ঘাটাল, 7 মার্চ : বরের বোনের স্বামীর কু নজর ছিল গৃহবধূর উপর ৷ দীর্ঘদিন ধরেই নন্দাইয়ের থেকে আসছিল কুপ্রস্তাব ৷ তাতে রাজি হননি গৃহবধূ । অভিযোগ, যে কারণে ওই গৃহবধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে শ্বশুরবাড়ির লোকজন । ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল থানার চাউলি গ্রামের ৷ রবিবার অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় প্রিয়াঙ্কা গুছাইত নামে কুড়ি বছরের ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয় ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ।
জানা গিয়েছে, গৃহবধূর বাপের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া থানার আমারাগোহাল গ্রামে । ঘাটালের চাউলি গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্ত গুছাইতের সঙ্গে খুব অল্প বয়সেই বিয়ে হয় ৷ দম্পতির একটি তিন বছরের সন্তানও রয়েছে ৷ তবে বিয়ের পর থেকেই পরিবারে অশান্তি লেগে থাকত ৷ এর প্রধান কারণ প্রিয়াঙ্কার ননদের স্বামী গণেশ মণ্ডল ৷ অভিযোগ, ওই ব্যক্তি লাগাতার কু প্রস্তাব দিত ৷ তা মেনে না নেওয়ায় চলত অশান্তি ৷ এই নিয়ে একাধিকবার সালিশি সভাও বসেছে । রবিবার দুপুর নাগাদ অশান্তি চরমে ওঠে । প্রিয়াঙ্কা বাপের বাড়িতে ফোন করে গোটা ঘটনাটি জানান ৷ এর পর দুপুর নাগাদ মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে তাঁরা খবর পান, আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে প্রিয়াঙ্কা ।
হাসপাতালে এসে বাপের বাড়ির লোকজন জানতে পারেন, শাশুড়ি সন্ধ্যা গুছাইত তাঁদের মেয়ের গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে ৷ প্রিয়াঙ্কার বাবা মৃত্যুঞ্জয় সামন্ত ও তাঁর মা বলেন, "আমরা ফোনে জানতে পারি আমাদের মেয়ে গায়ে আগুন লাগিয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে হাসপাতালে। হাসপাতালে এসে মেয়ের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি যে প্রিয়াঙ্কার শাশুড়ি তার গায়ে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে।"
শ্বশুড়বাড়ির পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে গায়ে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলছে প্রিয়াঙ্কার বাবা-মাও । গৃহবধূর বাপের বাড়ির দাবি, তাঁদের মেয়ে কুপ্রস্তাব মেনে না নেওয়ার জন্যই এই পরিণতি হয়েছে । গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ঘাটাল থানার পুলিশ ৷
আরও পড়ুন: পৌরসভার নির্বাচন ঘিরে ব্যপক উত্তেজনা পূর্ব মেদিনীপুরে