্পা সাহা । বর্ধমান শহরের 5 নম্বর ইছলাবাদ এলাকার বাসিন্দা অর্ণব । পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজ়েনটেটিভ । আর পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী রায়না 2 ব্লকের বাসিন্দা শম্পা । সরকারের নির্দেশ ও সতর্কতা এবং নিজেদের মনের ইচ্ছাকে এই ভাবেই মান্যতা দিয়ে বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা মন্দির লাগোয়া ধনেশ্বরীর মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অর্ণব ও শম্পা ।

অর্ণব সূত্রধর বলেন , "এপ্রিল মাসে বিয়ে ঠিক হয়েছিল । কিন্তু লকডাউনের জেরে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় । এদিকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই । অবশেষে দুটি পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অনুষ্ঠান না করে আপাতত মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলা হবে । সেইমতো পুলিশের অনুমতি নিয়ে মা ধনেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে করি ।"

বর্ধমান, 1 জুন : ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে মন্দির । ধুতি-পাঞ্জাবি, মাথায় টোপর আর মুখে মাস্ক পরে বাইকে করে বিয়ে করতে এসেছেন বর । বিয়ের পিঁড়িতে বসে থাকা কনের মুখেও মাস্ক । এমনকী, বর-কনের সামনে মন্ত্রপাঠে ব্যস্ত পুরোহিতও ভোলেননি মাস্ক পরতে । এভাবেই হাতে গোনা কয়েক জনের উপস্থিতিতে মন্দিরে বিয়ে করলেন এক যুগল ।

বিয়েটা হওয়ার কথা ছিল এপ্রিলে । তাই বিয়ের জায়গা ঠিক করা হয় । ছাপাতে দেওয়া হয় বিয়ের কার্ডও । বরের ধুতি-পাঞ্জাবি, টোপর থেকে শুরু করে কনের বেনারসি, গয়না, সাজসজ্জার জিনিস সবই কেনা হয় । সব কিছুই ঠিকঠাক চলছিল । দু'পক্ষই অপেক্ষা করছিল চার হাত এক করার । কিন্তু বাঁধ সাধে কোরোনা । তাকে ঠেকাতে আসরে নামে সরকার । লকডাউনের ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী । আর তখনই সবকিছু ওলোটপালোট হয়ে যায় । বাতিল করে দেওয়া হয় বিয়ের অনুষ্ঠান । ঠিক করা হয়, 14 এপ্রিল লকডাউন উঠলে পুনরায় বিয়ের দিন ঠিক করা হবে । কিন্তু সে গুড়ে ফের একবার বালি দেয় কোরোনা । বাড়তি সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হয় । তারপর ফের ধাপে ধাপে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ে । তাই অপেক্ষা আরও দীর্ঘ ওই যুগল ও তাঁদের পরিবারের ।

মাস্ক পরেই সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অর্ণব ও শম্পা

লকডাউনের চতুর্থ দফায় নিয়ম খানিকটা শিথিল করে সরকার । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয় । তাই আর কোনওরকম দেরি না করেই নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নেন ওই যুগল । সেইমতো পরিবারের সমর্থনে গতকাল গিয়ে হাজির হন স্থানীয় এক মন্দিরে । হাতে গোনা পরিবারেরই কয়েকজনের উপস্থিতিতে একে একে মন্ত্র উচ্চারণ, শুভ দৃষ্টি, কন্যাদান, মালাবদল ও অবশেষে সাত পাক ঘুরে নিজেদের সম্পর্ককে পরিণতি দেন তাঁরা । তবে, বিয়ের করার আনন্দে নিজেদের দায়িত্ব থেকে মুখ ফেরাননি তাঁরা । মুখে মাস্ক পরেই বসেন বিয়ের পিঁড়িতে । পুরোহিতও মাস্ক পরেই সম্পন্ন করেন বিয়ের কাজ । হাতে গোনা যে কয়েক জন অতিথি উপস্থিত ছিলেন তাঁদেরকেও মাস্ক পরে থাকতে দেখা যায় ।

ওই যুগলের নাম অর্ণব সূত্রধর ও শম্পা সাহা । বর্ধমান শহরের 5 নম্বর ইছলাবাদ এলাকার বাসিন্দা অর্ণব । পেশায় মেডিকেল রিপ্রেজ়েনটেটিভ । আর পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী রায়না 2 ব্লকের বাসিন্দা শম্পা । সরকারের নির্দেশ ও সতর্কতা এবং নিজেদের মনের ইচ্ছাকে এই ভাবেই মান্যতা দিয়ে বর্ধমান শহরের সর্বমঙ্গলা মন্দির লাগোয়া ধনেশ্বরীর মন্দিরে সাত পাকে বাঁধা পড়লেন অর্ণব ও শম্পা ।

অর্ণব সূত্রধর বলেন , "এপ্রিল মাসে বিয়ে ঠিক হয়েছিল । কিন্তু লকডাউনের জেরে বিয়ে বন্ধ হয়ে যায় । এদিকে লকডাউনের সময়সীমা বাড়তে থাকায় আমরা সমস্যায় পড়ে যাই । অবশেষে দুটি পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় অনুষ্ঠান না করে আপাতত মন্দিরে গিয়ে বিয়ে সেরে ফেলা হবে । সেইমতো পুলিশের অনুমতি নিয়ে মা ধনেশ্বরী মন্দিরে বিয়ে করি ।"

Last Updated : Jun 1, 2020, 11:17 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.